কংগ্রেসের পাঞ্চিং খেতে হচ্ছে কুমারস্বামীকে! বিরোধীদের কর্ণাটক-জোটের খোঁটা মোদীর
কর্ণাটকের জোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামীর অবস্থাকে কটাক্ষ করে বিরোধী জোটকে একহাত নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
কর্ণাটকের জোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামীর অবস্থাকে কটাক্ষ করে বিরোধী জোটকে একহাত নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবিবার কর্ণাটকের হাবালিতে এক জনসভায় মোদী বলেন, জোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী এখন জোটের বড়দার কাছে থেকে প্রতিনিয়ত খোঁটা সহ্য করছেন। কুমারস্বামী সরকারের আমলে দুর্বল শাসন চলছে বলে সিদ্দারামাইয়ের অনুগামীদের দাবি।
মোদী বলেন, প্রত্যেক কংগ্রেস বিধায়ক এখন কুমারস্বামীকে বেছে নিচ্ছেন পাঞ্চিংয়ের জন্য। কর্ণাটকে় কংগ্রেস ও জেডিএস জোটের মধ্যে পার্থক্য বেড়েই চলছে। উভয়ের সম্পর্ক এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে রাষ্ট্রের দায়িত্বে কে আছেন তা জানা কঠিন। কর্ণাটকের জোট সরকারকে কটাক্ষ করে মোদি বলেন, বিরোধী জোট আসন্ন লোকসভায় এমনই মজবুর সরকার গড়তে চাইছে। আপনারা কি এমন সরকার চান দেশে?
তিনি বলেন, যেভাবে কর্ণাটকের সরকার চলছে, তা রাজ্যের পক্ষে সুখকর নয়। যে পারছে যেমন-তেমনভাবে আক্রমণ শানাচ্ছে কর্ণাটক সরকারের মুখ্যমন্ত্রীর উপর। প্রত্যেকেই তাঁকে চ্যালেঞ্জ করছে। বিরোধীরা এমনই মজবুরির মডেল চাপিয়ে দিয়ে চায় দেশে।
#WATCH Karnataka: PM Modi speaks in Hubli, "Aaye din mukhyamantri (Karnataka CM) ko dhamkiyan milti rehti hain. Unki poori urja din raat Congress mein unke bade bade netaon se kursi bachane mein lagi rehti hai. Wo sarvjanik taur par apni majboori ka rona rote rehte hain." pic.twitter.com/mG5AocLjH3
— ANI (@ANI) February 10, 2019
কর্ণাটকের কংগ্রেস-জেডিএস জোট সরকার নিয়ে সম্প্রতি মুখ খুলেছেন জেডিএস সুপ্রিমো এইচডি দেবেগৌড়া। তাঁর কথায়, কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীকে সর্বদা সংকটের মুখে ঠেলে দিচ্ছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের এই মনোভাব বিরোধীদের উৎসাহিত করছে কর্ণাটকে।
কুমারস্বামী ইতিমধ্যেই কংগ্রেসকে সরাসরি হুমকি দিয়েছেন, তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন যে, পার্টি যদি তার বিধায়ককে নিয়ন্ত্রণ না করে তবে তিনি পদত্যাগ করতে প্রস্তুত। প্রধানমন্ত্রী মোদী এদিন কুমারস্বামীর পদত্যাগের ইচ্ছাকে তুলে দেরেও কংগ্রেসকে খোঁটা দেন।
রবিবার, কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর সরকারি কর্মসূচিতে কোনও আমন্ত্রণ পাননি বলে জানান। তিনি মোদি সরকারের এহেন ক্ষুদ্র রাজনীতিকে এক হাত নেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারি প্রকল্প উদ্বোধন করতে আসছেন, অথচ সেই অনুষ্ঠানের কোনও আমন্ত্রণ আসেনি তাঁর কাছে। দুদিন আগে বাংলায় এসে রাজ্যে সরকারের প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করে বলে অভিযোগ ওঠে। জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ তাই দ্বিতীয়বার উদ্বোধনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।