২০২৪ সালের মধ্যে দেশ পাঁচ ডলার ট্রিলিয়ন অর্থনীতিতে পৌঁছাবে, দাবি নরেন্দ্র মোদীর
২০২৪ সালের মধ্যে দেশ পাঁচ ডলার ট্রিলিয়ন অর্থনীতিতে পৌঁছাবে, দাবি নরেন্দ্র মোদীর
২০২৪ সালের মধ্যে ৫ ডলার ট্রিলিয়ন অর্থনীতিতে দেশকে পৌঁছে দেওয়া হবে। শুক্রবার এমনই দাবি শোনা গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর গলায়। সঙ্গে তিনি এটাও জানিয়েছেন যে দেশের অর্থনীতিকে আধুনিকভাবে গড়ে তুলতে কোনও কূটনীতিকেই ছাড়ছেন না তিনি।
দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে এসে মোদী বলেন, 'অর্থনীতির বেশিরভাগ ক্ষেত্রকেই আমরা সাজিয়ে তোলার চেষ্টা করছি এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাকে আধুনিকীকরণ এবং অর্থনীতির গতি বাড়ানোর প্রচেষ্টায় রয়েছি।’ তিনি ৫ ডলার ট্রিলিয়ন অর্থনীতি প্রসঙ্গে বলেন, 'পাঁচ ডার ট্রিলিয়ন অর্থনীতির ধারণা হঠাৎ করে আসেনি। গত পাঁচ বছরে ভারত নিজেকে অর্থনীতিতে এতটাই দৃঢ় করে গড়ে তুলেছে যে এই লক্ষ্যটাও সে অর্জন করতে পারবে।’ একদিকে যখন জিডিপি নামছে, ঋণের দায়ে জর্জরিত ব্যাঙ্কগুলি সেখানে দাঁড়িয়ে নরেন্দ্র মোদী দাবি করেন যে ধ্বংসের মুখে চলে যাওয়া অর্থনীতিকে বর্তমান কেন্দ্র সরকারই বাঁচিয়েছে। মোদী জানান, পাঁচ–ছয় বছর আগে দেশের অর্থনীতি ধ্বংসের দিকে এগোচ্ছিল। সেই জায়গা থেকে টেনে শুধু স্থিতিশীল অবস্থায় নিয়ে আসা নয়, ভারতীয় অর্থনীতিকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করেছে এই সরকার। তিনি আরও জানান যে অতীতে দেশের অর্থনীতির গতি অনেকটাই শ্লথ ছিল কিন্তু বর্তমানে তা আরও দৃঢ় হয়েছে।
প্রসঙ্গত ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর একই মন্তব্য করেছিলেন। ওইসময়ও দেশের অর্থনীতির হাল বেশ খারাপ ছিল। শুক্রবার বিজনেস সামিটে এসে নরেন্দ্র মোদী বলেন, 'বর্তমানে আপনারা এমন একটি সরকারকে পেয়েছেন যারা কৃষকদের কথা শোনে, শ্রমিকদের কথা শোনে, এমনকী শিল্প মহলের কথাও শোনে।’ তিনি আরও বলেন, 'আমরা ব্যাঙ্কগুলির সংযুক্তিকরণের মাধ্যমে কাজের প্রক্রিয়া আরও সহজ করে দিয়েছি। যার জন্যই ব্যাঙ্কের শাখাগুলি দেশের প্রত্যেক কোণায় দারুণ ফল করছে, আন্তর্জাতিক স্তরেও নিজেদের পরিচয় দিচ্ছে।’
ভারতে প্রকৃত বাণিজ্যিক সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে কোনও অনুপযুক্ত পদক্ষেপ না নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী জোর দিয়েছিলেন যে সমস্ত ব্যবসায়িক ব্যর্থতা প্রতারণার কারণে নয় এবং ব্যর্থতাকে অপরাধ হিসাবে বিবেচনা করা যাবে না। প্রধানমন্ত্রী আরও জানান যে কর্পোরেট করের সাম্প্রতিক হ্রাস ব্যবসার জন্য সর্বনিম্ন দর এনেছে। এছাড়াও তিনি জানান যে শ্রমশক্তিরও যত্ন নেওয়া উচিত। এই অনুষ্ঠানের এসে প্রধানমন্ত্রী মোদী ভারতের দ্রুত বৃদ্ধি সম্পর্কে আলোকপাত করেন। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে 'ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস’ র্যাঙ্কিংয়ে জোর দিয়েছিল। এমনকী সরকার উদ্যোক্তাদের দেশে স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবসা করার সুযোগ দেওয়ার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে চলেছে। গত তিন বছরে 'ইজ অফ ডুয়িং বিজনেসে’ ভারত ৬৩ নম্বরে রয়েছে বলে জানান মোদী।
শহরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কলকাতায় ইন্টারেনট বন্ধ করল রাজ্য সরকার