অধীর বিরাট যোদ্ধা! পিঠ চাপড়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ মোদী! জল্পনার পারদ তুঙ্গে
প্রধানমন্ত্রী ডাকা সর্বদল বৈঠকে কংগ্রেসের প্রতিনিধি দলে ছিলেন বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী। যখন কংগ্রেসে অধীরের এই উত্তরণ নিয়ে চর্চা চলছে, তখনই মাস্টারস্ট্রোক দিলেন নরেন্দ্র মোদী।
প্রধানমন্ত্রী ডাকা সর্বদল বৈঠকে কংগ্রেসের প্রতিনিধি দলে ছিলেন বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী। যখন কংগ্রেসে অধীরের এই উত্তরণ নিয়ে চর্চা চলছে, তখনই মাস্টারস্ট্রোক দিলেন নরেন্দ্র মোদী। সর্বদল বৈঠকে অধীর চৌধুরীর পিঠ চাপড়ে দিলেন তিনি। অধীরকে যোদ্ধার মর্যাদা দিলেন। মোদীর এই চালে অধীরকে নিয়ে তৎক্ষণাৎ শুরু জল্পনা।
কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে রাজ্যের একমাত্র কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীকে পাঠিয়েছিল হাইকম্যান্ড। এই সিদ্ধান্তকে রাজনৈতিকভাবে অধীর চৌধুরীর উত্তরণ বলেই তুলে ধরা হচ্ছিল। সেইসময় অধীরের পিঠ চাপড়ে তাঁকে যোদ্ধার মর্যাদা দিলেন। তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তিনি কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী হয়েছেন। তাঁর এই জয়কে যতটা না দলের, তার থেকে বেশি ব্যক্তিগত বলে সাবাশি দেন মোদী।
এবার লোকসভায় তিনি কংগ্রেসের দলনেতা হতে পারেন। তার কারণ লোকসভায় কংগ্রেসের বর্তমান সাংসদদের মধ্যে তিনিই 'সিনিয়র'। এই অবস্থায় তাঁকে পাঠানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সর্বদল বৈঠকে। তাঁর সঙ্গে কংগ্রেসের সংসদীয় দলে ছিলেন গুলাম নবি আজাদ ও আনন্দ শর্মা।
সর্বদল বৈঠকে শেষে বেরোনোর আগে গুলাম নবি আজাদের সঙ্গে কথা বলছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দগ্র মোদী। তখনই পাশে দাঁড়ানো অধীর চৌধুরীর পিঠ চাপড়ে দেন। বলেন- অধীর চৌধুরী তো যোদ্ধা হ্যায়, যোদ্ধা! অধীর চৌধুরীর প্রত্যুত্তরে শুধু মৃদু হাসেন। আনন্দ শর্মা বলেন, তা তো বটে! অধীর চৌধুরী আদতে যোদ্ধাই।
এরপর তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভা দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বাবা! প্রধানমন্ত্রী তো আপনার প্রশংসায় পঞ্চমুখ, দেখছি! উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটের আগে থেকেই অধীর চৌধুরীর বিজেপি-তে যোগদান নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। অধীর চৌধুরী বারবারই তা খারিজ করে দিয়েছিলেন। এদিন প্রধানমন্ত্রী পিঠ চাপড়ে দেওয়ায় সেই জল্পনার পারদ ফের চড়তে শুরু করল।