নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ : নতুন ১৯ মন্ত্রী
নয়াদিল্লি, ৫ জুলাই : আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকারের ক্যাবিনেটের সম্প্রসারণ হল। ১৯ জন নতুন মন্ত্রী জায়গা পেলেন মন্ত্রিসভায়।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, মন্ত্রি বাছাইয়ের প্রক্রিয়ার নেতৃত্বে ছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন এবং সুশাসনের লক্ষ্যকে যাঁরা নিজের কাজ ও পারফরম্যান্স দিয়ে পূরণ করতে পারবেন বলে মনে করেছেন তাদেরকেই বেছে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর প্রধান লক্ষ্য গ্রাম, গরীব ও কৃষকদের উন্নয়নসাধন।
নতুন মন্ত্রী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়, দলিত এবং সংখ্যালঘু প্রার্থীর প্রাধান্য রয়েছে।
এসএস
আহলুওয়ালিয়া
(৬৫)
২০১৪
সালে
লোকসভা
নির্বাচনে
দার্জিলিং
থেকে
প্রতিদ্বন্ধীতা
করেছিলেন
আহলুওয়ালিয়া।
২০০৯
সালে
এই
আসন
থেকে
দাঁড়িয়েছিলেন
প্রবীন
বিজেপি
নেতা
যশবন্ত
সিং।
তিনি
২০১৪
সালে
দার্জিলিং
থেকে
না
দাঁড়িয়ে
রাজস্থান
থেকে
দাঁড়ান।
সেই
জায়গাতেই
দলের
টিকিট
দেওয়া
হয়
আহলুওয়ালিয়াকে।
রমেশ
চন্ডাপ্পা
জিগজিনাগি
(৬৪)
জিগজিগানি
দলিত
নেতা।
রামকৃষ্ণ
হেগড়ে
নেতৃত্বাধীন
জনতা
পার্টি
সরকারের
তরুণ
মন্ত্রী
ছিলেন
তিনি।
১৯৯০
এ
দশকে
সরকারে
গুরুত্বপূর্ণ
পোর্টফোলিও
সামলাতেন
তিনি।
বিজাপুরের
সাংসদ
তিনি।
পরশোত্তম
রূপালা
(৬১)
রূপালা
মোদী
ঘণিষ্ঠ
হিসাবেই
পরিচিত।
মোদী
গুজরাতের
মুখ্যমন্ত্রী
থাকাকালীন
তিনি
ক্যাবিনেট
মন্ত্রী
ছিলেন।
বিভিন্ন
দফতর
সামলানোর
অভিজ্ঞতা
রয়েছে
তার।
রামদাস আঠাওয়ালে (৫৬)
আঠাওয়ালে তাঁর দলের একমাত্র রাজ্যসভা সদস্য। মহারাষ্ট্রের জনপ্রিয় দলিত নেতা তিনি। মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকারের মন্ত্রি ছিলেন তিনি। ২০১১ সালে মহারাষ্ট্রে বিজেপি-শিবসেনা জোটে যোগ দেন তিনি।
এম
জে
আকবর
(৬৫)
এম
জে
আকবর
স্বনামধন্য
সাংবাদিক।
১৯৮৯
সালে
কংগ্রেসের
টিকিটে
লোকসভা
নির্বাচনে
বিহার
থেকে
জয়ী
হয়েছিলেন
তিনি।
২০১৪
সালের
লোকসভা
নির্বাচনের
আগ
দিয়েই
বিজেপিতে
তিনি
যোগ
দেন।
অর্জুন
রাম
মেঘওয়াল
(৬৫)
বর্তমানে
লোকসভায়
বিজেপির
মুখ্য
হুইপ
মেঘওয়াল।
ইনিও
দলিত
নেতা।
অনিল
মাধব
দাভে
(৬০)
দাভে
পরিবেশবিদ।
পরিবেশ
নিয়ে
একাধিক
বই
লিখেছেন
তিনি।
সম্পত্তি
বিল
নিয়ে
সংসদীয়
দলের
নেতৃত্ব
দেওয়ায়
প্রশংসা
কুড়িয়েছিলেন
তিনি।
মধ্যপ্রদেশে
উমা
ভারতী
মুখ্যমন্ত্রী
থাকাকালীন
দাভেও
প্রভাবশালী
ব্যক্তি
হিসাবেই
পরিচিত
ছিলেন।
২০০৯
সাল
থেকে
রাজ্যসভার
সাংসদ
তিনি।
বিজয়
গোয়েল
(৬২)
গোয়েল
দিল্লির
শীর্ষ
নেতৃত্বের
অন্যতম
নেতা।
ছাত্র
নেতা
হিসাবে
জীবন
শুরু
করেন
তিনি।
জরুরী
অবস্থার
সময়
তাঁকে
আটকও
করা
হয়েছিল।
অটল
বিহারি
বাজপেয়ীর
সময়ে
তিনি
প্রধানমন্ত্রী
অফিসে
ছিলেন।
পাশাপাশি
বাজপেয়ী
সরকারে
যুবকল্যাণ
ও
ক্রীড়া
মন্ত্রকের
প্রতিমন্ত্রী
ছিলেন
তিনি।
রাজেন
গোহেন
(৬৫)
গোহেন
১৯৮০
সালে
অসম
ছাত্র
আন্দোলনে
অংশ
নিয়েছিলেন
তিনি।
১৯৯১
সালে
বিজেপিতে
যোগ
দেন
তিনি।
সম্প্রতি
অসমে
বিজেপি
সরকারে
মন্ত্রিত্ব
পেয়েছিলেন
তিনি।
মহেন্দ্রনাথ
পাণ্ডে
(৫৮)
২০১৭
সালে
উত্তরপ্রদেশের
নির্বাচনকে
মাথায়
রেখে
পাণ্ডেকে
মন্ত্রিসভায়
এনে
ব্রাহ্মণ
ভোটব্যাঙ্ককে
নিশ্চিত
করতে
চাইছে
সরকার।
এই
প্রথমবার
সাংসদ
হয়েছেন
তিনি।
একাধিক
পোর্টফোলিও
সামলেছেন
তিনি।
উত্তরপ্রদেশের
নগরোন্নয়
দফতরের
মন্ত্রী
ছিলেন
তিনি।
সি
আর
চৌধুরি
(৬৮)
চৌধুরিও
প্রথমবারের
সাংসদ।
গ্রামোন্নয়ন
বিষয়ে
তাঁর
দক্ষতা
রয়েছে।
রাজস্থান
সরকারের
কৃষি
বিপন,
রাজস্থান
রাজ্য
পরিবহন
কর্পোরেশনের
হয়ে
তিনি
কাজ
করেছেন।
পিপি
চৌধুরি
(৬৩)
পিপি
চৌধুরিও
প্রথমবার
সাংসদ
হয়েছে।
তিনি
সুপ্রিম
কোর্টের
সিনিয়র
অ্যাডভোকেট।
মাত্র
আট
বছর
হয়েছে
তিনি
আরএসএস-এ
যোগ
দেম।
সিরভি
মহাসভার
নেতৃত্ব
দিয়েছেন
তিনি।
সুভাষ
রামরাও
ভামরে
(৬২)
ভামরে
একজন
চিকিৎসক।
ইনিও
প্রথমবারের
সাংসদ।
এর
আগে
শিবসেনা
নেতা
ছিলেন
তিনি।
ভামরের
বাবা
রামরাও
পাটিল
প্রাক্তন
কংগ্রেস
বিধায়ক
ছিলেন।
যশবন্ত
সিং
ভাভোর
(৪৯)
ভাভোর
আদিবাসী।
এর
আগে
৫
বার
বিধায়ক
থাকলেও
এই
প্রথমবার
তিনি
সাংসদ
হয়েছেন।
গুজরাতে
আদিবাসী
কল্যাণ
এবং
পরিবেশের
মতো
দফতর
সামলেছেন
ভাভোর।
মোদী
সরকারের
মন্ত্রিদের
মধ্যে
অন্যতম
ছিলেন
তিনি।
মনসুখ
মান্ডব্য
(৪৪)
মান্ডব্য
পটেল
সম্প্রদায়ের
সদস্য।
চাকরির
ক্ষেত্রে
সংরক্ষণ
নিয়ে
যে
আন্দোলন
শুরু
করেছে
পটেল
সম্প্রদায়,
মান্ডব্যকে
মন্ত্রিসভায়
ঢুকিয়ে
তাদের
কাছে
একটা
বার্তা
দিতে
চাইছে
সরকার।
২০১৭
সালেই
রয়েছে
গুজরাতের
নির্বাচন।
তার
আগে
এই
আন্দোলনকে
স্তিমিত
করতে
উঠেপরে
লেগেছে
সরকার।
ফগ্গন
সিং
কুলাস্তে
(৫৭)
কুলাস্তে
আদিবাসী
সম্প্রদায়ের।
এর
আগে
পাঁচবার
সাংসদ
হলেও
মধ্য
প্রদেশের
এই
প্রথমবার
বিধায়ক
তিনি।
রাজ্যসভার
সদস্যও
তিনি
ছিলেন।
বাজপেয়ী
সরকারে
তিনি
প্রতিমন্ত্রী
ছিলেন।
অজয়
তামতা
(৪৩)
উত্তরাখণ্ডে
দুবারের
এই
বিধায়ক
একজন
দলিত
নেতা।
এই
প্রথমবার
সাংসদ
হয়েছেন
তিনি।
উত্তরাখণ্ডে
২০০৭
থেকে
২০১২
সালে
বিজেপি
সরকারের
মন্ত্রী
ছিলেন
তিনি।
অনুপ্রিয়া
সিং
পটেল
(৩৫)
প্রয়াত
কুর্মি
নেতা
সোনে
লাল
পটেলের
কন্যা
অনুপ্রিয়া।
২০১২
সাল
থেকে
উত্তরপ্রদেশের
বিধায়ক
তিনি।
২০১৭
সালের
উত্তরপ্রদেশ
নির্বাচনকে
মাথায়
রেখেই
মন্ত্রিসভায়
তাকে
ঢোকানো
হচ্ছে।
অনুপ্রিয়ার
দল
আপনা
পার্টি
বিজেপির
জোটসঙ্গী।
কৃষ্ণা
রাজ
(৪৯)
উত্তরপ্রদেশের
আর
এক
প্রার্থী
কৃষ্ণা
রাজ।
তিনি
ও
দলিত
নেত্রী।
দুবারের
এই
উত্তরপ্রদেশ
বিধায়ক
এই
প্রথমবার
সাংসদ
হয়েছেন।