ভোট প্রচারে দেওয়া প্রতিশ্রুতি মেনে মোদী নিয়ে এলেন 'জলশক্তি মন্ত্রক'! কী উদ্দেশ্য জানেন কি
তামিলনাড়ু ও কর্ণাটকের মধ্যে কাবেরী জলবণ্টন নিয়ে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল একটা সময়। দুই রাজ্যই জলের দাবিতে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে।
তামিলনাড়ু ও কর্ণাটকের মধ্যে কাবেরী জলবণ্টন নিয়ে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল একটা সময়। দুই রাজ্যই জলের দাবিতে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। পরবর্তীকালে মহারাষ্ট্র থেকে রাজস্থানের কৃষকদেরও জলসংকট বড় বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিয়েছিল। আর তামিলনাড়ু থেকে রাজস্থান এই সমস্ত জায়গায় বিজেপির হয়ে ভোট প্রচারে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেছিলেন সরকারে আসলে তিনি 'জলশক্তি মন্ত্রক' গঠন করবেন। আর ২০১৯ সালের ৩০ মে শপথ নেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মোদী-সরকার জানিয়ে দেয় নতুন মন্ত্রক পেতে চলেছে দেশ, যার নাম ' জলশক্তি মন্ত্রক'।
এপ্রিল ১৩ থেকে মে ৩১
১৩ এপ্রিল তামিলনাড়ুর রামনাথপুরমে বিজেপির তরফে ভোট প্রচারে গিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। আর সেখানেই তিনি ঘোষণা করেছিলেন , সরকার আরও একবার দেশ বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএকে দেশ বেছে নিলেই আনা হবে 'জলশক্তি মন্ত্রক । ' ২৩ মে ভোটে জিতেই পদ্মশিবির ঠিক করে ফেলেছিল জলশক্তি মন্ত্রক আসছেই। আর ৩০ মে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথের পরদনিই মন্ত্রকের মন্ত্রীর নাম ঘোষণা করে দেন নরেন্দ্র মোদী।
জলশক্তি মন্ত্রক ও তাঁর মন্ত্রীকে
জলশক্তি মন্ত্রকের দায়িত্ব পেয়েছেন গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত। এর আগে তিনি ছিলেন ২০১৪ সালের মোদী সরকারের মন্ত্রিসভায় প্রতিমন্ত্রী। আর ২০১৯ সালে রাজস্থান থেকে জিতে আসা এই সাংসদকে জলশক্তি মন্ত্রকের দায়িত্বে রেখেছে মোদী-অমিত শাহের দল।
কেন গজেন্দ্রকেই বেছে নেওয়া হল?
রাজস্থানে বিজেপির হারানো জমি বসুন্ধরা ফের একবার ফিরিয়ে দিয়েছেন। আর সেখানে বসুন্ধরার অন্যতম সেনাপতি ছিলেন গজেন্দ্র সিং। তিনি রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলোটের ছেলে বৈভবকে হারিয়ে এই জায়গা দখল করে নিয়েছেন। ফলে বিজেপির জাতীয় নেতৃত্ব তাঁর সাফল্যের পর জলশক্তি মন্ত্রকের সম্পূর্ণ দায়িত্ব গজেন্দ্রকে দিয়েছেন।
মন্ত্রকের উদ্দেশ্য
সারা দেশে সেচ ব্যবস্থা সুষ্ঠু করে রেখে কৃষি কাজের উপযুক্ত জল যাতে সমস্ত চাষের জমিতে পৌঁছে যায়, তার ব্যবস্থা করার উদ্যোগই এই মন্ত্রকের লক্ষ্য। পাশপাাশি দক্ষিণ ভারতের একাধিক জায়গায় জলের সমস্যাও এই মন্ত্রক মিটিয়ে ফেলার আশা নিয়েই কাজ শুরু করবে দাবি মোদী মন্ত্রিসভার।