'দিদি তো কলকাতা থেকে সোজা রাষ্ট্রসংঘে পৌঁছে গেলেন!', মমতাকে খোঁচা প্রধানমন্ত্রী মোদীর
দেশ জুড়ে নাগরিকত্ব আইন ও জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকরণের বিরুদ্ধে চলছে বিক্ষোভ। বিক্ষোভের জেরে হিংসা ছড়িয়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।
দেশ জুড়ে নাগরিকত্ব আইন ও জাতীয় নাগরিকপঞ্জীকরণের বিরুদ্ধে চলছে বিক্ষোভ। বিক্ষোভের জেরে হিংসা ছড়িয়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। সেই আবহেই আজ দিল্লির রামলীলা ময়দানে সভায় ভাষণ রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবং সভায় দেশে ও দিল্লিতে চলমান অশান্তি ও হিংসা থামানোর আহ্বানের পাশাপাশি বিরোধীদের কড়া সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তোপ দাগেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। প্রসঙ্গত সিএএ বিরোধিতায় সব থেকে বেশি সুর চড়িয়েছেন মমতা নিজে।
মমতাকে খোঁচা মোদীর
আজ সভায় প্রধানমন্ত্রী মমতাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, 'আমাদের দিদি। তিনি তো কলকাতা থেকে সরাসরি রাষ্ট্রসংঘে পৌঁছে গেলেন। আপনি কাদের বিরোধিতা করছেন, কাদের সমর্থন করছেন, সেটা গোটা দেশ দেখছে মমতা দিদি? এই দিদি কয়েক বছর আগেও সংসদে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ থেকে আসা অনুপ্রবেশকারীদের দেশ থেকে তাড়াতে চেয়েছিলেন। আজ আপনি এত কেন বদলে গেলেন। বাঙালি নাগরিকদের কেন আপনি শত্রু বানিয়ে ফেললেন? হঠাৎ বদলে গেলেন কেন? মমতা দিদি, বাংলার নাগরিকদের উপর থেকে আপনার ভরসা উঠে গিয়েছে? আপনাকে পুরো ভারতবর্ষ দেখছে দিদি!'
রাষ্ট্রসংঘের তত্বাবধানে গণভোট চেয়েছিলেন মমতা
এর আগে ১৯ ডিসেম্বর কলকাতার রানি রাসমণি রোডের জনসভা থেকে সিএএ ও এনআরসি প্রসঙ্গে রাষ্ট্রসংঘের গণভোট চেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, রাজস্থান থেকে কেরালা, তামিলনাড়ু, অসমের সবাই নাগরিক। হঠাৎ করে তাহলে বিজেপির মাদুলি পরে প্রমাণ করতে হবে যে নাগরিক কিনা। আগুন নিয়ে খেলার চেষ্টা করবেন না। অস্তিত্ব চলে গেলে কিন্তু ফিরে পাওয়া যায় না।'
নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় রাজ্যে হিংসা
প্রসঙ্গত, নাগরিকত্ব বিল আইনে পরিণত হওয়ার পর থেকেই হিংসা ছড়াতে থাকে বাংলার বেশ কয়েকটি স্থানে। এর জেরে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখতে হয় রাজ্যের ছয় জেলায়। হিংসার জেরে প্রাণহানী না হলেও ব্যপক ক্ষতি হয়েছে সরকারি সম্পত্তির। সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রেলওয়ে। মালদা ডিভিশনে স্টেশনে ভাঙচুর থেকে প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা পুরো ট্রেন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গে বেলডাঙা, উলুবেড়িয়ার মত ১৫টি রেলস্টেশনে কম বেশি ভাঙচুর হয়। প্রতিবাদের নামে তছনছ করা হয় রেলস্টেশন চত্বর। বড় ক্ষতির শিকার হয় ভারতীয় রেল।
ব্যপক ক্ষতি রেলের
ভারতীয় রেলের তরফে জানানো হয়েছে এই বিক্ষোভ তাণ্ডবের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে পূর্ব রেলের। ক্ষতির পরিমাণ ৭০ কোটি। তারপরই রয়েছে দক্ষিণপূর্ব রেল। ক্ষতির অঙ্ক ১৬ কোটি টাকা। উত্তরপূর্ব ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ে তারপরেই রয়েছে। ক্ষতির অঙ্ক সাড়ে ৩ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে প্রায় ৯০ কোটি টাকার সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে রেলের। এটা শুধু ক্ষতির পরিমাণ। এরসঙ্গে নতুন করে তৈরি বা টিকিট ফেরতের ফলে যে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে তা ধরা নেই।
'আমার কুশপুত্তলিকা জ্বালিয়ে দিন,দেশের সম্পত্তি জ্বালাবেন না ',মোদীর গর্জন দিল্লির রামলীলা ময়দান থেকে