বিজেপি কি সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাবে! আসন্ন উপনির্বাচনে অগ্নিপরীক্ষা মোদী-অমিত জুটির
উপনির্বাচনের একের পর এক হার প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে বিজেপিকে। আবার উপনির্বাচন চার লোকসভা কেন্দ্রে। পদ্ম-শিবিরে এখন কুরেকুরে খাচ্ছে দুশ্চিন্তা।
উপনির্বাচনের একের পর এক হার প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে বিজেপিকে। আবার উপনির্বাচন চার লোকসভা কেন্দ্রে। মহারাষ্ট্রের দুই, উত্তরপ্রদেশের এক ও নাগাল্যান্ডের এক কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফলই স্থির করে দেবে, বিজেপি কেন্দ্রে এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকবে কি না। পদ্ম-শিবিরে এখন কুরেকুরে খাচ্ছে সেই দুশ্চিন্তাই।
[আরও পড়ুন:মমতা না মোদী! কার ভাবমূর্তি এবার জয়ের কড়ি জোগাবে, কী বলছে সমীক্ষা রিপোর্ট]
উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর ও ফুলপুরের মতো কেন্দ্রে বিজেপি এবার হার মেনেছে। এখন মহারাষ্ট্রের ভাণ্ডারা-গণ্ডিয়া ও পালঘর, উত্তরপ্রদেশের কাইরানা এবং নাগাল্যান্ডে লোকসভার উপনির্বাচন। বিশেষ করে মহারাষ্ট্র ও উত্তরপ্রদেশের তিনটি কেন্দ্রে এবার অগ্নিপরীক্ষার মুখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই তিনটি কেন্দ্রের দখল রাখতে না পারলে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকবে না বিজেপির।
আগামী মাসের ২৮ তারিখে উপনির্বাচন। ভোটগণনা ৩১ মে। সেইদিনই নির্ধারিত হয়ে যাবে লোকসভায় বিজেপি আর একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল কি না। এই নির্বাচনে হার হয়তো সরকারে কোনও প্রভাব ফেলবে না। কিন্তু ২০১৯ নির্বাচনের আগে বিজেপিকে বড় প্রশ্নচিহ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দেবে।
বিজেপি-বিরোধী জোট হলে সেই ঝড় সামলাবে কী করে মোদী শিবির, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই। কেননা বিজেপি নিজেদের একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল ভেবে এনডিএকে নড়বড়ে করে দিয়েছে। শিবসেনার মতো দল বেরিয়ে গিয়েছে এনডিএ থেকে। তার উপর মহারাষ্ট্রে শারদ পাওয়ার ও রাহুল গান্ধী জোট বাঁধছে। তাই ৫৪৩ আসনের লোকসভায় ২৭২টি আসন দখল রাখা বিজেপি এবার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর মুখে দাঁড়িয়ে আছে বলেই অভিমত রাজনৈতিক মহলের একাংশের।
উল্লেখ্য, ২৮ মে ১০টি রাজ্যে উপনির্বাচন ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ৩টি রাজ্যের ৪টি লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। আর ৯টি রাজ্যে ১০টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। সেগুলি হল বিহারের জোকিহাট, ঝাড়খণ্ডের গোমিয়া ও সিলি, কেরালার চেঙ্গানুর, মহারাষ্ট্রের প্লাউস কাদেগাঁও, মেঘালয়ের অম্পাতি, পঞ্জাবের শাওকত, উত্তরাখণ্ডের থ্রালাই, উত্তরপ্রদেশের নুরপুর এবং পশ্চিমবঙ্গের মহেশতলা।
এই ১০ রাজ্যের উপনির্বাচন যেমন একটা বড় দিক ইঙ্গিত করবে আগামী ২০১৯-এর লক্ষ্যে, তেমনই তার আগে কর্ণাটক বিধানসভার নির্বাচনী ফলও মানুষের জানা হয়ে যাবে। সেদিক দিয়ে মে মাসের ফল আগামী লোকসভার যুদ্ধে একটা সুষ্পষ্ট ধারণা দেবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।