'যাঁর নিজের উপর ভরসা নেই তিনিই নাস্তিক', বিবেকানন্দের জন্মজয়ন্তীতে মোদীর বার্তা
বিবেকানন্দের জন্মজয়ন্তীতে রাজ্যরাতনীতিতে সকাল থেকেই তুঙ্গে রাজনৈতিক পারদ। এদিন ভোর থেকেই দেখা গিয়েছে স্বামীজির বাসভবন সিমলা স্ট্রিটে শুভেন্দু অধিকারী থেকে সুদীপ বন্দ্যোাপাধ্যায়ের মতো নেতাদের ভিড় দেখা যায়। সেখানে আসেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা থেকে উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব মৌর্য। এদিকে,দিল্লিতে বিবেকানন্দের জন্মজয়ন্তীতে দিল্লিতে সংসদের বিশেষ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল সভায় যোগ দিয়ে বক্তব্য রাখেন মোদী।


মোদীর টুইট
এদিন সকালেই নরেন্দ্র মোদী টুইটার পোস্ট থেকে স্বামীজির প্রতি শ্রদ্ধা জানান। সেখানে তিনি লেখেন, নমো অ্যাপের হাত ধরে বিবেকানন্দ জয়ন্তীতে একটি নয়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যার হাত ধরে বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়া যাবে বিবেকানন্দের ভাবনা ও আদর্শ।

মোদীর বার্তা বিজেতাদের
এদিন যুব দিবসে প্রতিযোগিতায় বিজেতা কিশোর কিশোরীদের বক্তব্যকে নিজের টুইটার থেকে টুইট করবনে বলে জানান মোদী। তিনি বলেন প্রতিযোগীদের ভাষণে তিনি মুগ্ধ। তাদের প্রশংসার পাশাপাশি সংসদে উপস্থিত সমস্ত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সম্ভাষণ জানিয়ে বক্তব্য শুরু করেন মোদী।

স্বামীজিকে নিয়ে মোদীর বার্তা
মোদী বলেন, স্বামীজির থেকে নিজেকে আলাদা করতে পারেন না দেসের কেউই। স্বাধীনতার সময়ও স্বমীজির ভূমিকা অনস্বীকার্য ছিল। ভারতের শক্তিকে , সামর্থকে জানান দিয়েছেন স্বামীজি। ক্রান্তি ও শান্তি মার্গের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার লড়াই স্বামীজির দ্বারা অনুপ্রাণিত। সেই সময় স্বামীজির আদর্শ, সাহিত্য নিয়ে আলোচনা হত, যা দেশের যুব সমাজ, স্বাধীনতার আন্দোলনকে প্রেরণা দিয়েছিল।

রাষ্ট্রবাদ প্রসঙ্গে স্বামীজিকে নিয়ে মোদী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রবাদ নিয়েও স্বামীজির ভাবনা আজও প্রাসঙ্গিক। বিবেকান্দদের ছবি দেখলেই অন্তর থেকে শ্রদ্ধা আসে। তিনি বলেন,স্বামীজি মানুষ গড়া থেকে প্রতিষ্ঠান গড়া পর্যন্ত এক অসামান্য দর্শন রেখে গিয়েছেন। মোদী বলেন, ব্যক্তিনির্মাণ থেকে রাষ্ট্রনির্মাণ নিয়ে স্বামীজির বার্তা বহুজনকেই নিজের পায়ে দাঁড়াতে সুবিধা দিয়েছে। 'যাঁর নিজের উপর ভরসা নেই সেই নাস্তিক' বিবেকানন্দের এই বার্তা মনে করিয়ে দেন মোদী।
স্বামীজির কথা উল্লেখ করে মোদী বলেন, 'মাসলস্ অফ আয়রন'নিয়ে স্বামীজির বক্তব্য তুলে ধরে শারীরিক কসরতের বার্তা দেন মোদী।

নিজের আগে দলের উপর ভরসা
মোদী বলেন, স্বামীজি চিরকালই নিজের দলের লোকের উপর ভরসা করে গিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে স্বামী সারদা নন্দজির কথা উল্লেখ করেন। 'লিডার বেবাক, সাদা মনের উচ্চাকাঙ্খী যুবকই রাষ্ট্র নির্মাণের বোঝা নিতে পারে।' মোদী বলেন, দেশকে আত্মনির্ভর করার কাজ যুবকরাই করতে পারেন। আর এই উদ্দেশ্যে লক্ষ্য স্পষ্ট করে এগিয়ে যেতে বলেন মোদী। তিনি বলেন, লক্ষ্য স্থির রাখতে বয়স ফ্যাক্টর নয়। এপ্রসঙ্গে বিরসা মুণ্ডার ফাঁসির কথাও উল্লেখ করেন মোদী। এক্ষেত্রে রাজনীতিতে যুবকদের আহ্বান করে মোদী বলেন, শাসক বদলাতে যুব শক্তিরই প্রয়োজন।

সৎ মানুষরা রাজনীতিতে সুযোগ পান
মোদী এদিন বলেন, পারফরম্যান্স রাজনীতির একমাত্র শর্ত। দুর্নীতি যাঁরা করেন, তাঁদের কাছে দুর্নীতি এখন বোঝা। মোদী বলেন, দেশ আজ সৎ মানুষকে ভালোবাসছে, সৎ মানুষদের ভরসা করছে। 'পরের নির্বাতনে সভি স্ট্রং হতে হবে। তবে বদল হতে হবে কিছু জিনিস।' লোকতন্ত্রে সবচেয়ে সমস্যা রাজনৈতিক বংশবাদ। এই বংশবাদ সমূলে উৎপাটিত করতে পারবেন যুবকরাই। বংশবাদের রোগ সম্পূর্ণ শেষ করতে হবে। বাংশবাদই দেশের অক্ষমতার বোঝা বাড়িয়ে দেয়। এই রাজনীতিকরা নিজেদের পরিবার ছাড়া কিছু বোঝেননা, আর তার হাত ধরে দুর্নীতি আসে দেশে। আগের জেনারেশনের যখন কিছু হয়নি, তাহলে তাদেরও হবেন। এরা আইনের ভয় পায়না। আর এই স্থিতি পরিবর্তন করতে হবে। তাই রাজনীতিতে যুব সমাজকে আসতে হবে। তবে স্বার্থ নয়, কিথু করার জন্য আসুন রাজনীতিতে, বার্তা দেন মোদী। যুব সমাজ রাজনীতিতে না আসলে বংশবাদ শেষ হবে না। এজন্য সরকার দেশের পরবর্তী জেনারেশনকে রাজনীতির দিকে প্রেরিত করতে চেষ্টা করছে।

বিপদ আসলে কী করতে হবে!
মোদী বলেন, বিপদ আসবেই। তবে সেই বিপদ থেকে শিক্ষা নিতে হবে। মাথা ঠান্ডা করে সেই পরিস্থিতিতে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ২০০১ সালে ভুজে ভূকম্পের সময় গোটা কচ্ছ ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল প্রায়। আমি সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী পদে যোগ দিয়েছিলাম। এরপর কচ্ছে শুধু ইমারতই তৈরি করা হয়নি। বিকাশের রাস্তা ধরে সেই সময় জল, বিদ্যুৎ দিয়ে কচ্ছকে ফের সুন্দর করা হয়। নতুন করে সেখানে পর্যটনের বন্দোবস্ত করা হয়।