লাদাখ নিয়ে কংগ্রেসের গড়িমসির পর্দা ফাঁস, সীমান্ত পরিকাঠামো নিয়ে কড়া বার্তা নরেন্দ্র মোদীর
হিমাচলপ্রদেশের রোটাংয়ে অটল টানেলের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এটিই বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ টানেল। অটল টানেলের উদ্বোধনে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দিনটিকে ঐতিহাসিক বলে উল্লেখ করেন। জানান, এতদিনে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী-র স্বপ্ন বাস্তবরূপ পেয়েছে তাঁর নামেই এই টানেলটির নামকরণ করা হয়েছে।
টানেলটি সীমান্তের পরিকাঠামো অনেক শক্তিশালী করবে
এই টানেলটি সীমান্তের পরিকাঠামো অনেক শক্তিশালী করবে। এই বিষয়ে তিনি বলেন , 'অটল টানেল ভারতের সীমান্তের পরিকাঠামোকে নতুন শক্তি দেবে। এটি বিশ্বমানের সীমান্ত যোগাযোগের মাধ্যম। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এই জাতীয় প্রকল্পগুলি হয় পরিকল্পনার পর্যায়ে থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি বা মাঝপথে আটকে গিয়েছে।'
সুড়ঙ্গটি লাদাখের যোগাযোগকে আরও সহজ করে তুলবে
শুধু তাই নয়, লাদাখের সঙ্গে মানালির যোগাযোগ আরও সুগম হবে বলে মত প্রধানমন্ত্রীর। এই বিষয়ে তিনি বলেন , 'এই সুড়ঙ্গটি হিমাচলের জন্য কেবল গুরুত্বপূর্ণই নয়, এর সঙ্গে লাদাখের যোগাযোগকে আরও সহজ করে তুলবে। প্রায় পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা সময় বেঁচে যাবে। পাহাড়বাসী এই চার বা পাঁচ ঘণ্টা সময় কমে যাওয়ার তাৎপর্য কতটা তা জানে।'
লাদাখের দৌলত বেগ ওল্ডি বায়ুসেনা ঘাঁটি বন্ধ ছিল ৪০-৫০ বছর
এরপর লাদাখের প্রতি কংগ্রেস উদাসীনতার অভিযোগ তুলে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, 'লাদাখের দৌলত বেগ ওল্ডি বায়ুসেনা ঘাঁটি বন্ধ ছিল ৪০-৫০ বছর। কেন এতদিন তা বন্ধ রাখা হয়েছিল তা জানানোর দায় পূর্ববর্তি সরকারের।' তিনি আরও বলেন, 'সীমান্তের যোগাযোগ ব্যবস্থায় সঙ্গে দেশের নিরাপত্তা ও এলাকার উন্নয়ণও জড়িয়ে থাকে। এতদিন তা হয়নি। বর্তমান সরকার তা করে দেখিয়েছে।'
বর্তমানে কেন্দ্রের কাছে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ দেশের নিরাপত্তা
২০০০ সালের ৩ জুন অটল বিহারী বাজপেয়ীর সময় রোটাং টানেলের নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এরপর ২০০২ সালে অটল বিহারি বাজপেয়ী এই টানেলের অ্যাপ্রোচ রোডের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। প্রধানমন্ত্রীর দাবি, এমন একটা সময় ছিল যখন নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত একাধিক প্রকল্পের কাজও দেরী করিয়ে দেওয়া হতো। কিন্তু বর্তমানে কেন্দ্রের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হল দেশের নিরাপত্তা।
হঠাৎ ব্যস্ত রাহুল গান্ধী, ডায়েরিতে পিছনের পাতায় কৃষি আইন! হাথরাস নিয়ে কোমর কষছে কংগ্রেস