দু'মাস লুকোচুরির পর অবশেষে গ্রেফতার হলেন নারায়ণ সাঁই
রাজস্থান, দিল্লি এবং উত্তরপ্রদেশে ছদ্মবেশে গা ঢাকা দিয়ে ছিলেন নারায়ণ সাঁই
পুলিশসূত্রে খবর, এদিন রাতে এক সঙ্গীকে নিয়ে শিখ ছদ্মবেশ ধারণ করে হরিয়ানায় ঢোকার চেষ্টা করছিলেন নারায়ণ সাঁই। সেই সময়ই তাঁকে ধরে ফেলে পুলিশ। দিল্লি ক্রাইম ব্রাঞ্চ অফিসে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বুধবার দুপুরে তাঁকে আদালতে তোলা হতে পারে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
গত দু মাস ধরে রাজস্থান, দিল্লি এবং উত্তরপ্রদেশে গা ঢাকা দিয়ে ছিলেন নারায়ণ সাঁই। এমনকী ঘন ঘন রূপ পরিবর্তন করে পুলিশের থেকে বাঁচার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন তিনি। সোমবার রাতে পুলিশ খবর পায় নারায়ণ সাঁই ছদ্মবেশে পাঞ্জাবের লুধিয়ানা থেকে দিল্লি আসছে। এর পরই দিল্লি ও গুজরাত পুলিশ যৌথভাবে নারায়ণ সাঁইয়ের পিছু করতে শুরু করে। হরিয়ানা ঢোকার মুখে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত অক্টোবর মাসে আশারাম বাপু ও নারায়ণ সাঁই দুজনের বিরুদ্ধেই গুজরাত সুরাতের দুই বোনকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। দুই বোন অভিযোগ করে, গুজরাতে আশ্রমে বাবা ও ছেলে মিলে তাঁদের উপর যৌন আক্রমণ চালায় ও ধর্ষণ করে। শুধু এই নয় ২০০২ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত আশারামবাপু এক বোনকে বারবার ধর্ষণ করে এবং তার দিদিকে ১৯৯৭ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত একাধিক বার ধর্ষণ করেন। ওই সময়ে গুজরাতে আশারাম বাপুর আশ্রমে থাকতেন ওই দুই বোন।