দেশের আর্থিক সংস্কার আর প্রযুক্তির উন্নয়নের কৃতিত্ব নরসীমা রাও, মনমোহনকে দিলেন নারায়ণ মূর্তি
দেশের আর্থিক সংস্কারের কৃতিত্ব নরসিমা রাও-মোনমোহন সিংদের। এমনই দাবি করেছেন ইনফোসিসের প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মূর্তি।
দেশের আর্থিক সংস্কারের কৃতিত্ব নরসিমা রাও-মোনমোহন সিংদের। এমনই দাবি করেছেন ইনফোসিসের প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মূর্তি। সেন্টজেভিয়ার্স কলেজের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তিনি বলেছেন, একটা সময় ছিল তখন দেশের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর টেবিলের টেলিফোনও কাজ করত না। একটি টেলিফোনের কানেকশন পেতে সাত বছর সময় লেগে যেত। টেলিফোনের কানেকশনের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হত সরকারি আধিকারিকদের।
ছাত্রছাত্রীদের আটের দশকে দেশের প্রযুক্তির অবস্থা বলতে গিয়ে নারায়ণ মূর্তি বলেন, সেসময়কার টেলিকম মন্ত্রী সিএম স্টিফেনকে একজন টেলিফোন কাজ করছে না বলে অভিযোগ করেছিলেন। তাঁকে জবাবে স্টিফেন বলেছিলেন তোমার টেবিলে যে ওই যন্ত্রটি রয়েছে সেটা ভেবেই আনন্দে থাকো। কারণ প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর টেবিলের টেলিফোনও কাজ করে না।
[দিনের বাছাই করা সেরা ছবিগুলি দেখুন একঝলকে]
শুধু টেলি যোগাযোগ নয় এক শহর থেকে আরেক শহরে যাওয়ার যোগাযোগ ব্যবস্থাও একটা সময়ে চরম অবস্থায় ছিল। একটি কম্পিউটার আমদানি করার লাইসেন্স বের করতে তিন বছর সময় লেগে যেত বলে জানিয়েছেন কৃষ্ণমূর্তি। সেই লাইসেন্স পেতে ৫০ বার দিল্লি যাতায়াত করতে হতো। এই দিল্লি যাওয়ার বিমান ভাড়া দিতে দিতেই পকেট ফাঁকা হয়ে যেত। আর লাইসেন্স পাওয়ার পর বিদেশে কম্পিউটারের অর্ডার দিতে হলে আগে আরবিআইকে জানাতে হতো। তাতে সময় লেগে যেত প্রায় এক মাস।
সরকারি আমলারা নিজেদের প্রভাব খাটিয়ে সেটা করতে পারলেও সাধারণ মানুষের পক্ষে সেটা অসাধ্য সাধন করা ছিল। এই পরিস্থিতি এখনকার তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রের কেউ ভাবতেই পারেন না। তার একমাত্র কারণ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নরসিমা রাও, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, মন্টেক সিং আলুওয়ালিয়া এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম। তাঁরাই এই অসম্ভব কাজ গুলির সরলীকরণ করেছেন। তাঁরা না থাকলে দেশের আর্থিক সংস্কার কোনও ভাবেই সম্ভব ছিল না বলে দাবি করেছেন নারায়ণ মূর্তি।
অথচ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এসে ডিজিটাল ইন্ডিয়ার যে হিড়িক শুরু করেছেন সেটা কোনওভাবেই সম্ভব হতো না এঁরা না থাকলে। পরোক্ষে এটাই বোঝাতে চেয়েছেন নারায়ণ মূর্তি।