নন্দন নিলেকানির ঘোষিত সম্পদের পরিমাণ ৭৭০০ কোটি টাকা!
আধার কার্ড প্রকল্পের রূপকার নন্দন নিলেকানিকে শেষ মুহূর্তে লোকসভা ভোটের টিকিট দিয়েছে কংগ্রেস। নন্দন নিলেকানির তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, "আইআইটি থেকে পাশ করে যখন বেরিয়েছিলাম, তখন পকেটে ছিল ২০০ টাকা। আমরা ইনফোসিস তৈরি করেছিলাম ১০ হাজার টাকা দিয়ে। শূন্য থেকে শুরু হওয়া একটি কোম্পানি সফল হওয়ায় আজ নন্দন নিলেকানি এবং রোহিণী নিলেকানির সম্পদের পরিমাণ ৭৭০০ কোটি টাকা।" প্রসঙ্গত, রোহিণী হলেন নন্দন নিলেকানির সহধর্মিণী।
এই বিপুল সম্পদের ব্যাপারে কী ব্যাখ্যা দিচ্ছেন নন্দন নিলেকানি? তিনি বলেন, "আমাদের সম্পদের সিংহভাগ, প্রায় ৮০ শতাংশ হল ইনফোসিসের শেয়ার। ইনফোসিস যখন বেঙ্গালুরুতে লক্ষ লক্ষ চাকরি তৈরি করেছিল, তখন এই সম্পদ তৈরি হয়েছিল। আমি অবৈধ উপায়ে অর্থ জমাইনি। দেশের বাইরে লুকিয়ে-চুরিয়ে কোথাও কিছু বিনিয়োগ করিনি। অন্য কারও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কিছু লুকিয়ে রাখিনি। এই সম্পদ স্বচ্ছ উপায়ে অর্জিত। কর দিয়েছি।"
রোহিণী নিলেকানি বলেন, "আমি গত ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে সমাজসেবা করছি। ৪০০ কোটি টাকা দান করেছি নানা দরকারে, দাতব্যে। ইনফোসিসের শেয়ার বিক্রি করে আমি যখনই টাকা পাই, সেটা দানধ্যানে খরচ করি।"
নন্দন নিলেকানির বিরুদ্ধে বিজেপি টিকিটে যিনি ভোটে দাঁড়িয়েছেন, সেই অনন্ত কুমার অবশ্য এতটা ধনী নন। হলফনামা অনুসারে তাঁর সম্পদের পরিমাণ ৫১.১২ লক্ষ টাকা। স্ত্রী তেজস্বিনীর সম্পদের পরিমাণ ৩.৮৬ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে পারিবারিক সম্পদের পরিমাণ হল ৪.৪ কোটি টাকা।
অর্থের বিচারে নন্দন নিলেকানি এগিয়ে থাকতেই পারেন। কিন্তু যে ময়দানে খেলতে নেমেছেন, সেখানে তিনি আদৌ এগিয়ে নেই। বিজেপি হেভিওয়েট অনন্ত কুমার পরপর পাঁচবার জিতেছেন বেঙ্গালুরু দক্ষিণ আসন থেকে। এখনও তিনি সাংসদ। জনসংযোগে প্রতিদ্বন্দ্বীর থেকে বহু যোজন এগিয়ে। এই কেন্দ্রে গত ৪৫ বছরে একবারও জেতেনি কংগ্রেস। ব্যতিক্রম শুধু ১৯৮৯ সাল। সেই বছর কংগ্রেসের টিকিটে জিতেছিলেন গুন্ডু রাও। ফলে নিলেকানির কাছে লড়াইটা সোজা নয়। যদিও তিনি নিজে আত্মবিশ্বাসী। বেঙ্গালুরু দক্ষিণ কেন্দ্রে অনেক বাসিন্দা আছেন, যাঁরা তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী। সেই ভোট সংখ্যায় কম নয়। এই ভোটের পুরোটাই পাবেন বলে আশাবাদী তিনি। যদিও চিরাচরিত ব্রাহ্মণ ভোটের সিংহভাগই পড়বে অনন্ত কুমারের দিকে। কারণ বিজেপি প্রার্থী অনন্ত কুমার ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ের মানুষ। চূড়ান্ত ফলাফল জানতে অপেক্ষা করতে হবে সেই ১৬ মে পর্যন্ত।