লোকসভার ভোট-যুদ্ধ শেষ হতেই অদৃশ্য হয়ে গেল মোদীর ‘প্রচার যন্ত্র’ নমো-টিভি
ভোট শেষ, নামো টিভির যাত্রাও শেষ। ২০১৯-এর ভোট-যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরদিনই রহস্যজনকভাবে অদৃশ্য হয়ে গেল নমো টিভি চ্যানেল! তা দেখে অনেকেই ভ্রু কুঁচকাতে শুরু করেছে।
ভোট শেষ, নামো টিভির যাত্রাও শেষ। ২০১৯-এর ভোট-যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরের দিনই রহস্যজনকভাবে টিভির পর্দা অদৃশ্য হয়ে গেল নমো টিভি চ্যানেল! তা দেখে অনেকেই ভ্রু কুঁচকাতে শুরু করেছে। নমো টিভি যে শুধু লোকসভা ভোট প্রচারের জন্যই দর্শকদের জন্য 'ফ্রি টু এয়ার' করে দেওয়া হয়েছিল, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে সাধারণের কাছে।
২০১৯ সালের ২৬ মার্চ লোকসভা নির্বাচনের শুরু হওয়ার ঠিক আগেই এই পরিষেবা চালু করা হয়েছিল। বিভিন্ন পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থার প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে নমো টিভি ছড়িয়ে পড়েছিল। স্বল্প সময়ে জনপ্রিয়ও হয়ে পড়েছিল। কিন্তু ভোট মিটতেই তার পথ চলা শেষ হয়েছে। অদৃশ্য হয়ে গিয়েছে টিভি থেকে।
এই নমো টিভির মাধ্যমে বিজেপি তাঁদের প্রচারকে জনমানসে ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে। বিরোধীদের সমস্ত আক্রমণকে ভোঁতা করে দিতে ব্যবহার হয়েছে এই টিভি। বিরোধীদের পক্ষ থেকে আগেই অভিযোগ করা হয়েছিল, নামো টিভিকে 'প্রচার যন্ত্র' হিসেবে ব্যবহার করছে বিজেপি। কারণ এটি কেবল মোদির সাক্ষাৎকার, বিজেপির সমাবেশ এবং ভিডিওগুলি প্রচার করেছে।
টাটা স্কাই, ভিডিওকন ও ডিস টিভির মতো ডিটিএইচ অপারেটররা ফ্রি-টু-এয়ার সার্ভিসে নমো টিভি দেখিয়েছে। বিনা অর্থ ব্যয়ে গ্রাহকরা এতদিন এই চ্যানেল দেখেছেন। কিন্তু ভোট-পর্ব মিটতেই সেই চ্যানেল হাওয়া হয়ে গিয়েছে। এর আগে নির্বাচন কমিশনের নোটিশেও আনা হয়েছিল বিষয়টি। তখন মন্ত্রণালয়ের অনুমতির কথা বলা হয়েছিল।
কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীও নামো টিভির বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। টুইট করে রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, নির্বাচনের সময় নমো টিভিতে মোদির সেনাবাহিনীকে নিয়ে বার্তা, কেদারনাথের নাটক-সহ যাবতীয় সম্প্রচারিত হয়েছে। এবং নির্বাচনের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে।