ঘূর্ণিঝড় 'ভরদা' নামটির বুৎপত্তি কীভাবে? কে এমন নাম দিল? জেনে নিন
সোমবার বিকালের মধ্যেই তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল এলাকায় আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড় ভরদা। তবে জানেন কি কারা করল এমন নামকরণ? এই ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করেছে পাকিস্তান।
বেঙ্গালুরু, ১২ ডিসেম্বর : সোমবার বিকালের মধ্যেই তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল এলাকায় আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড় ভরদা। আপাতত তা বঙ্গোপসাগরের উপর দিয়ে ধেয়ে আসছে দক্ষিণের রাজ্যগুলির দিকে।
তবে জানেন কি কারা করল এমন নামকরণ? এই ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করেছে পাকিস্তান। এর অর্থ 'লাল গোলাপ'। বিকালে উপকূল হয়ে মাটিতে আছড়ে পড়ার সময়ে তার ক্ষমতা অনেকটাই কমে যাবে বলে জানানো হয়েছে। তবে সকাল থেকেই চেন্নাই ও অন্ধ্র সীমান্তে বৃষ্টিপাত শুরু হয়ে গিয়েছে।
কিন্তু কেন প্রতিবার ঘূর্ণিঝড়ের আলাদা নাম দেওয়া হয় তা নিয়ে অনেকেরই আগ্রহ রয়েছে। প্রতিবছর ভারত মহাসাগর ও বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণাবর্ত বা ঝড়কে আলাদা নাম দেওয়া শুরু হয়েছে ২০০৪ সাল থেকে।
এর আগে বঙ্গোপসাগরে যে কটি ঘূর্ণিঝড় হয়েছে তার আলাদা করে নাম দেওয়া হয়েছে। যেমন হুদহুদ, নিলোফার, কোমেন, রোয়ানু ইত্যাদি। এবার যেমন নাম দেওয়া হয়েছে 'ভরদা'।
ভারতীয় 'ইন্ডিয়ান মেটিওরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট' বাংলাদেশ, মলদ্বীপ, মায়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কাকে আবহাওয়া বিষয়ক সাহায্য প্রদান করে থাকে। এই সবকটি দেশ মিলিয়েই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ভারত মহাসাগর ও বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ট্রপিক্যাল সাইক্লোনগুলির নাম ঠিক করে থাকে।
এইভাবে মোট ৬৪টি নাম ঠিক করা রয়েছে। যখন যে দেশের সময় আসে, ঘূর্ণিঝড়ের সময়ে সেই দেশ তার নাম দিয়ে থাকে। এবার সেই অনুযায়ী ঝড়ের নামকরণ করেছে পাকিস্তান।