নাগাল্যান্ডের অভিযুক্ত ধর্ষককে খুনের ঘটনায় ১৮ জনকে গ্রেফতার
ডিমাপুর, ৮ মার্চ : ডিমাপুরে অভিযুক্ত ধর্ষককে খুনের ঘটনার উত্তাপ ক্রমবর্ধমান। উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই হামলাকারীদের মধ্যে ১৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। পাশাপাশি শহরের ইন্টারনেট ও মোবাইল এসএমএস পরিষেবাও বন্ধ রাখা হয়েছে।
নাগাল্যান্ড পুলিশ জানিয়েছে, সেদিনের ঘটনা মোবাইলে তোলা ভিডিও ক্লিপিংয়ের মাধ্যমে খতিয়ে দেখে শনাক্ত করা হয়। বিক্ষোভ ও আইন-বিরুদ্ধ কাজের অভিযোগে তারপরই এদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
অন্যদিকে সঈদ ফরিদ খান নামে ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তির মৃতদেহ নাগাল্যান্ড সরকার অসম সরকারের হাতে হস্তান্তর করার পর শনিবার তা তার করিমগঞ্জের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। ফরিদ খানকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে করিমগঞ্জ সহ অসমের নানা এলাকায় এখনও ক্ষোভ রয়েছে। যেকোনওরকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সতর্ক রয়েছে প্রশাসন।
নাগাল্যান্ডের ডিমাপুরে। সঈদ ফরিদ খান (৩৫) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে বছর ২০-র এক নাগা যুবতীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। গতমাসের ২৩ ও ২৪ তারিখ অভিযুক্ত ফরিদ খান নাগাল্যান্ডের বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে গিয়ে একাধিকবার যুবতীটিকে ধর্ষণ করে। অভিযোগ পেয়েই ২৫ তারিখ পুলিশ অভিযুক্ত ফরিদ খানকে গ্রেফতার করে।
ঘটনার প্রতিবাদে ও অভিযুক্তকে শাস্তি দিতে কয়েক হাজার উত্তেজিত জনতা ডিমাপুরের সেন্ট্রাল জেলে হামলা চালিয়ে জেলের গেট ভেঙে পুলিশের সামনে থেকেই অভিযুক্তকে ছিনিয়ে যায়। এরপর প্রথমে তাকে বিবস্ত্র করে রাস্তায় হাঁটানো হয়, তারপর সবাই মিলে পিটিয়ে, পা দিয়ে পিষে অভিযুক্তকে ঘটনাস্থলেই খুন করে। প্রথমে অভিযুক্তকে মোটরসাইকেলের পিছনে দড়ি দিয়ে বেঁধে টেনে নিয়ে ডিমাপুর শহরের মূল কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর তার দেহ একটি ঘড়ি টাওয়ারে ঝুলিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা।
ঘটনার সময় পুলিশ বাধা দিতে গেলে তাঁদের উপরও হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ।