গণতন্ত্রের ডাক দিয়েছিলেন ওঁরা, চার গণতন্ত্রপন্থীকে ফাঁসিতে ঝোলাল মায়ানমারের সামরিক বাহিনী
Array
মায়ানমারে চরমে পৌঁছেছে পরিস্থিতি। সামরিক অভ্যুত্থান অনেক আগেই হয়েছে সেখানে। অর্থনৈতিক অবস্থা চরমে। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন বহু গণতন্ত্রপন্থী । তাদের মধ্যে চার জনকে ফাঁসি দিয়েছে তাদের সামরিক বাহিনী।
বিগত কয়েক দশকের মধ্যে প্রথমবার সর্বোচ্চ সাজা হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের দেওয়া হল সেখানে। যাদের ফাঁসি দেওয়া হয়েছে তাঁরা হলেন , ফিও জেয়া থাও, কো জিমি, হ্লা মায়ো অং, অং থুরা জাও। ফিও জেয়া থাও ছিলেন একজন এমএলএ, কর্মী কো জিমি ছিলেন লেখক। তাঁদের সঙ্গে হ্লা মায়ো অং এবং অং থুরা জাওকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অনেক আগেই তাঁদের বিরুদ্ধে 'সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডের' জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছিল।
এরপর জুন মাসে মায়ানমারের সামরিক বাহিনী তাঁদের মৃত্যুদন্ড দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করে। এই সাজার ঘোষণার পরেই আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক নিন্দা ও সমালোচনার মুখে পড়ে জান্তা সরকার।মায়ানমারের জান্তা গত ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে। সেই সরকারের প্রধান ছিলেন অং সান সু চি। এই ঘটনার পরেই মায়ানমার জুড়ে শুরু হয় ব্যাপক বিক্ষোভ। ২০২১ সাল, সেই সময় সে দেশে হয় সেনা অভ্যুত্থান। এর মাধ্যমেই মায়ানমারে দেশটির সেনাবাহিনী ক্ষমতায় আসে।
অভ্যুত্থানের বিরোধিতায় গঠিত হয়েছে মায়ানমারের ছায়া জাতীয় ঐক্য সরকার। যার নাম এনইউজি। তাঁরা আবার এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা করেছে। এনইউজি বলেছে যে তারা, 'অত্যন্ত দুঃখিত ও মর্মাহত'। এতে রয়েছেন গণতন্ত্রপন্থি মানুষ, সশস্ত্র জাতিগত গোষ্ঠীর প্রতিনিধি। এর পাশাপাশি রয়েছেন এনএলডি সদস্যরা।
তারা মায়ানমারের সেনাবাহিনীর এই ধরনের নিষ্ঠুরতার জন্য শাস্তির দাবি জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে। মায়ানমারের রাষ্ট্রীয় সংবাদ আউটলেট গ্লোবাল নিউজ লাইট অফ মায়ানমারের প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, যে চারজনের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়েছে তারা নৃশংস ও অমানবিক সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য ষড়যন্ত্র করেছিল। তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী আইনে অভিযোগ আনা হয়।
চার জনের ফাঁসি কার্যকর হয়ে গেলেও কীভাবে যে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হল তা এক্কেবারেই জানা যায়নি। রাষ্ট্রসংঘের মতে, ১৯৮৮ সালে শেষবার সেখানে ফাঁসি হয়েছিল। তারপর থেকে তেমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। তারপর কেতেছে ৩৪ বছর। এতদিন পর এই প্রথম মায়ানমারে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। এবার মায়ানমারের পরিস্থিতির আর কতটা অবনতি ঘটে সেটাই এখন দেখার।
লাল জামা-পাগড়ি সঙ্গে ঘোড়া, রাজকীয় এই রেজিমেন্ট দায়িত্বে থাকবে রাষ্ট্রপতির