ভারতে ঢুকেই ভোল বদলাচ্ছে বহুরূপী করোনা! নয়া স্ট্রেনের রকমফেরে বাড়ছে আতঙ্ক
ক্রমশ বিবর্তিত হয়ে যেভাবে তান্ডব চালাচ্ছে বহুরূপী করোনা, তাতে ইতিমধ্যেই লকডাউনে দিয়েই নতুন বছর শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছে বহু দেশ। ১৭ রকমের রকমফেরের মধ্যে আটটি বদল শুধুমাত্র স্পাইক প্রোটিনেই ঘটিয়েছে এই ভাইরাস, আর তার ফলে আগের থেকেও ৭০% অধিক সংক্রমক আকারে ফিরে এসেছে কোভিড, এমনটাই মত করোনাবিদদের। এই নয়া করোনা স্ট্রেনকে নিয়ে নতুন করে সতর্কবার্তা দিতে দেখা গেল হায়দরাবাদের সেলুলার এবং আণবিক জীববিজ্ঞান কেন্দ্র বা সিসিএমবি-এর তরফে।

ভারতেও ঢুকে পড়েছে নয়া স্ট্রেন
এদিকে করোনার নতুন স্ট্রেনের ফলে উপসর্গে যেমন বদল দেখা যায়নি, তেমনই কোনোরকম অন্তরায় সৃষ্টি হয়নি ভ্যাকসিন গবেষণায়, এমনটাও জানানো হচ্ছে সিসিএমবি-র তরফে। আন্তর্জাতিক করোনাবিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমানে ব্রিটেনের মোট সংক্রামিতের ৬০% কোভিডের এই নয়া বি.১.১.৭ স্ট্রেনের শিকার হয়েছেন। এদিকে এখনও পর্যন্ত গত এক মাসে ব্রিটেন থেকে ভারত ফেরত উড়ানগুলির প্রায় ৩৩,০০০ যাত্রীকে পরীক্ষা করে প্রায় ৭ জনের শরীরে করোনার নতুন স্ট্রেনের খোঁজ মিলেছে। যদিও এই স্ট্রেন-ধারী নাগরিকের সংখ্যাটা আরও বেশি, এমনটাই মত চিকিৎসকমহলের।

নতুন স্ট্রেনকে রুখতে যুদ্ধকালীন তৎপরতা
এদিকে নয়া করোনার বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে জিনোম সিকোয়েন্সের উপরেই জোর দিচ্ছেন গবেষকরা। বর্তমানে সিসিএমবি হায়দরাবাদে জিনোম সিকোয়েন্স পরীক্ষার সমস্তরকমের প্রক্রিয়া চলছে ডঃ দিব্যা তেজ স্বপতির তত্ত্বাবধানে। জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের ক্ষেত্রে সবরকমের প্রক্রিয়ার প্রয়োগ চলছে, এমনটাই জানিয়েছেন ডঃ দিব্যা। যদিও বর্তমানে অভিযোজনের মাধ্যমে স্ট্রেন যেভাবে মানবকোষের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলেছে, তাতে সংক্রমণ কতদূর আটকানো সম্ভব হবে, সে বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন গবেষকরা।

স্বল্প সময়ে অধিক সংক্রমণের কারণেই বাড়ছে আতঙ্ক
সিসিএমবি-র করোনা গবেষকদের মতে, উপসর্গের ক্ষেত্রে কোনোরকম বদল ঘটায়নি বি.১.১.৭, কিন্তু আগের চেয়েও অনেক বেশি সংক্রামক ও আক্রমণাত্মক হওয়ায় বাড়ছে উদ্বেগ। সিসিএমবির আধিকারিকরা জানিয়েছেন, আগের মতোই সমস্তরকমের করোনাবিধি মেনে চললেই সংক্রমণ এড়ানো সম্ভব। যদিও উৎসবের মরশুমে মানুষ কতটা স্বাস্থ্য সচেতন থাকবে, সে বিষয়ে প্রশ্ন থাকছেই।

নববর্ষের প্রাক্কালেও মানতে হবে বিধি
এদিকে ইতিমধ্যেই দোরগোড়ায় এসে দাঁড়িয়েছে নতুন বছর। শুরু হয়েছে নববর্ষ উদযাপনের প্রস্তুতিও। আর এমতাবস্থায় সবরকমের করোনাবিধি মেনে চলার স্পষ্ট ইঙ্গিত দিলেন সিসিএমবির অধিকর্তা ডঃ রাকেশ মিশ্র। তাঁর মতে, "উৎসবের মরশুমেও শারীরিক দূরত্ব মানতে হবে, মাস্ক পরতে হবে এবং জনবহুল স্থান এড়িয়ে চলতে হবে। তবে মিলবে মুক্তি।" একইসাথে প্রায় সমস্ত করোনাবিদদের মতেই, ভারতের মতো বিশ্বের দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ জনসংখ্যার দেশে অভিযোজিত করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে হলে দেশের নাগরিকদেরই সচেতন করা ছাড়া আর কোনও উপায়ই নেই।
ভোট প্রতিশ্রুতির প্রতিযোগিতা চরমে, বিজেপি-তৃণমূল-বামেদের ছাপিয়ে গেল কংগ্রেস, কী বললেন অধীর