অবশ্যই নিতে হবে কোভ্যাক্সিনের দুটি ডোজ, করোনা জয়ীদের জন্য স্পষ্ট নির্দেশ কেন্দ্রের
অবশ্যই নিতে হবে কোভ্যাক্সিনের দুটি ডোজ, করোনা জয়ীদের জন্য স্পষ্ট নির্দেশ কেন্দ্রের
করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের হাত থেকে বাঁচতে করোনা টিকাকরণে আগের থেকে অনেকটাই গতি বাড়িয়েছে কেন্দ্র। বর্তমানে দেশে সিরাম ইন্সস্টিটিউটের কোভিশিল্ড, ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন ও রাশিয়ার করোনা টিকা স্পুটনিক ভি দেওয়া হচ্ছে। যদিও সিংহভাগ মানুষকে এখনও পর্যন্ত কোভিশিল্ডই দেওয়া হয়েছে। এমতাবস্থায় এবার করোনা মুক্তদের জন্য কোভ্যাক্সিন নিয়ে নয়া নির্দেশিকা জারি করতে দেখা গেল কেন্দ্রকে।
কড়া নির্দেশ কেন্দ্রের
নয়া নির্দেশিকায় কেন্দ্রের তরফে সাফ জানানো হয়েছে করোনা মুক্ত হয়ে গেলেও অবশ্যই নিতে হবে কোভ্যাক্সিনের দুটি ডোজ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর স্বাভাবিক ভাবেই মানবদেহে ভাইরাস বিরোধী অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে থাকে। এই অ্যান্ডিবডিই মানুষকে পুনঃসংক্রমণের হাত থেকে মানুষকে রক্ষা করে থাকে। তবে কতদিন এই সুরক্ষা কবচ ঠিক ঠাক কাজ করে তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে দ্বিমত রয়েছে। অনেকেই বলেই এই সুরক্ষা ৬ থেকে ৮ মাস পর্যন্ত স্থায়ী হয়ে থাকে।
টিকা অনিহাতেই বাড়ছে উদ্বেগ
এদিকে কেন্দ্র বলছে কোভ্যাক্সিনের একটি ডোজ করোনার হাত থেকে নিস্তার পাওয়ার জন্য যথেষ্ট হলেও অধিক সুরক্ষা ও বাড়তি ঝুঁকি এড়াতে দ্বিতীয় বুস্টার ডোজটি অবশ্যই নিতে হবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চলতি বছরে জানুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকে দেশজুড়ে করোনা টিকাকরণ শুরু হলেও ভ্যাকসিন নিতে এখনও বহু মানুষের মধ্যে তীব্র অনীহা কাজ করছে। এমনকী একটি ডোজ নেওয়ার পর দ্বিতীয় ডোজ নিতেও উদাসীনতা দেখা যাচ্ছে অনেকের মধ্যে। আর এখানেই বাড়ছে উদ্বেগ।
আসল সমস্যার সূত্রপাত কোথায়
যদিও বিভ্রান্তি ছড়িয়েছিল অন্য জায়গায়। সম্প্রতি ইণ্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চের একটি গবেষণা পত্রে দাবি করা হয় করোনা জয়ীদের জন্য কোভ্যাক্সিনের একটি ডোজই যথেষ্ট। একটি ডোজ নিলেই আর ভয়ের কিছু নেই। তবে সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে দুটি ডোজই বাধ্যতামূলক। এদিকে এই গবেষণাপত্র সামনে আসার পরেই বাড়তে থাকে ধোঁয়াশা। অনেকই বলেন তবে আর প্রয়োজন নেই দুটি ডোজের।
বিভ্রান্তি কাটাতে মাঠে নামল কেন্দ্র
এবার সেই বিভ্রান্তি কাটাতেই মাঠে নামল কেন্দ্র। কেন্দ্রে স্পষ্ট দাবি কোনও পরিবর্তন করা হয়নি টিকাকরণ নীতিতে। করোনা জয়ী হোক বা সাধারণ মানুষ, সকলকেই নিতে হবে করোনা টিকার দুটি ডোজ। এদিকে ইতিমধ্যেই ভারতে মোট দেওয়া টিকা ডোজের সংখ্যা ৭০ কোটি ছুঁয়ে ফেলেছে। অন্যদিকে দেশের মোট প্রাপ্ত বয়ষ্কের সিংহভাগই পেয়ে গিয়েছে করোনা টিকার একটি ডোজ। অন্যদিকে মোট জনসংখ্যার ৪৩ শতাংশ মানুষ পেয়েছেন করোনা ভ্যাকসিনের একটি ডোজ। দুটি ডোজ পেয়েছেন ১৩.৩ শতাংশ মানুষ।