গলদ থাকলেও অযোধ্যার রায় মেনে নিক মুসলিমরা, মন্তব্য যশবন্ত সিনহার
অযোধ্যা মামলার রায়ের সমালোচনায় এবার প্রাক্তন বিজেপি নেতা যশবন্ত সিনহা। এই বিষয়ে তিনি বলেন, "অযোধ্যা রায়ে বেশ কিছু গলদ রয়েছে। তবে আমি দেশের মুসলিমদের কাছে আবেদন করছি যাতে তারা রায়টি মেনে নিয়ে এগিয়ে চলেন। কারণ সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর আর কোনও রায় হতে পারে না।" রবিবার মুম্বইতে অনুষ্ঠিত লিটারারি ফেস্টে সাংবাদিকদের সম্মুখীন হয়ে এই কথা বলেন তিনি।
'বাবরি মসজিদ ধ্বংসে অনুতপ্ত আডবাণী'
পাশাপাশি যশবন্ত শিনহা জানান, যে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের বিষয়ে বিজেপির সেই সময়ের শীর্ষ নেতাদের সবাই ক্ষমাপ্রার্থী। তিনি দাবি করেন বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ঘটনা ঘটানয় লালকৃষ্ণ আডবাণী নিজেও অনুতপ্ত। এছাড়া তিনি বলেন, "১৯৯৩ সালে আমি যখন বিজেপিতে যোদ দিয়েছিলাম, আমি জানতাম যে আমি একটি সাম্প্রদায়িক দলে যোগ দিচ্ছি। তবে সেই সময় আমার মনে হয়েছিল দুর্নীতিগ্রস্ত দলে (কংগ্রেস) যোগ দেওয়ার থেকে বিজেপিতে যোগ করা ভালো।"
সুপ্রিমকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ পিটিশন
এদিকে রবিবার এক বৈঠকের অযোধ্যা নিয়ে সুপ্রিমকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ পিটিশন জমা দেবে জমিয়ত উলেমায়ে হিন্দ। অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের হয়ে বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন মৌলনা আরশাদ মাদানি। সেই বৈঠক থেকে বেরিয়ে আসার সময় তিনি জানান যে তাঁরা আগে থেকেই ১০০ শতাংশ নিশ্চিত যে তাদের আবেদন খারিজ করে দেওয়া হবে। তবুও রিভিউ পিটিশন দাখিল করবেন তাঁরা।
৯ নভেম্বর ঘোষণা হয় সুপ্রিমকোর্টের ঐতিহাসিক রায়
৯ নভেম্বর বহু প্রতিক্ষিত অযোধ্যা জমি বিতর্কের রায় ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিমকোর্টের এই ঐতিহাসিক রায়ে সর্বসম্মতিক্রমে বিবাদের মূলে থাকা ২.৭৭ একর জমিটি হিন্দুদের দেওয়ার কথা বলা হয়। এবং তা তৈরির জন্য তিনমাসের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারকে ট্রাস্ট গঠন করতে হবে বলেও জানিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি শীর্ষ আদালত জানায়, ১৯৯২ সালে মসজিদ ভাঙা বেআইনি ছিল।
তথ্যের ভিত্তিতে আদালতের রায় ঘোষণা
আদালতের ১০৪৫ পাতার রায়তে বলা হয়, জমির উপর মালিকানার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মুসলিমদের দেওয়া প্রমাণের চেয়ে আরও ভালো প্রমাণ দিয়েছিল হিন্দু পক্ষ। জমির মালিকানা কখনও বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে দেওয়া যায় না। মালিকানা স্থির করতে দরকার প্রমাণ। তাই বিতর্কিত জমি মন্দিরের জন্য হস্তান্তর করা হচ্ছে।