মুসলিমরা অপরাধ প্রবণ, ৫০ শতাংশ পুলিশের ধারণা এমনটাই, বলছে রিপোর্ট
মুসলিমরাই নাকি বেশি অপরাধ প্রবণ হয়। দেশের ৫০ শতাংশ পুলিস একথাই বিশ্বাস করেন। এমনই বলছে সমীক্ষা। প্রতি দুজন পুলিসকর্মীর মধ্যে একজন পুলিসকর্মী একথাই মনে করে।
মুসলিমরাই নাকি বেশি অপরাধ প্রবণ হয়। দেশের ৫০ শতাংশ পুলিস অন্তত একথাই বিশ্বাস করেন। এমনটাই বলছে সমীক্ষা। প্রতি দুজন পুলিসকর্মীর মধ্যে একজন পুলিসকর্মী একথাই মনে করেন। ২০১৯ সালের স্টেটাস অন পুলিসিং ইন ইন্ডিয়া রিপোর্টে এমনই তথ্য উঠে এসেছে।
রিপোর্টে কী প্রকাশ পেয়েছে
প্রায় ৩৫ শতাংশ পুলিসকর্মীর উপর সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গিয়েছে তাঁরা মনে করেন গরু পাচারের মতো ঘটনায় অপরাধীদের সাজা দেওয়ার অধিকার আছে জনতার। অর্থাৎ এক্ষেত্রে গরু পাচারের মতো ঘটনায় আইন হাতে তুলে নিতে পারেন জনতা। এমনই মনে করছেন তাঁরা। আর ৪৩ শতাংশ পুলিসকর্মী মনে করেন ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের সাজা দেওয়ার অধিকার আছে জনতার। এই অপরাধীদের শায়েস্তা করার জন্য জনতা হাতে আইন তুলে নিতেই পারেন তাঁতে অপরাধের কিছু নেই।
কোন পুলিসকর্মীদের উপর চালানো হয়েছিল সমীক্ষা
কেন্দ্রীয় সরকারের লোকহিত প্রোগ্রাম এবং একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার যৌথ উদ্যোগে সমীক্ষাটি চালানো হয়। যার নেতৃত্বে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি জে চলমেশ্বর। ২১টি রাজ্যের প্রায় ১২,০০০ পুলিসকর্মী এবং থানা ও ১১,০০০ পুলিস কর্মীর পরিবারের উপর সমীক্ষা চালানো হয়েছিল।
সমীক্ষায় কী দেখা গিয়েছে
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে প্রায় ৩৭ শতাংশ পুলিসকর্মী মনে করেন লঘু অপরাধের সাজা দেওয়ার অধিকার পুলিসের উপর ছেড়ে দেওয়া উচিত। আইনি পথে এই অপরাধগুলির বিচার প্রক্রিয়া টেনে নিয়ে যাওয়া অনেকটা লঘু পাপে গুরুদণ্ডের মতো দেখায়। এখানে আরও একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। ৭২ শতাংশ পুলিসকর্মী জানিয়েছেন যেকোনও ঘটনা বা অপরাধের তদন্তের সময় তাঁদের উপর রাজনৈতিক চাপ তৈরি করা হয়।
পুলিসকর্মীদের উপর রাজনৈতিক চাপের বিষয়টিকে সমর্থন জানিয়েছেন প্রাক্তন বিচারপতি জে চেলারামেশ্বরও। তিনি নিজে বলেছেন, এরকম অনেক মামলাই তিনি দেখেছেন যেখানে পুলিসকে প্রায় গুরুত্বহীন করে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে এই সমীক্ষায় উঠে এসেছে পুলিসকর্মীদের একটা বড় অংশ মনে করেন মুসলিমরা অপরাধ প্রবণ।