লখনউ:গরুর প্রাণ বাঁচাতে কুয়োতে ঝাঁপ অকুতোভয় মুসলিম যুবকের
লখনউ, ৫ অক্টোবর : বেকায়দায় পরে যাওয়া একটি গরুর প্রাণ বাঁচাতে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে কুয়োতে ঝাঁপ দিলেন বছর কুড়ির এক যুবক। মুসলিম যুবকের সাহসিকতায় প্রাণ বাঁচল অবলা প্রাণীটির। ['গরু' কারও 'মা' হতে পারে না, দাদরি বিতর্কে মন্তব্য কাটজুর]
যে যুবক এই সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন তাঁর নাম মহম্মদ জাকি। শনিবার নামাজ পড়া শেসে পলিখেড়া এলাকাতে নিজের বাড় ফিরছিলেন জাকি। তাঁর কথায়, "আমি দেখলাম একটা কুয়োর সামনে প্রচুর মানুষ ভিড় জমিয়েছে। কাছে গিয়ে দেখি, একটু গরু কুয়োতে পরে রয়েছে। আর সবাই সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে। আসলে সবাই গরুটিকে কুয়ে থেকে তোলার জন্য ক্রেন আসার অপেক্ষা করছিল।" [গরুর হৃৎপিন্ডে নতুন প্রাণ ফিরে পেলেন ৮১ বছরের বৃদ্ধা]
ক্রেন আসতেই জাকি ক্রেনের সঙ্গে নিজেকে বেঁধে নিয়ে ৩৫ ফুট গভীর কুয়োর অন্ধকারে নেমে যায়। জাকির কথায় "আমি নেমেছিলাম কারণ, ওই প্রাণীটির প্রাণ সঙ্কটে ছিল। নিচে দমবন্ধকর পরিস্থিতি। গরুটি এতটাই ভয় পেয়েছিল যে আমি নিচে নামতেই আমার পায়ে সজেরো গুঁতোয়। এখনও পা ফুলে রয়েছে।" ['গরু' রচনা লিখতে ব্যর্থ শিক্ষক, মামলার নির্দেশ ক্ষুব্ধ হাইকোর্টের]
তারপর কোনওভাবে ক্রেনের স্ট্র্যাপ গরুটির গায়ে ভাল করে বেঁধে দিয়ে ক্রেনের সাহায্যে গরুটিকে টেনে তুলতে সাহায্য করে জাকি। জাকি জানান, "সবাই বলছিল আগে গরুটিকে উঠতে দেওয়া হোক, তারপর যেন আমি উঠি। কিন্তু আমার মনে হল একসঙ্গে উপরে ওঠাটাই ভাল হবে। কারণ যদি কোনও ভাবে ওঠানোর সময় বিপত্তি হয় গরুটি আমার গায়ে পরবে।"
ক্রেন মালিকের কথায়, তিনি অনেককেই বলেছিলেন যাতে কুয়োর ভিতর ঢুকে গরুটিকে উদ্ধারে কেউ একজন সাহায্য করে। সেখানে উপস্থিত কেউ এগিয়ে আসেনি। পরে জাকি এগিয়ে আসাতে গরুটিকে উদ্ধার করা সহজ হয়েছে।