মুসলিম মহিলারা চান না তাদের স্বামী আরও তিনটে বিয়ে করুন, বললেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা
মুসলিম মহিলারা চান না তাদের স্বামী আরও তিনটে বিয়ে করুন, বললেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা
অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা শনিবার বলেছেন যে মুসলিম মহিলাদের জন্য ন্যায়বিচার করতে হলে অভিন্ন সিভিল কোড আনতে হবে৷ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুসারে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন প্রতিটি মুসলিম মহিলা অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চায়৷ তিনি বলেন, যে কোনও মুসলিম মহিলাকে জিজ্ঞাসা করুন। অভিন্ন দেওয়ান বিধি আমার সমস্যা নয়, এটি সমস্ত মুসলিম মহিলাদের জন্য একটি প্রয়োজনীয়তা। কোনও মুসলিম মহিলা চান না যে তার স্বামী আরও ৩ জন স্ত্রীকে ঘরে আনুক। যদি তাদের বিচার করতে হয়, তিন তালাক বাতিল করার পরে, ইউসিসি আনতে হবে।
অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা শর্মা ইউনিফর্ম সিভিল কোড নিয়ে বিতর্ককে পুনরুজ্জীবিত করেছেন। সম্প্রতি কিছু বিজেপি শাসিত রাজ্য এটি বাস্তবায়নের কথা বলছে। অন্যদিকে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড ইতিমধ্যেই এই আলোচনার বিরোধিতা করেছে। অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের সাধারণ সম্পাদক, মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ রহমানি সম্প্রতি একটি বিবৃতি জারি করেছেন যে উত্তরাখণ্ড এবং উত্তরপ্রদেশ সরকার বা কেন্দ্র দ্বারা অভিন্ন সিভিল কোড গ্রহণের আলোচনা আসলে মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্বের মতো আসল ইস্যুগুলি থেকে জনসাধারণের মনোযোগ সরিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে একটি বাগাড়ম্বর।
অন্যদিকে হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর বলেছেন যে তাঁর সরকার এটি কার্যকর করার জন্য প্রস্তুত৷ উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি বলেছেন, অভিন্ন সিভিল কোডের খসড়া তৈরির জন্য শীঘ্রই একটি উচ্চ-পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হবে। ইউপি সরকারের মুসলিম মন্ত্রী ড্যানিশ আজাদ আনসারি বলেছেন, অভিন্ন দেওয়ানি বিধির 'গুণাবলী'র সঙ্গে মানুষকে পরিচিত করার জন্য রাজ্যে প্রচেষ্টা চালাবে।
মোদী সরকারের সংখ্যালঘু বিরোধী মনোভাবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে অবসরপ্রাপ্ত উচ্চপস্থ সরকারি কর্মীরা
ইউনিফর্ম সিভিল কোড নিয়ে নতুন করে আলোচনা নিয়ে কংগ্রেস নেতা সালমান খুরশিদ বলেন, সরকারের উচিত স্পষ্টভাবে ইউনিফর্ম সিভিল কোডের একটি সংজ্ঞা দেওয়া। সংবিধানে ইউসিসির উল্লেখ রয়েছে যে একটি অভিন্ন নাগরিক বিধি প্রয়োগের চেষ্টা করা হবে। কিন্তু একটি সুস্পষ্ট সংজ্ঞা কখনোই দেওয়া হয়নি। এবং এর প্রভাব কী হবে তাও অজ্ঞাত৷ সরকার কখনোই পরিস্কার করেনি যে তারা এ নিয়ে কথা বলে হিন্দু কোড বাস্তবায়ন করবে। তাদের বলা উচিত ইউসিসির আসলে কিভাবে প্রয়োগ হবে তাহলেই আমরা প্রতিক্রিয়া জানাতে পারবো।