
মোস্ট ওয়ান্টেড মাফিয়াকে ধরতে বিজেপি নেতার স্ত্রীকে 'খুন'! অস্বস্তিতে যোগীর পুলিশ
উত্তরপ্রদেশ পুলিশের বিরুদ্ধে বিজেপি নেতার স্ত্রীকে খুন করার অভিযোগ! আর এরপরেই যোগী রাজ্যের পুলিশের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হল। যা নিয়ে চরম অস্বস্তিতে উত্তরপ্রদেশের পুলিশ প্রশাসন। শুধু তাই নয়, ঘটনায় চরম অস্বস্তিতে পড়েছে সে রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্বও।

জানা যায়, পুলিশের কাছে গোপন সূত্রে চাঞ্চল্যকর কিছু খবর আসে। পুলিশ আধিকারিকরা জানতে পারেন উত্তরাখণ্ডের জশপুর এলাকাতে মোস্ট ওয়ান্টেড খনি মাফিয়া জাফর গা ঢাকা দিয়েছে। আর এরপরেই বুধবার রাতে মুরাদাবাদ পুলিশ উত্তরাখন্ডের জশপুরে তল্লাশিতে যায়। আর সেখানে পুলিশ অপারেশন শুরু করতেই শুরু হয়ে যায় গোলাগুলি। একে অপরকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে শুরু করে। আর সেই গোলাগুলির মধ্যে পরে যান বিজেপি নেতা গুরতাজ ভুল্লারের স্ত্রী গুরপ্রীত কৌর। গুলি লেগে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক।
জানা যাচ্ছে, ঘটনার পরেই যোগীর পুলিশের বিরুদ্ধে উত্তরাখন্ডের একটি স্থানীয় থানাতে খুনের মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযোগ, উত্তরপ্রদেশ পুলিশের গুলিতেই মৃত্যু হয়েছে ওই মহিলার। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অন্যদিকে ঘটনায় উত্তরপুলিশের দুই জওয়ানের গুলি লেগেছে বলেও জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে এই অপারেশনে বেশ কয়েকজন পুলিশ জখম বলেও জানা যাচ্ছে। তাঁদের স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসা করা হচ্ছে।
উত্তরপ্রদেশ পুলিশের দাবি, হঠাত করেই মোস্ট ওয়াটেন্ড ওই খনি মাফিয়ার লুকিয়ে থাকার খবর আসে তাঁদের কাছে। আর এরপরেই স্থানীয় থানাকে জরুরি ভিত্তিতে জানানো হয়। তাঁরা জানায় স্থানীয় এক বিজেপি নেতার বাড়িতে প্রচুর টাকা রেখে পালাচ্ছে মাফিয়া জাফর। যদিও সেই সময়েই গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ। কিন্তু পুলিশকেও কেউ বা কারা ঘিরে ফেলে বলে দাবি! ফলে চারপাশ দিয়ে গুলি ছুটতে শুরু করে। আর এই অবস্থায় বেশ কয়েক ঘন্টা ধরে কয়েক রাউন্ড গুলি চলে। আর সেই সময় ওই বিজেপি নেতার স্ত্রীয়ের গুলি লাগে বলে দাবি যোগীর পুলিশের।
অন্যদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, সাদা পোশাকে পুলিশ এসেছিল। ফলে রাতের অন্ধকারে তাঁরা পুলিশ তা বোঝা যায়নি। আর তাতেই বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যদিও পুলিশের দাবি এই ধরণের গোপন অপারেশনের ক্ষেত্রে পুলিশ সাদা পোশাকেই যায়। কিন্তু স্থানীয় থানা এবং প্রশাসনকে নিয়ম অনুযায়ী তইথ্য দেওয়া ছিল। ফলে কেন এমন বিভ্রান্তি তা নিয়ে পুলিশমহলেই প্রশ্ন উঠছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
'বাংলায় আইনের নয়, শাসকের আইন চলে!' উপরাষ্ট্রপতি হয়েও ধনখড়ের নজরে বাংলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি