ছেলের অত্যাচার সহ্য করতে পারলেন না মা, পুত্রবধূকে বাঁচাতে যা করলেন তাতে কুর্নিশ জানাবেন তাঁকে
নেশার চোটে স্ত্রীকে অত্যন্ত মারধর করত নইম। শেষে বেশ ঠাণ্ডা মাথায় ছেলেকেই শেষ করে ফেলার ছক কষেন ক্লান্ত বিপর্যস্ত মা আনওয়ারি।
অপর্ণা সেন পরিচালিত ছবি ' পারমিতার একদিন' -এ দেখানো হয়েছিল চিরাচরিত ছক ভেঙেও শাশুড়ি বউমার সম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে। যেখানে শাশুড়ি একজন পুত্রবধূর 'মা' হিসাবেও ধরা দিতে পারেন। ছেলের অন্যায় অত্যাচারের বিরোধিতা করে শাশুড়িও পক্ষ নিতে পারেন পূত্রবধূর । আর সেই সম্পর্কের কাহিনিই আবারও উঠে এল মুম্বইয়ের মনখুড়দ এলাকায়।
মনখুড়দের ম্বেডকর চউলে মা আনওয়ারি, স্ত্রী, দুই দাদা ও বৌদিদের সঙ্গে থাকতেন বছর পঁচিশের নাদিম নইম। বছর দু'য়েক আগে ইলাহাবাদের এক যুবতীর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল নাদিমের। যুবতীর অভিযোগ, বিয়ের সময় নাদিমের মাদকের নেশা সম্বন্ধে কিছুই জানতেন না তিনি। বিয়ের পর থেকেই নেশার ঘোরে স্ত্রীকে অত্যন্ত মারধর করত নইম। অকথ্য অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে শ্বশুড়বাড়ি ছেড়ে চলেও যান নইমের স্ত্রী।
কিন্তু বউমাকে ভারী ভালোবাসতেন নইমের মা আনওয়ারি। অনেক অদর যত্ন করে ফের একবার বৌমাকে ফিরিয়ে এনেছিলেন তিনি। নইম নেশা ছেড়ে দেবেন বলেও বৌমাকে আশ্বস্ত করেন তিনি। কিন্তু অবস্থার কোনও পরিবর্তন করা হয়নি।
শেষে বেশ ঠাণ্ডা মাথায় ছেলেকেই খুনের ছক কষেন বিরক্ত আনওয়ারি। বউমাকে বাঁচাতে আগেই তাঁকে পড়শির বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন আনওয়ারি। ছেলে নেশা করে বাড়ি ফিরে বউকে না পেয়ে মায়ের ওপর চড়াও হয়। এরপরই নেশাগ্রস্ত ছেলেকে মইয়ের সঙ্গে বেঁধে গলায় ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে খুন করেন মা আনওয়ারি। পুত্রবধূ পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি বাড়ি ফিরে দেখেন, নইমের মৃতদেহের পাশে বসে ফুঁপিয়ে কাঁদছেন আনওয়ারি। তখনই সমস্ত বিষয়টি পরিস্কার হয়।