আত্মীয়ের খোঁজে মৃত ভিক্ষুকের ডেরায় গেল পুলিশ! সম্পত্তি দেখে 'বেসামাল'
বিরাদিচাঁদ পান্নারামজি আজাদ। পরিচয় ভিক্ষুক। ফিক্সড ডিপোজিট হিসেবে রয়েছে ৮.৭৭ লক্ষ টাকা। আর কিছুদিন আগে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা দিয়েছিলেন ৯৬ হাজার টাকার কয়েন।
বিরাদিচাঁদ পান্নারামজি আজাদ। পরিচয় একজন ভিক্ষুক। কিন্তু তাতে কী! তাঁর ব্যাঙ্কে ফিক্সড ডিপোজিট হিসেবে রয়েছে ৮.৭৭ লক্ষ টাকা। আর কিছুদিন আগে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা দিয়েছিলেন ৯৬ হাজার টাকার কয়েন। তাঁর বস্তির ঘরে পাওয়া গিয়েছে আরও ১.৭৫ লক্ষ টাকার কয়েন। এসবই বেরিয়ে এসেছে তাঁর মৃত্যুর পর। শুক্রবার মানখুর্দ এবং গোবান্ধি স্টেশনের মধ্যে ট্রেনের ধাক্কায় ৮২ বছর বয়স্ক বিরাদিচাঁদ পান্নারামজি আজাদের মৃত্যুর পরে আত্মীয়ের খোঁজে বস্তিতে হানা দেয় ভাসি জিআরপি। সেখান থেকেই পরবর্তী সময়ের এই তথ্য মেলে।
আত্মীয়ের খোঁজে জিআরপি
জানা গিয়েছে, জিআরপি আজাদের ছেলের খোঁজ করছে। যে রাজস্থানে থাকে বলে জানা গিয়েছে। প্রথমে লাইনের ধারে পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল আজাদের দেহ। পুলিশের তরফে দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু উল্লেখ করে মামলা শুরু করা হয়। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা মৃতকে সনাক্ত করেন। বিরাদিচাঁদ পান্নারামজি আজাদ ট্রেনের ভিক্ষা করতেন। এরপর তদন্তে রেললাইনের পাশের ঝুপড়িতে যায় পুলিশ। ভাসি জিআরপির তরফে বলা হয়েছে, এক প্রতিবেশী বলেছেন, আজাদ একাই থাকতেন। তাঁর কোনও আত্মীয় ছিলেন না বলে দাবি করেছেন ওই প্রতিবেশী। এরপরেই আত্মীয়ের সন্ধানে খোঁজ শুরু করা হয়।
|
বস্তির ঘরে মিলল ১.৭৫ লক্ষের কয়েন
বস্তিতে আজাদের ঘরে খুঁজে বের করা ভাসি জিআরপির সাব ইনস্পেক্টর প্রবীণ কাম্বলে জানিয়েছেন, তাঁরা ঘরে চারটি বড় ডাব্বা এবং একটা ব্যারেল পেয়েছেন। ওই ডাব্বাগুলির মধ্যে ১, ২, ৫, এবং ১০ টাকার কয়েন আলাদা করে প্লাস্টিকে বাধা অবস্থায় ছিল। শনিবার বিকেলে সেই কয়েন গোনার কাজ শুরু হয়। রবিবার গিয়ে সেই কাজ শেষ হয়। সেখানে ১.৭৫ লক্ষ টাকা পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। একটি স্টিলের পাত্রে প্যান কার্ড, সিনিয়র সিটিজেন কার্ড এবং আধার কার্ডও পাওয়া গিয়েছে। যেগুলির সবই আজাদের নামে। যাতে রয়েছে আজাদের জন্ম ১৯৩৭-এর ২৭ ফেব্রুয়ারি। আগে তিনি শিবাজি নগরের বৈগানওয়াডির বাসিন্দা ছিলেন। এইসব কাগজপত্রের সঙ্গে পাওয়া দিয়েছে দুটি আলাদা ব্যাঙ্কে রাখা ৮.৭৭ লক্ষ টাকার ফিক্সড ডিপোজিটের সার্টিফিকেট। পাশাপাশি সেভিংস অ্যাকাউন্টের পাশবুকও পাওয়া গিয়েছে।
|
একাই থাকতেন, বলছে জিআরপি
ভাসি জিআরপির সিনিয়র পুলিশ ইনস্পেক্টর এনকে সাস্তে জানিয়েছেন, আজাদ একাই থাকতে পছন্দ করতেন বলে জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা। বস্তির ঘর থেকে পাওয়া কাগজপত্র থেকে জানা গিয়েছে, আজাদ বর্তমানে রাজস্থানের রামগড়ের বাসিন্দা। ছেলে সুখদেবকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে নমিনি করে গিয়েছেন। সুখদেবের খোঁজে রাজসাথ্নের পুলিশকে জানানো হয়েছে।
[ নারদ তদন্তে সিবিআই-এর হাতে 'তথ্যপ্রমাণ'! বিপদ বাড়ছে মুকুল রায়ের]