নতুন করে সামনে ৪৩৫৫ কোটির ব্যাঙ্ক প্রতারণা! এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু
ফের ব্যাঙ্ক প্রতারণার অভিযোগ। এবার পঞ্জাব এবং মহারাষ্ট্র কোঅপারেটিভ ব্যাঙ্ক। মুম্বই পুলিশের অর্থনৈতিক অপরাধ দমন শাখা ব্যাঙ্কে ৪৩৫৫ কোটি টাকার অনিয়মের অভিযোগে এফআইআর দায়ের করেছে।
ফের ব্যাঙ্ক প্রতারণার অভিযোগ। এবার পঞ্জাব এবং মহারাষ্ট্র কোঅপারেটিভ ব্যাঙ্ক। মুম্বই পুলিশের অর্থনৈতিক অপরাধ দমন শাখা ব্যাঙ্কে ৪৩৫৫ কোটি টাকার অনিয়মের অভিযোগে এফআইআর দায়ের করেছে। এর আগে অনিয়ম নিয়ে অভিযোগ করেছিল আরবিআই।
এফআইআর-এর অভিযোগ করা হয়েছে, হাউজিং ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডকে সঙ্গে ব্যাঙ্কের আধিকারিকরা ব্যাঙ্কের অনুৎপাদক সম্পদ নিয়ে আরবিআই-এর কাছে তথ্য গোপন করেছিলেন। অভিযুক্তরা ভুয়ো তথ্য দাখিল করে ক্ষুদ্র ঋণের ভুয়ো অ্যাকাউন্টও খুলেছিল বলে অভিযোগ করা হয়েছে। সেই তথ্য আরবিআই-এর কাছে দেওয়া হয়েছিল, তাদের অনিয়মকে ঢাকা দেওয়ার জন্য।
ব্যাঙ্কের আধিকারিকরা ২০০৮ থেকে ২০১৯-এর মধ্যে আইন না মেনেই ঋণ প্রদান করেছিলেন। ঋণের টাকা ফেরত না দিলেও ঋণ দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। আর এই ঋণকে অনুৎপাদক সম্পদ হিসেবে গণ্য করা হয়নি।
মুম্বই পুলিশের অর্থনৈতিক অপরাধ দমন শাখা এফআইআর দায়ের করতেই, পিএমসি ব্যাঙ্কের তরফ থেকে ডিরেক্টর জয় থমাস, চেয়ারপার্সন ওয়ারাম সিং, এইডিআইএল-এর রাকেশ ওয়াধয়া এবং সারাং ওয়াধয়াকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এই মামলায় মূল অভিযুক্ত করা হয়েছে ডিরেক্টর থমাসকে। তিনি আরবিআইকে জানিয়েছিলেন, এইচডিআইএলকে ঋণ দিয়েছিল তাদের সংস্থা। আগেকার বোর্ড সদস্যদের না জানিয়েই এই ঋণ দেওয়া হয়েছিল।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৪২০( প্রতারণা), ৪০৬ (বিশ্বাসের অপরাধ লঙ্ঘন), ৪০৯, ৪৬৫ ( জালিয়াতি), ৪৬৮, ১২০বি ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
১৯ সেপ্টেম্বরে আগের রিপোর্টে বলা হয়েছিল, পিএমসি ব্যাঙ্ক তাদের ঋণের ৭৩ শতাংশই দিয়েছে এইচডিআইএলকে। যার পরিমাণ প্রায় ৮৮৮০ কোটি টাকা।