সরকারের উদ্বেগ বাড়িয়ে মৃত্যু ও সংক্রমণে চিনকে ছাড়িয়ে গেল মুম্বই
সরকারের উদ্বেগ বাড়িয়ে মৃত্যু ও সংক্রমণে চিনকে ছাড়িয়ে গেল মুম্বই
দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণে শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্রের নাম। আর এই রাজ্যের বাণিজ্য নগরী তথা স্বপ্নের শহর মুম্বইতে করোনা ভাইরাস কেসের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। তবে মঙ্গলবার যে তথ্য সামনে এসেছে তা সকলকেই হতবাক করেছে। মুম্বইয়ের করোনা কেস ও মৃত্যু এবার অতিক্রম করলল চিনকে। ২০১৯ সালের শেষের দিকে এই চিন থেকেই ছড়িয়ে পড়েছিল মারণ রোগ কোভিড–১৯ এবং তা গোটা বিশ্বে মহামারির আকার ধারণ করে।
চিনের থেকে বেশি মুম্বইতে মৃত্যু সংখ্যা
দেশের বাণিজ্য নগরী মুম্বইতে বর্তমানে কোভিড-১৯-এ মৃত্যু হয়েছে ৪,৯৩৮ জনের এবং কেস সংখ্যা ৮৫,৭২৪। যেখানে চিনের মোট মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৪,৬৩৪ এবং কেসের সংখ্যা ৮৩,৫৬৫ এবং বিশ্বে করোনা ভাইরাসের তালিকায় চিনের স্থান ছিল ২২তম স্থানে।
ধারাভিতে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে
জানা গিয়েছে, চিনে এখন একক-অঙ্কের করোনা কেস ধরা পড়ছে প্রতিদিন যা প্রতিদিন ধারাভিতে রেকর্ড করা নতুন সংক্রমণের চেয়ে কম। তবে এশিয়ার বৃহত্তম বস্তি এলাকায় রাজ্য ও পুরনিগম কর্তৃক কঠোর ব্যবস্থা প্রয়োগ করায় এখন কিছুটা হলেও করোনার চিন্তি থেকে স্বস্তি মিলেছে বস্তিবাসীর। চিনের তুলনায়, মুম্বই শহরটি ১ জুলাই থেকে প্রতিদিন ১,১০০-এরও বেশি নতুন রোগীদের রেকর্ড করেছে।
মহারাষ্ট্র এগিয়ে কানাডা, ফ্রান্স সহ আর দুই দেশের থেকে
এই নতুন বিষয়টি তৈরি হয় সোমবার মহারাষ্ট্র ২১১,৯৮৭টি কেস নিয়ে তুরস্ক (২০৫,৭৫৮টি কেস)-কে অতিক্রম করে, যে বিশ্বের ১৪তম স্থানে রয়েছে। গত ৪ জুন মহারাষ্ট্র জার্মানি (১৯৮,০৬৪) ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে (২০৫,৭২১) অতিক্রম করে। উভয় দেশই বিশ্বের ১৬ ও ১৫ নম্বরে রয়েছে। গতমাসে মহারাষ্ট্র অতীতের দুই ক্ষতিগ্রস্ত দেশ কানাডা ও ফ্রান্সকে অতিক্রম করে, যারা ব্রিটেনে দৈনিক কেসের সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে গিয়েছিল।
সুস্থতার হার বেশি মহারাষ্ট্রে
মহারাষ্ট্রে বর্তমানে মোট করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা ৯,০২৬ এবং ২১১,৯৮৭ টি কেস যার মধ্যে ৮৭,৬৮১টি সক্রিয় কেস রয়েছে। তবে মৃত্যুর হার অনেকটাই কম ৪.২৬ শতাংশ এবং সুস্থতার হার অনেক বেশি ৫৪.৩৭ শতাংশ। রাজ্যের ৩৬টি জেলার মধ্য মাত্র দু'টি জেলা ভাণ্ডারা ও চন্দ্রাপুরে এখনও পর্যন্ত কোনও মৃত্যুর খবর নেই। যদিও এই দুই জেলায় করোনা সংক্রমণের সংখ্যা ৭৮ ও ৬৯টি। তবে গাদছিরোলি, হিঙ্গোলি এবং ওয়ারধাতে এখনও পর্যন্ত একটি করে মৃত্যু হয়েছে।
করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়ছে সুইগি-ওলার মতো অনলাইন অ্যাপগুলিও