মনমতো হল না মুম্বই মনোরেল, প্রতিমাসে লোকসান দেড় কোটি
হিসাব বলছে, মনোরেলের টিকিট বিক্রি করে কর্তৃপক্ষের আয় হয় দৈনিক ২ লক্ষ টাকা। অথচ মনোরেল পরিচালনায় দৈনিক খরচ হয় ৭ লক্ষ টাকা। অর্থাৎ প্রতি দিন মনোরেলের লোকসান হচ্ছে ৫ লক্ষ টাকা। যা মাসের হিসাবে গড়ে ১.৫ কোটি টাকা। এই হিসাবের সত্যতা স্বীকার করেও এমএমআরডিএ-র দাবি মুম্বইয়ে মনোরেলের গ্রহণযোগ্যতা আছে। যেদিন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ চবন এই মনোরেলের উদ্বোধন করার পরে টিকিট কেনার জন্য সাধারণ মানুষের লম্বা লাইন পড়ে যায়। যদিও মনোরেল নিয়ে সেই উদ্দীপনায় খানিক ঘাটা যে পড়েছে তাও স্বীকার করে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ওয়াডালা-চেম্বুর করিডোর সম্প্রসারণের কাজ শেষ হলে লাভের পরিমাণ বাড়বে: কর্তৃপক্ষ
কর্তৃপক্ষের তরফে দাবি, মনোরেল পরিচালনার একটা বড় অংশই যায় মহারাষ্ট্র স্টেট সিকিউরিটি কর্পোরেশনের (এমএসএসসি) নিরাপত্তা রক্ষীদের জন্য। প্রত্যেক মাসে ১ কোটি টাকা শুধু যায় তাদের কাছে। প্রায় ৫০০ মহিলা ও পুরুষ কর্মী রয়েছেন। প্রত্যেক ভ্রমণের জন্য টিকিটের দাম ৩৫০০ টাকা। এর মধ্যেই নিরাপত্তা, বিদ্যুৎ, রক্ষণাবেক্ষণের যাবতীয় খরচ ধরা রয়েছে।
বর্তমানে সকাল ৭ টা থেকে দুপুর ৩ টে পর্যন্ত মনোরেল চালানো হয় ওয়াডালা-চেম্বুর রুটে। যদিও পরে এই সময়সীমা বাড়িয়ে সকাল ৭ টা থেকে রাত ৮ পর্যন্ত মনোরেল চালানো হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ফলে দৈনন্দিন ৮০বার আপ-ডাউন করতে পারবে। এর ফলে আয় কিছুটা বাড়ানো সম্ভব হবে বলেই আশা এমএমআরডিএ-র। যদিও এর ফলে খুব বেশি পার্থক্য গড়া যে সম্ভব হবে না সে কথাও জানিয়েছে এমএমআরডিএ।
একইসঙ্গে এমএমআরডিএ-র তরফে এও জানানো হয়েছে, বর্তমানে মনোরেলের আয়ের তুলনায় মনোরেলের পরিচালন খরচ বেশি হওয়ায় লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে মনোরেলকে। কিন্তু ওয়াডালা-চেম্বুর করিডোরের সম্প্রসারণ করে জেকব সার্কেল পর্যন্ত করা হলে তখন আর লোকসানের মুখ দেখতে হবে না বলেই আশা কর্তৃপক্ষের।
২০১৫ সালের মাঝামাঝি এই ওয়াডালা-চেম্বুর করিডোর সম্প্রসারণের কাজ সমপূর্ণ হয়ে যাবে বলেই মনে করছে এমএমআরডিএ।