সহবাসে রাজি না হওয়াতেই মুম্বইয়ে খুন মডেল, স্বীকারোক্তিতে ঠিক কী জানাল খুনি
কেন মানসীকে সে খুন করেছে, সেটাও মোজাম্মেল জানিয়েছে। পুলিশের বয়ান অনুযায়ী, সহবাস করতে বলে মোজাম্মেল। তাতে মানসী রাজি না হওয়ায় রাগের মাথায় স্টুল তুলে মানসীর মাথায় আঘাত করে মোজাম্মেল।
মুম্বইয়ে সপ্তাহের শুরুতেই সোমবার উঠতি মডেল মানসী দীক্ষিতের খুনের ঘটনায় হইচই পড়ে যায়। সহপাঠী এক বন্ধু মোজাম্মেল সঈদ এই খুনের ঘটনায় জড়িত বলে পুলিশ জানায়। সে নিজের দোষও জেরায় স্বীকার করেছে বলে দাবি করা হয়।
জানা গিয়েছে, শুধু দোষ স্বীকার করাই নয়, কেন মানসীকে সে খুন করেছে, সেটাও মোজাম্মেল জানিয়েছে। পুলিশের বয়ান অনুযায়ী, মানসী সোমবার মোজাম্মেলের বাড়িতে যায়। সেখানে তাঁকে সহবাস করতে বলে মোজাম্মেল। তাতে মানসী রাজি না হওয়ায় রাগের মাথায় চেয়ার তুলে তাঁর মাথায় আঘাত করে মোজাম্মেল।
এরপরে দেহ স্যুটকেসে বন্দি করে ক্যাব বুকিং করে সে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। পথে মালাডের শুনশান রাস্তায় দেহ ফেলে চম্পট দেয়। পরে সেই ক্যাবচালক স্যুটকেস দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দিলে মুজাম্মেলকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।
মানসী রাজস্থানের বাসিন্দা ছিলেন। কর্মসূত্রে মুম্বইয়ে থাকছিলেন। মুজাম্মেলও হায়দরাবাদের বাসিন্দা। তবে থাকত মুম্বইয়ে। সে জেরায় জানিয়েছে, সোমবার মানসী তার বাড়িতে আসেন। তবে সে সহবাসের প্রস্তাবে দিলে তাতে মানসী রাজি হননি। তাতে রেগে গিয়ে মোজাম্মেল মানসী মাথায় আঘাত করে। সংজ্ঞাহীন মানসীকে দেখে পরে মোজাম্মেল ভয় পেয়ে যায়। কারণ তখন তার মা বাড়ি চলে আসতে পারত। ফলে দেহ স্যুটকেসে ভরে সে বিমানবন্দরে যেতে রাস্তার পাশে ফেলে আসে।
পুলিশ এই মুহূর্তে আরও প্রমাণ জোগাড় করে চলেছে। পুলিশের দাবি, যা প্রমাণ জোগাড় হয়েছে, ও জোগাড়ের চেষ্টা চলছে তাতে মুজাম্মেলের বাঁচা মুশকিল হবে। শুধু জবানবন্দি নেওয়াই নয়, পোক্ত প্রমাণ প্রায় পুলিশ জোগাড় করেই ফেলেছে।