
নতুন তৈরি হওয়া আটটি IIT-তে একধিক সমস্যা, দাবি CAG-এর রিপোর্টে
২০০৮ সালের পর থেকে দেশজুড়ে মীট আটটি আইআইটি তৈরি হয়েছে। হামেশাই কেন্দ্রীয় সরকার এই তথ্য তুলে ধরে বুকের ছাতি ফোলায়। তবে এবার আজনা যাচ্ছে, নতুন আটটি আইআইটির মান মোটেই সন্তোষজনক নয়। ক্যাগের রিপোর্টে ( CAG) এবার উঠে এল তেমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। মোট পাঁচ বছর ধরে পর্যবেক্ষণের পর এই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, জমি সংক্রান্ত সমস্যা থেকে শুরু করে ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত একাধিক গোলযোগ। গত পাঁচ বছরে নানাবিধ সমস্যা দেখা গিয়েছে দেশের শীর্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে৷

কোন কোন আইআইটি রয়েছে তালিকায়?
আইআইটি ভুবনেশ্বর, আইআইটি গান্ধীনগর, আইআইটি ইন্দোর, আইআইটি হায়দরাবাদ, আইআইটি মাণ্ডি, আইআইটি পটনা, আইআইটি যোধপুর এবং আইআইটি রোপার। এই আটটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্নাতকোত্তর স্তরের কোর্সে ভর্তির সংখ্যা কমেছে। ক্যাগ জানাচ্ছে, সরকারের গাফিলতি এই প্রতিষ্ঠানগুলির উন্নয়নে বাধা দিচ্ছে।

কী বলছে ক্যাগ রিপোর্ট?
ক্যাগ রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ' অ্যাকাডেমিক বিল্ডিং, পরীক্ষাগার, গ্রন্থাগার, ক্যান্টিন সহ একাধিক ভবন নির্মানের কাজ শুরু হয়েছিল ২০১২ সালে৷ কিন্তু দুঃখজনকভাবে পরিকল্পিত ছাত্রছাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে তাল মেলাতে পারেনি এই নির্মাণকাজ। বিশেষত পাঁচটি আইআইটিতে এই দেরি হওয়া অত্যন্ত অধিক।রিপোর্টে এও বলা হয়, 'পরিকাঠামোগত সমস্যার জন্য বিপাকে পড়তে হয়েছে পড়ুয়াদের। আটটি আইআইটির ক্ষেত্রেই দেখা গেছে, সময়মতো গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম বন্দোবস্ত করা হয়নি, সঠিকভাবে অর্থবল কাজে লাগানো হয়নি।'

বোম্বে আইআইটির অধ্যাপক কী বলছেন?
ক্যাগের রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে আইআইটি বোম্বের অধ্যাপক কান্নান মদগল্যা বলেন, ' প্রত্যেকটি আইআইটির ক্ষেত্রে শিক্ষকরাই এই ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকেন। পেশাদার ম্যানেজমেন্ট মারফৎ এই কাজগুলি হয় না। তাই কাজেই সরকার কোনওভাবেই এতে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। এই সমস্ত ক্ষেত্রে আইআইটিগুলি স্বাধীন।'

আরও কী বলা হয়েছে রিপোর্টে?
রিপোর্টে আরও বলা হয়, 'আইআইটিগুলিতে গবেষণার দিকে বেসরকারি প্রকল্পের পরিমাণ অত্যন্ত কম ছিল। আটটি আইআইটিই সরকারি প্রকল্প নিয়ে গবেষণার কাজ করেছে। এভাবেই তাদের অর্থের আমদানি হয়েছে। এই ক'বছরে বহু পেটেন্ট ফাইল হলেও তার মধ্যে একটিও ২০১৪-২০১৯ অবধি সাফল্য পায়নি। এর থেকেই স্পষ্ট বার্তা মিলছে যে, গবেষণার মানোন্নয়ন প্রয়োজন।'