শরীরে একাধিক বীভৎস ক্ষতচিহ্ন, গালওয়ানের বিভীষিকাময় রাতের কথা ভেবে শিউরে উঠল মৃত সেনাদের পরিবার
শরীরে একাধিক বীভৎস ক্ষতচিহ্ন, গালওয়ানের বিভীষিকাময় রাতের কথা ভেবে শিউরে উঠল মৃত সেনাদের পরিবার
এবার গালওয়ান সেনা সংঘর্ষের বীভৎসতা নিয়ে মুখ খুলতে দেখা গেল নিহত ভারতীয় সেনার পরিবারের সদস্যদের। লাল-ফৌজের সঙ্গে সম্মুখসমরে নিহত দুই সেনার পরিবারের লোকজন দাবি করেছেন নিরস্ত্র অবস্থার মধ্যেই পিপলস লিবারেশন আর্মির সেনা জওয়ানদের সঙ্গে লড়তে হয়েছিল ভারতীয় সেনাকে।
পেরেক গাঁথা লোহার রড দিয়ে চলে অকথ্য অত্যাচার
প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ জন চিনা সেনার ঘেরাটোপের মধ্যে নিরস্ত্র অবস্থায় সংঘর্ষে জড়িয়েছিল ভারতীয় সেনা। লাদাখারে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা সংলগ্ন অঞ্চলে ১৫ই জুনের সেনা সংঘর্ষে নিহত দুই জওয়ানের পরিবারের সদস্যরা এ কথা জানিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে এর আগে একাধিক সূত্রে জানা গেছে পেরেক গাঁথা লোহার রডের দ্বারা সেই রাতে ভারতীয় সেনা জওয়ানদের উপর অকথ্য অত্যাচার চালা পিএলর-র জওয়ানরা।
ধাতব নখ দিয়ে চিড়ে দেওয়া হয় গলা
সম্প্রতি সেই রাতের বীভৎস নির্মমতার কথা সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন আর এক নিহত সেনার বাবা। সেই অন্ধকারময় রাতে এক ধরণের ধাতব নখ দিয়ে ওই সেনার গলা চিরেছিল পিএলএ-র সেনা জওয়েনা। সংঘর্ষ স্থল থেকে তাকে একথা জানিয়েছিলেন ওই মৃত সেনারই আর এক সহযোদ্ধা। আর এক ভারতীয় সেনা জওয়ানকে পশ্চিম হিমালয়ের গালওয়ান নদীর বরফ-শীতল জমা জলের মধ্যে ফেলে মারা হয় বলে জানিয়েছেন তার পরিবারের লোকজন। প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে তারা এ কথা জানতে পেরেছেন বলে খবর।
রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে মৃত্যু হয় ২০ জন ভারতীয় সেনার
১৫ই জুনের ওই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ভারতীয় সেনার ২০ জন জওয়ানের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। তার মধ্যে এক কর্নেলও ছিলেন বলে খবর। গালওয়ানে মোতায়েন ভারতীয় সেনার অনেকেই ১৬ বিহার রেজিমেন্টের সদস্য ছিলেন বলে জানা গেছে। অন্যদিকে প্রথম মুখ না খুললেও পরে বেজিংয়ের তরফে লাল-ফৌজের সেনা মৃত্যুর কথা স্বীকার করা হয়। একাধিক সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ওই সেনা সংঘর্ষে পিপলস লিবারেশন আর্মির পক্ষেও ৪০-র বেশি সেনার মৃত্যু হয়।
১৩ জনের শরীরেই বীভৎস ক্ষতচিহ্ন
এদিকে ওই সংঘর্ষের রাতে কোনোরকম গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যায়নি বলে আগেই জানিয়েছিলেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। এমনকি ১৪০০ ফুট উঁচু উপত্যকায় চিন সেনার হাতে মৃত ২০ ভারতীয় জওয়ানদের মধ্যে ১৩ জনের শরীরেই বীভৎস ক্ষতচিহ্ন দেখতে পাওয়া যায় বলে জানা গেছে। যদিও লাদাখের সেনা হাসপাতালের তরফে সেনার দেহে ওই ভয়ঙ্কর ক্ষত সৃষ্টির বিছনে আসল কারণ সম্পর্কে কিছুই খোলসা করা হয়নি।
ভুটানের পূর্ব সীমান্তে চিনা আগ্রাসন! ভারতের উপর চাপ বাড়াতেই কি নয়া কৌশল বেজিংয়ের ?