চিনের সঙ্গে সংঘাতের আবহে ভারতেই তৈরি হচ্ছে মোবাইল হাব? প্রায় ১১ লক্ষ কোটি লগ্নির সম্ভাবনা
গত কয়েকমাসে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে চিনের শি জিনপিং প্রশাসনের বাণিজ্যিক এবং কূটনৈতিক সংঘাত ক্রমশ বেড়ে চলেছে। ফলে বহু মার্কিন সংস্থা তাদের উৎপাদন কেন্দ্র চিন থেকে সরিয়ে নেওয়ার কথা চিন্তাভাবনা করছে। পাশাপাশি করোনা সঙ্কটের জেরে ইতিমধ্যে বিশ্ব বাণিজ্যের পরিসরেও অনেকটা কোণঠাসা বেজিং। এদিকে এই অবস্থার জেরে ভারতের লক্ষ্মী লাভের সম্ভাবনা আরও প্রকট হয়েছে। ভারত সরকারও চাইছে না এই সুযোগ হাত ছাড়া করতে।

কেন্দ্রে ডাকে সাড়া দিচ্ছে স্যামসাং, অ্যাপেলের মতো সংস্থাও
নতুন করে উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপনের ক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই বৈদেশিক সংস্থা গুলির জন্য একাধিক সুবিধার কথাও জানিয়েছে কেন্দ্র। তাতে সাড়া দিয়ে স্যামসাং অ্যাপেলের মতো বিদেশি সংস্থাগুলির সহযোগীদের সঙ্গে ভারতীয় সংস্থারও। মোট ২২টি এমন সংস্থা আবেদন করেছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় টেলি ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ভারতকে স্মার্টফোন উৎপাদনের হাব হিসেবে গড়ে তুলতে বর্তমানে চাইছে কেন্দ্র।

আগামী ৫ বছরে ১১ লক্ষ কোটি বিনিয়োগের সম্ভাবনা
সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত প্রায় দু-ডজন সংস্থা দেশে মোবাইল ফোনের উৎপাদনে কারখানা স্থাপনের জন্য প্রাথমিক চুক্তি সেরে রেখেছে। এইসব আবেদনগুলি কার্যকর হলে আগামী ৫ বছরে ১১ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগ হতে পারে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। এদিকে এদেশে স্মার্টফোনের হাব তৈরির জন্য গত এপ্রিলে ৫০,০০০ কোটি টাকার উৎসাহ প্রকল্প আনে কেন্দ্র। এই ডাকে সাড়া দিয়েই আইফোন উৎপাদনকারী ফক্সকন উইস্ট্রন এবং পেগাট্রন এদেশে কারখানা প্রতিস্থাপনের আগ্রহ দেখিয়েছে। পাশাপাশি এই তালিকায় রয়েছে লাভা মাইক্রোম্যাক্সের মতো দেশীয় সংস্থাগুলিও।

৬ শতাংশ পর্যন্ত আর্থিক উৎসাহ ভাতার পরিকল্পনা কেন্দ্রের
বর্তমানে কেন্দ্রের পরিকল্পনা অনুসারে সরকারের পরিকল্পনা অনুসারে, আগামী পাঁচ বছর দেশে উৎপাদিত পণ্যের ক্ষেত্রে ৬ শতাংশ পর্যন্ত আর্থিক উৎসাহ ভাতা দেবে। পাশাপাশি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ মূলধনী খরচের ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ আর্থিক অনুদানের ব্যবস্থা করা হবে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, সেমিকন্ডাক্টর এবং অন্যান্য যন্ত্রাংশের জন্য।

সবথেকে বেশি আগ্রাহ দেখাচ্ছে কোন কোন সংস্থা ?
এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে কেন্দ্রীয় শিল্প মন্ত্রকের এক শীর্ষ কর্তা জানান, গত এক মাসে শতাধিক সংস্থা তাদের থেকে বিস্তারিতভাবে জানতে চেয়েছেন যে ভারতে যদি তারা ব্যবসা করতে চান, তবে কি কি সুবিধে তারা পেতে পারেন। এর মধ্যে রয়েছে অসংখ্যা আমেরিকান সংস্থা। মূলত কষিজ পণ্যা, ইলেকট্রনিক্স, ওষুধ, গবেষণার যন্ত্রাংশঘ তৈরির সংস্থা, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং তথ্য প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত সংস্থারাই আগ্রহ দেখিয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে।
ক্ষুদিরামকে সন্ত্রাসবাদী বলার প্রতিবাদে জলপাইগুড়িতে গ্রেফতার ৮ ছাত্র যুব