অবশেষে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শ্রমিকদের উদ্ধারকাজে সেনা, প্রহর গুনছে মেঘালয়
মেঘালয়ের জয়ন্তিয়ার সাংপুইয়ে ৩৭০ ফুট গভীর কয়লা খণিতে আটকে পড়া ১৫ জনকে উদ্ধার করতে রীতিমত যুদ্ধকালীন তৎপরতায় নেমেছে ভারতীয় নৌসেনা ।
মেঘালয়ের জয়ন্তিয়ার সাংপুইয়ে ৩৭০ ফুট গভীর কয়লা খণিতে আটকে পড়া ১৫ জনকে উদ্ধার করতে রীতিমত যুদ্ধকালীন তৎপরতায় নেমেছে ভারতীয় নৌসেনা । নৌসেনার সঙ্গে এদিন উদ্ধার কাজে হাত লাগিয়েছে ভারতী. বায়ুসেনা। বিভিন্ন দিক থেকে যৌথ প্রচেষ্টায় এবার উদ্ধার কাজ আরও জোরদার হয়েছে ।
নৌসেনা ও বায়ুসেনার সঙ্গে এদিন উদ্ধার কাজে নেমেছে এনডিআরএফও। উল্লেখ্য, মেঘালয়ে কয়লা খনিতে আটকে পড়া শ্রমিকদের বাঁচার আশা প্রায় ক্ষীণ হয়ে পড়ছে। দুই সপ্তাহের বেশি কেটে গিয়েছে। তারপরও তাদের উদ্ধার করা যায়নি। এরপর রবিবার থেকে শুরু হয়েছে এই উদ্ধার কাজ। উদ্ধারে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে সেনা। এই অত্যাধুনিক মেশিনগুলি ঘটনাস্থলের ৩৭ কিলোমিটার দূরে রাখা হচ্ছে। অন্যদিকে নৌসেনা একটি উলম্ব শ্যাফ্ট ব্যবহার করে শুরু করে দিয়েছে উদ্ধারের কাজ।
SK Singh, Asst Commandant NDRF on miners trapped in East Jaintia Hills #Meghalaya: Some other agencies have joined us in the operation; Odisha Fire Services reached here with 10 high pressure pumps, a team of Navy divers has also reached here. I've briefed them of the situation. pic.twitter.com/dcj5sdeN09
— ANI (@ANI) December 30, 2018
East Jaintia Hills: Visuals of operations underway to rescue the trapped miners. #Meghalayaminers pic.twitter.com/6eaPArPqpd
— ANI (@ANI) December 30, 2018
একটি ১৪ জনের নৌসেনার টিম ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে ঘটনাস্থলে । প্রসঙ্গত, গত এক সপ্তাহ ধরে শ্রমিকদের উদ্ধারের চেষ্টা হলেও তা কাজে আসেনি। সরু বেআইনি খনি থেকে কয়লা তুলতে গিয়ে এতজন শ্রমিক আটকে যান। বেআইনি খনিতে জল ভর্তি হয়ে গেলে সকলে আটকে পড়েন। সেই জল পাম্প করে বের করতে যে হর্স পাওয়ার সম্পন্ন পাম্প প্রয়োজন হয় তা সরকারের কাছে ছিল না। গড়িমসি করতে করতে এক সপ্তাহ কেটে যায়। কেটে যায় দুটি সপ্তাহ। এখন উদ্ধারে নেমে আর আশার আলো শোনাতে পারছে না কেউ।