তৃণমূলের নয় বছরের প্রতীক্ষার অবসান! ব্যবধান গড়ে দিতে পারেন প্রশান্ত কিশোরই, প্রশংসা মুকুল সাংমার
তৃণমূলের নয় বছরের প্রতীক্ষার অবসান! ব্যবধান গড়ে দিতে পারেন প্রশান্ত কিশোরই, প্রশংসা মুকুল সাংমার
বুধবারই জানা গিয়েছিল মেঘালয়ের প্রাক্তন কংগ্রেসী (Congress) মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা (Mukul Sangma) ১১ জন দলীয় বিধায়ককে নিয়ে তৃণমূলে (Trinamool Congress) যোগ দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে এদিন মুখ খোলেন স্বয়ং মুকুল সাংমা। তিনি অভিযোগ করেন কার্যকরী বিরোধীর ভূমিকা পালন করতে ব্যর্থ হয়েছে কংগ্রেস। পাশাপাশি তিনি ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের (Prashant Kishor) প্রশংসা করেছেন।
দীর্ঘদিন ধরেই অসন্তুষ্ট ছিলেন মুকুল সাংমা
মেঘালয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অসন্তুষ্ট ছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা। মূলত দলীয় সতীর্থ ভিনসেন্ট পালাকে রাজ্যে কংগ্রেসর সভাপতি করায় তিনি অসন্তুষ্ট ছিলেন। ২০১৭-তে বিধানসভা নির্বাচনের পরে ২০১৯-এ একবার মেঘালয়ে কংগ্রেস ভাঙার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। সেই সময় সামাল দিয়েছিলেন উত্তর-পূর্বে দায়িত্বপ্রাপ্ত এআইসিসি নেতা লুইজিনো ফেলেইরো। এখন সেই ফেলেইরোই তৃণমূলে।
সেপ্টেম্বরের শেষে কলকাতায় ঘুরে গিয়েছিলেন মুকুল সাংমা
২৪ নভেম্বর মুকুল সাংমার কংগ্রেস ভেঙে তৃণমূলে যোগ দেওয়া নিয়ে শোরগোল চললেও, এবারের প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল বেশ আগে। মুকুল সাংমা নিজে সেপ্টেম্বরের শেষে দিকে কলকাতায় এসে কথা বলেছিল ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে। সেই সময় বিষয়টিকে সৌজন্যের সফর বলেছিলেন মুকুল সাংমা। তবে সেই বৈঠকই বুধবার তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ছিল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
মেঘালয়ে কাজ শুরু করেছে প্রশান্ত কিশোরের টিম
সাধারণভাবে দেখা গিয়েছে তৃণমূল কোনও রাজ্যে পা ফেলার আগে সেখানে সন্তর্পণে কাজ করে প্রশান্ত কিশোরের আইপ্যাক। যা দেখা গিয়েছে ত্রিপুরায় এবং গোয়ায়। জানা গিয়েছে, আইপ্যাক ইতিমধ্যেই রাজধানী শিলংকে কেন্দ্র করে তাদের কাজ শুরু করেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য মেঘালয়ে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে ২০২৩-এ।
গণতন্ত্রে ভারসাম্যের প্রয়োজন
নিজের
দলত্যাগ
নিয়ে
মন্তব্য
করতে
গিয়ে
মুকুল
সাংমা
বলেছেন,
গণতন্ত্রে
ভারসাম্যের
প্রয়োজন।
কার্যকরী
বিরোধীর
প্রয়োজন।
এব্যাপারে
দলের
শীর্ষ
নেতৃত্বকে
বারবার
জানানো
হলেও
কোনও
ফল
পাওয়া
যায়নি
বলে
অভিযোগ
করেছেন
তিনি।
বিরোধীর
জায়গা
খুঁজে
নিতে
তিনি
প্রশান্ত
কিশোরের
সঙ্গে
বৈঠক
করেছিলেন
বলে
এদিন
জানিয়েছেন।
কেননা
তিনিই
ব্যবধান
গড়ে
দিতে
পারেন
বলেই
মনে
করেন
মুকুল
সাংমা।
তাঁরা
যেসময়
মিলিত
হয়েছিলেন
একই
বিষয়
নিয়ে
আলোচনা
করেছিলেন
বলে
জানিয়েছেন
মেঘালয়ের
প্রাক্তন
মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি
বলেছেন,
২০১৮-র
ভোটে
রাজ্যে
কংগ্রেস
একক
বৃহত্তম
দল
হয়েছিল।
কিন্তু
কংগ্রেস
সরকার
গড়তে
পারেনি।
নিজের
সিদ্ধান্ত
তিনি
সচেতনভাবেই
নিয়েছেন
বলে
জানিয়েছেন।
তিনি
প্রশ্ন
করেছেন,
কংগ্রেসে
থেকে
কি
মানুষের
প্রতি
দায়বদ্ধতা
পুরোপুরি
পালন
করা
যাচ্ছিল?
কংগ্রেস
রাজ্যে
প্রধান
বিরোধীর
দায়িত্ব
সঠিকভাবে
পালন
করতে
পারছিল
না
বলে
মন্তব্য
করেছেন
তিনি।
মেঘালয়ে তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা ২০১২ সালে
পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় আসার পরের বছরেই অনেক রাজ্যের মতো মেঘালয়েও তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। টার্গেট ছিল ৬০ টি আসনের মধ্যে অন্তত ৩৫ টি আসনে প্রার্থী দেবে তারা। যদিও পরবর্তী পর্যায়ে মেঘালয় কেন উত্তর-পূর্বের কোনও রাজ্যেই তৃণমূলকে সেভাবে সক্রিয় অবস্থায় পাওয়া যায়নি। তবে এবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় জয়ের পরেই তৃণমূল ফের ঝাঁপিয়ে পড়েছে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে। ত্রিপুরা দিয়ে শুরু। সেখানে বিধানসভায় আইনত তাদের কোনও প্রতিনিধি না থাকলেও, মেঘালয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী-সহ একবারেই ১২ জন বিধায়ককে পেয়ে গিয়েছে তারা। পাশাপাশি রাজ্যে প্রধান বিরোধীর মর্যাদাও পেতে চলেছে। বলা যেতে পারে, নয় বছরের প্রতিক্ষার অবসান হল।