সৌমিত্রর বিজেপিতে যোগদানের পর প্রথম প্রতিক্রিয়ায় কী বললেন মুকুল রায়
বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁর এদিন বিজেপিতে যোগদানের পর মুখ খুললেন একসময়ে তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড তথা বর্তমানে বিজেপি নেতা মুকুল রায়।
বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁর এদিন বিজেপিতে যোগদানের পর মুখ খুললেন একসময়ে তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড তথা বর্তমানে বিজেপি নেতা মুকুল রায়। তিনি সরাসরি আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বললেন, আজ তৃণমূলের পতনের সূত্রপাত হল। সাংসদ ও বিধায়কদের যে দল, আজ সৌমিত্র বিষ্ণুপুর থেকে জেতা সাংসদ, নরেন্দ্র মোদীর বিপুল কর্মকাণ্ডে সাড়া দিয়ে শামিল হয়ে এগিয়ে যেতে বিজেপিতে যোগ দিল। মুকুলের কথায়, সৌমিত্র খুব ছোট বয়স থেকে রাজনীতি করেছে। ছাত্র, যুব সংগঠন করেছে। একসময়ে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি ছিল। এখনও যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক ছিল।
সৌমিত্রকে দক্ষ সংগঠকের তকমা দিয়ে মুকুল বলেন, যুব সমাজে ওর প্রভাব রয়েছে। আমি আপনাদের বলতাম, অথচ আপনারা ভাবতেন মুকুল রায় কী বলছেন। দলে যেভাবে দুর্নীতিরাজ কায়েম হয়েছে, তার বিরুদ্ধে সরব হয়ে সৌমিত্র নরেন্দ্র মোদীর সবকা সাথ সবকা বিকাশ স্লোগানকে সামনে রেখে ভারতবর্ষের উন্নয়নে শামিল হয়েছে।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় কটাক্ষ করে মুকুল এদিন বলেন, শুনলাম উনি বলেছেন, সৌমিত্রকে বহিষ্কার করা হয়েছে। যদি তাই হয় তাহলে কেন সকালে বলল না? কেন দুপুরে সৌমিত্র বিজেপিতে যোগদানের পর এসব বলছেন? সৌমিত্র বিষ্ণুপুরের সাংসদ। দায়িত্ব নিয়ে বলছি, পুর ভোটে, পঞ্চায়েত ভোটে বিরোধীদের একটাও মনোনয়ন জমা করতে দেয়নি বিজেপি। সৌমিত্র প্রতিবাদ করেও কিছু করতে পারেনি। কারণ দলটা চালাচ্ছে একটা কোম্পানির ডিরেক্টর ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর।
তৃণমূল বলছে, বাংলায় গণতন্ত্রের জয় হয়েছে। বিজেপি বেশ কয়েকটি রাজ্যে হেরে গিয়েছে। একটাও মানুষের প্রাণ যায়নি। আর পঞ্চায়েত ভোটের সময় বাংলায় ৯০ জন খুন হয়েছে। যার মধ্যে ৪৮ জন বিজেপির কর্মী বলে দাবি মুকুলের।
তাঁর আশঙ্কা, বাংলায় সৌমিত্র যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মামলা হবে। ওর সঙ্গীদের গ্রেফতার করা হবে। সৌমিত্রর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হবে। বাংলায় কোনও বিজেপি কর্মী নিশ্চিন্তে রাত কাটাতে পারছে না। কারণ বাংলায় পুলিশ রাজ চলছে। বাংলায় শিল্প-শিক্ষা নেই। অরাজকতা চলছে। যেহেতু বিজেপি তৃণমূলকে লড়াই দিচ্ছে তাই এমনটা করা হচ্ছে।
আজ সৌমিত্র বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এটা সবে ট্রেলার। পুরো সিনেমা এখনও বাকী রয়েছে। ধীরে ধীরে দেখাব। একটু অপেক্ষা করুন। এমনটা বলেই তৃণমূল কংগ্রেসকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুকুল।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দেগে মুকুল বলেন, মমতা অন্ধ ধৃতরাষ্ট্রের ভূমিকা পালন করছেন। তিনি নিজের পরিবারের দোষ দেখতে পারছেন না। তার বিরুদ্ধে তিনি কিছু বলেন না। ধৃতরাষ্ট্র যেমন দুর্যোধনের দোষ দেখতে না পেয়ে কুরু বংশের ধ্বংস করেছেন। তেমনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল দলকে তুলে দেবেন।