পরিবর্তনের সরকার গড়তে তৃণমূলকে ‘অনুসরণ’ মুকুলের, ত্রিপুরায় নয়া কৌশল বিজেপির
বাংলার রাজনীতিতে পরিবর্তন আনতে মৃতদেহ নিয়ে রাজনীতি করতে দেখা গিয়েছিল পরিবর্তনকামী তৃণমূল কংগ্রেসকে। এবার মুকুল রায়ের হাত ধরে ত্রিপুরাতেও সেই রাজনীতি শুরু করে দিল বিজেপিও।
বাংলার মতো ত্রিপুরার বাম সরকারের বিরুদ্ধেও পরিবর্তনের দাবিতে একইভাবে প্রচার শুরু করলেন মুকুল রায়। বাংলার রাজনীতিতে পরিবর্তন আনতে মৃতদেহ নিয়ে রাজনীতি করতে দেখা গিয়েছিল পরিবর্তনকামী তৃণমূল কংগ্রেসকে। এবার মুকুল রায়ের হাত ধরে ত্রিপুরাতেও সেই রাজনীতি শুরু করে দিল বিজেপিও। তাঁরা বুঝিয়ে দিল, তাঁদের মূল লক্ষ্য ত্রিপুরা থেকে ২৪ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটানো।
[আরও পড়ুন:'হিরা'-র পাল্টা 'দুর্বল প্রধানমন্ত্রী'! মোদীকে সুযোগ বুঝে আক্রমণে মানিক]
মঙ্গলবার ত্রিপুরার কল্যাণপুরে মুকুল রায় সভা করে পরিবর্তনের ডাক দিয়ে বলেন, ত্রিপুরায় পরিবর্তনের ঝড় উঠে গিয়েছে। এই ঝড় বয়ে নিয়ে যেতে হবে বাংলাতেও। বাংলা থেকে জনবিরোধী সরকারকে উৎখাত করতে হবে। এখানে কংগ্রেস সরকার ব্যর্থ হয়েছে ত্রিপুরায় বাম শাসনের অবসান ঘটাতে। তারপরও তৃণমূলও হার মেনেছে। কিন্তু বিজেপি হার মানবে না। বিজেপি সিপিএম সরকারকে উৎখাত করেই ছাড়বে।
মুকুল রায়কে ত্রিপুরায় পাঠানো হয়েছে বিধানসভা নির্বাচনের কৌশল নির্ধারণ করতে। সেইমতো ভোটের আবেগ উসকে দিতে তৃণমূলকেই অনুসরণ করলেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গে পরিবর্তনের লড়াইয়ে তিনিই ছিলেন নীতি নির্ধারমের ভূমিকায়। এবার সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ত্রিপুরাতেও মানুষের আবেগকে উসকে দিলেন তিনি। তিনি বুঝিয়ে দিলেন এ রাজ্যের সিপিএম তথা বামফ্রন্টের সরকার পশ্চিমবঙ্গের মতো দুর্নীতিপরায়ণ হয়ে উঠেছে।
ত্রিপুরায় রামনগর বিধানসভা কেন্দ্রের ১১ নম্বর বুথ কমিটির সভাপতি মধুসূদন দেবের দেহ উদ্ধার হয়। নেতার দেহ নিয়ে ধর্না শুরু করে বিজেপি নেতৃত্ব। আগরতলায় রাজ্য পুলিশের সদর দফতরের সামনে দেহ রেখে বিক্ষোভ প্রদর্শন চলে। পুলিশ সুপার দোষীদের গ্রেফতারের প্রতিশ্রুতি দিলে ধরনা ওঠে। বিজেপি জানায়, এই খুনখারাপির রাজনীতির বদলা নেওয়া হবে। বিজেপি হিংসামুক্ত রাজ্য গড়ে তুলবে। আর প্রতিবেশী রাজ্যের সেই সাফল্য নিয়েই বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়বে।
[আরও পড়ুন:ত্রিপুরায় ক্ষমতায় আসবে তারাই, তারকা প্রচারে আত্মবিশ্বাসী বিজেপি]