
নদিয়ায় বিধায়ক খুনের মামলায় জামিন মুকুল রায়ের
নদিয়ার বিধায়ক খুনের মামলায় জািমন পেলেন মুকুল রায়। বিধাননগরের এমএলএ-এমপি আদালতে ৫০,০০০ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পেয়েছেন মুকুল রায়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর রানাঘাটে তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক খুনে নাম জড়িয়েছিল তাঁর। রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে যে মামলা করা হয়েছিল তাতে মুকুল রায়ের নাম উল্লেখ করা হয়েছিল। মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে খুনের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল।

২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগেই তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন মুকুল রায়। কিন্তু বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেও একপ্রকার কোণঠাসা পড়েছিলেন তিনি। দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতির পদে তাঁকে বসানো হলেও কার্যত কোনও ক্ষমতাই তাঁকে দেওয়া হয়নি। প্রথম পর্যায়ে বঙ্গবিজেপিকে শক্তিশালী করার জন্য মুকুল রায়ের মাধ্যমে একের পর এক টিএমসি নেতা মন্ত্রীকে বিজেপিতে যোগদান করিয়েছে বিজেপি। শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় একের পর এক টিএমসির হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রী বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। যার নেপথ্যে অনেকটাই মুকুল রায়ের কৌশ কাজ করেছে।
কিন্তু একুশের ভোট যত এগিয়ে এসেছে তত মুকুল রায়কে এক প্রকার কোণঠাসা করে দিয়েছিল বঙ্গ বিজেপি। দিল্লির নেতারা এক প্রকার দখল নিয়ে নিয়েছিেলন বঙ্গ বিজেপিকে। মোদী-শােহর আনাগোনা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কৈলাশ বিজয়বর্গীয়দের দাপট বেড়েছিল। শুভেন্দুর যোগদানের পর আরও কোন ঠাসা হয়ে পড়েছিলেন মুকুল রায়। একুশের ভোটের প্রচারে কোনও বড় ব়্যািলতে দেখা যায়নি তাঁকে। একুশের বিধানসভা ভোটে সব হিসেব নিকেশ উল্টে দিয়ে টিএমসি বিপুল ভোটে জয়ী হন। তারপরেই বিজেপি ছেড়ে টিএমসিতে যোগ দেন মুকুল রায়। তাঁর সঙ্গে তাঁর ছেেল শুভ্রাংশুও টিএমসিতে যোগ দেন।
টিএমসিতে ফিরে এলেও তেমন ভাবে সক্রিয় থাকতে দেখা যায়নি মুকুল রায়। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেই
নদিয়ার রানাঘাটে বিধায়ক খুনের ঘটনায় মুকুল রায়ের নাম জড়ানো হয়েছিল। বলা চলে পুিলশ মন্ত্রীর নির্দেশেই বিধায়ক খুনের ঘটনায় মুকুল রায়ের িবরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলাতেই জামিন পেলেন মুকুল রায়। ৫০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পেয়েছেন তিনি।
কিন্তু তার পরেও কি দলের সক্রিয় সদস্য হিসেবে দেখা যাবে তাঁকে। এই নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। কারণ টিএমসিতে যোগ দেওয়ার পরে থেকে কার্যত অন্তরালেই রয়েছে। তাঁতে প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে না খুব একটা। এই নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করে দিয়েছে। হঠাৎ করে মুকুল রায়ের এই জামিন দেওয়ার মধ্যে কি নতুন কোনও পরিকল্পনা রয়েছে শাসক দলের। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য লোকসভা ভোটকে সামনে রেখে মুকুল রায়কে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হতে পাকে। উত্তর পূর্বের রাজ্যগুিলতে সংগঠন শক্তিশালী করার চেষ্টা করছে টিএমসি। সেই কাজে মুকুল রায়কেও ব্যবহার করা হতে পারে।