পাপড়ি চাটে অ্যালার্জি থাকলে ফিস কারি খান, ডেরেককে পাল্টা নিশানা নকভির
পাপড়ি চাটে অ্যালার্জি থাকলে ফিস কারি খান, ডেরেককে পাল্টা নিশানা নকভির
পাপড়ি চাট পছন্দ না হলে ফিস কারি বা মাছের ঝোল খান। ডেরেক ওব্রায়েনকে সরাসরি নিশানা করলেন রাজ্যসভায় বিজেপির ডেপুটি লিডার মুক্তার আব্বাস নকভি। তিনি অভিযোগ করেছেন বিরোধীরা সংসদকে মাছের বাজার মানিয়ে ফেলেছেন। সংসদ অধিবেশ চলতে না দেওয়ার চক্রান্ত করছে বিরোধীরা এমনই অভিযোগ করেছেন নকভি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গতকাল তৃণমূল ভবনে পাপড়ি চাট পার্টি করেেছন ডেরেক সহ তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদরা।
ডেরেককে নিশানা নকভির
পাপড়ি চাট মন্তব্য নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ডেরেক ওব্রায়েনকে পাল্টা নিশানা করলনে বিজেপি সাংসদ মুক্তার আব্বাস নকভি। আজও একাধিক ইস্যুতে উত্তাল হয়ে উঠেছিল সংসদের দুই কক্ষ। রাজ্যসভায় বিজেপি ডেপুটি লিডার মুক্তার আব্বাস নকভি সরাসরি ডেরেককে নিশানা করেছেন তাঁর পাপড়ি চাট মন্তব্যের জন্য। তিনি কটাক্ষ করে বলেছেন পাপড়ি চাটে অ্যালার্জি থাকলে ফিস কারি খেতে পারেন। সংসদকে এমনিতেই তাঁরা মাছের বাজার বানিয়ে ফেলেছেন। বিরোধীরা চক্রান্ত করে সংসদে কোনও অধিবেশন হতে দিতে চাইছে না বলেও অভিযোগ করেছেন নকভি। সংসদের সম্মান হানি করছেন তাঁরা।এমনও গুরুতর অভিযোগ করেছেন নকভি। যেভাবে গত কয়েকদিন ধরে সংসদে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বিরোধীরা তা নজিরবিহীন বলে দাবি করেছেন বিজেপি সাংসদ।
ডেরেক চাট পার্টি
গতকাল তৃণমূল কংগ্রেস ভবনে পাপড়ি চাট পার্টি করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদরা। সেই পার্টির মূল হোতা ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ওব্রায়েন। তাতে সামিল হয়েছিলেন অন্যান্য তৃণমূল সাংসদরাও। ছিলেন কাকলি ঘোষ দস্তিদারও। েডরেক ও কাকলি ঘোষদস্তিদারকে পাপড়ি চাটের প্লেট হাতে গল্প করতে দেখা গেছে। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ােতও দিয়েছিলেন তাঁরা। এর আগে গত পরশু রাজ্যসভার তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ডেরেক ওব্রােয়ন কটাক্ষ করে টুইটে লিখেছিলেন মোদী সরকার যেভাবে বিরোধীদের অনুপস্থিতিতে বিল পাস করাচ্ছেন সেটা পাপড়ি চাটের মতো। ডেরেকের এই টুইট সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিয়ে ডেরেকের এই টুইট নিয়ে তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন। তারপরের দিনই এক প্রকার মোদীকে বার্তা দিতেই তৃণমূল ভবনে পাপড়ি চাট পার্টি করে তৃণমূল কংগ্রেস।
পেগাসাস ইস্যুতে উত্তাল সংসদ
বাদল অধিবেশনের শুরুর দিন থেকেই উত্তাল সংসদের দুই কক্ষ। পেগাসাস ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর জবাব দাবি করে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখিয়েছেন বিরোধীরা। কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রীর হাত কাগজ কেড়ে নিয়ে ছিঁড়ে দিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ শান্তনু সেন। তারপরেই তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে স্বাধীকার ভঙ্গের নোটিস আনে বিজেপি। এবং বাদল অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়েছে শান্তনু সেনকে। এই নিয়ে প্রবল বিরোধিতা করেছিলেন বিরোধী দলের সাংসদরা। তারপরেও থামেনি পেগাসাস ইস্যুতে বিক্ষোভ। উল্টে তাতে আরও পারদ চড়েছিল। লোকসভায় পেগাসাস ইস্যুতে প্রতিবাদ জানিয়ে কাগজ ছুড়তে শুরু করেন বিরোধীরা। এই ঘটনা নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন স্পিকার ওম বিড়লা। তিনি অভিযোগ করেছিলেন সংসদের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিচ্ছেন বিরোধীরা। এই ধরনের আচরণ জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে একেবারেই কাম্য নয় বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
পেগাসাস ইস্যুতে একজোট বিরোধীরা
পেগাসাস স্পাই ওয়ার চালানো হয়েছে দেশের একাধিক সাংবাদিক এবং রাজনৈতিক দলের নেতাদের ফোনে এমনই অভিযোগ করেছে কংগ্রেস। এই অভিযোগ সত্যি কিনা তা জানাতে হবে মোদী সরকার। তার জবাব দিহি করতে হবে কেন্দ্রকে। সংসদে এই নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিবৃতি দাবি করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। বিরোধীদের এক জোট করে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন তিনি। রীতিমতো হুঙ্কার দিয়ে বলেছেন যতক্ষণ না পেগাসাস ইস্যুকে কোনও কথা মোদী সরকার বলছে ততক্ষণ কোনও ইস্যুতেই আলোচনা তারা করবেন না। এদিকে বিরোধীদের হট্টগোলের মাঝেই একের পর এক বিল পাস করিয়ে চলেছেন মোদী সরকার। বিরোধীদের অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে লাগাতার বিল পাস করা হচ্ছে। এদিকে পেগাসাস ইস্যুতে চাপ বাড়ছে মোদী সরকারের উপর। ইতিমধ্যেই এডিটরস গিল্ডের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টে পেগাসাস ইস্যুর তদন্তে আবেদন জানানো হয়েছে। পৃথক তদন্ত কমিটি গড়ার দাবি জানানো হয়েছে। ১৭ জন সাংবাদিক এবং একাধিক রাজনৈতিক নেতার ফোনে পেগাসাস ব্যবহার করে আড়িপাতা হয়েছে বলে অভিযোগ।টার্গেটে ছিলেন রাহুল গান্ধী, ভোচ কুশলী প্রশান্ত কিশোরও। এমনকী তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও দাবি করেছেন তাঁর ফোন হ্যাক করা হয়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেইএর জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করে ফেলেছেন।