পরিবার-পরিজন চায় না, আমিষ ব্যবসা গোটাচ্ছেন মুকেশ
ভাই অনিল আম্বানির সঙ্গে ব্যবসা ভাগাভাগি করে নেওয়ার পর আমিষ ব্যবসায় নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মুকেশ। ব্রিটেনের টু-সিস্টার্স ফুড গোষ্ঠীর অধীন টু-সিস্টার্স ফুড ইন্ডিয়ার ৪৫ শতাংশ শেয়ার কিনে নিয়েছিলেন তিনি। খুচরো বিপণি, রেস্তোরাঁ, শপিং মলে মাছ, মাংস, ডিম ইত্যাদি আমিষ জিনিস সরবরাহ করে টু-সিস্টার্স ফুড ইন্ডিয়া। এছাড়াও রিলায়েন্সের আওতায় রয়েছে ডিলাইট স্টোর্স। দেশের ১১টি রাজ্য এবং ২৫টি মহানগরে মোাট ১০০টি ডিলাইট স্টোর্স রয়েছে। এরা শুধুই আমিষ খাবার বিক্রি করে।
বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, রিলায়েন্সের আমিষ ব্যবসা বৃদ্ধির হার বছরে ২৫-৩০ শতাংশ এবং তা সংস্থার মোট খুচরো ব্যবসার ১০ শতাংশ জুড়ে রয়েছে। এ ছাড়া মুকেশ আম্বানি পরিকল্পনা করেছিলেন, এমন একটি রেস্তোরাঁ শৃঙ্খল খুলবেন সারা দেশে, যেখানে শুধু মুরগি মাংসের নানা পদ পরিবেশিত হবে। নামও ঠিক করে ফেলেছিলেন, 'চিকেন কেম ফার্স্ট'।
কিন্তু, বরাবর নিরামিষভোজী আম্বানি পরিবারে এ নিয়ে আপত্তি ওঠে। ধীরুভাই আম্বানি নিজে সারা জীবন শাকাহার করেছেন। ছেলেরাও বাবাকে দেখে নিরামিষভোজী হয়েছে। এখন মুকেশের আমিষ ব্যবসার প্রতি প্রীতি ভালো চোখে নেননি পরিবারের অন্যান্যরা। মুকেশের অধিকাংশ বন্ধুও আমিষ খান না। এমনকী, রিলায়েন্স রিটেলে যে ক্রেতারা কেনাকাটা সারতে আসেন, খাদ্যসামগ্রী নেওয়ার সময় তাঁরা নাকি জিজ্ঞেস করেন, এতে আমিষের ছোঁয়া নেই তো? ক্রেতাদের মনের এই ধন্দ ভাবিয়েছে মুকেশকে। সব দিক বিবেচনা করে তাই আমিষ ব্যবসা গুটিয়ে ফেলতে মনস্থির করেছেন তিনি।