মুকেশ আম্বানি ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ফোন, আটক এক
মুকেশ আম্বানি ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ফোন, আটক এক
ফের হুমকি পেলেন শিল্পপতি মুকেশ আম্বানি ও তাঁর পরিবার। সোমবার তিনটির বেশি ফোনে মুকেশ আম্বানি ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হুমকি দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন হাসপাতালের নম্বরে ফোন করে মুকেশ আম্বানি ও তাঁর পরিবারকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। মুম্বই পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনার সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে পুলিশ একজনকে আটক করেছে।
হুমকির ফোনের ঘটনায় আটক এক
মুম্বই পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি ও তাঁর পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন হাসপাতালের নম্বরে তিন বারের বেশি ফোন করে এই হুমকি দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে এই বিষয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এই হুমকি ফোনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ মুম্বইয়ের পশ্চিম শহরতলীকে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে, ওই ব্যক্তি মানসিকভাবে সুস্থ নয়। মুম্বই পুলিশ এই বিষয়ে বিস্তারিত কোনও তথ্য প্রকাশ করতে অস্বীকার করেছে। মুম্বই পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, হুমকি ফোনের বিষয়ে আরও তদন্তের প্রয়োজন।
হাসপাতালের তরফে অভিযোগ দায়ের
রিলায়েন্স ফাইন্ডেশন হাসপাতালের সিইও চিকিৎসক তরঙ্গ গিয়ানচান্দানি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, হাসপাতালে হুমকির মোট চারটি ফোন এসেছিল। ফোনে মুকেশ আম্বানি ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। এরপরেই হাসপাতালের তরফে স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। জুলাইয়ের শুরুর দিকে সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রকে মুকেশ আম্বানি ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছিল। প্রসঙ্গত, আগে থেকেই কেন্দ্র মুকেশ আম্বানি তাঁর পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা দিচ্ছে। দক্ষিণ মুম্বইয়ের মুকেশ আম্বানির পাশপাশি দেশের শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, কূটনীতিক এবং গ্ল্যামার জগতের বহু সেলিব্রেটির বাসভবন রয়েছে।
আগেও হুমকি পেয়েছিল আম্বানি পরিবার
গত বছরেই মুকেশ আম্বানি একটি হুমকি পেয়েছিলেন। মুকেশ আম্বানির বাসভবন অ্যান্টিলিয়া-র বাইরে একটি স্করপিও গাড়িকে সন্দেহজনকভাবে অবস্থান করতে দেখা যায়। সেখানে ২০টি বিস্ফোরক জেলেটিন স্টিক ও মুকেশ আম্বানিকে হুমকি দিয়ে লেখা একটি চিঠি উদ্ধার করা হয়। এরপরেই মুম্বইয়ের ক্রাইম ইনটেলিজেন্স ইউনিট সহ সচিন ভাজের নেতৃত্বে পুলিশের একটি বিশাল বাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছিল। এই ঘটনার তদন্তভার গ্রহণ করেন সচিন ভাজ। এরপরে মামলাটি অত্যন্ত জটিল হয়ে ওঠে। ঘটনার কয়েকদিন পরেই থানের ব্যবসায়ী মনসুখ হীরেনের রহস্যমৃত্যু হয়। আম্বানির বাড়ির সামনে থেকে উদ্ধার হওয়া সন্দেহজনক স্করপিও গাড়ির মালিক ছিলেন মনসুখ হীরেন। এক সপ্তাহ আগেই তিনি গাড়িটি চুরি যাওয়ার অভিযোগে থানায় ডায়েরি করেন। ২০২১ সালের ৫ মার্চ থানের একটি খাঁড়ি থেকে তাঁর মৃতদেহ পাওয়া যায়। এরপর মামলাটির তদন্ত এনআইকে হস্তান্তর করা হয়।
independence day: দেশের ৭৫তম স্বাধীনতা দিবস, ৪৭ সালে নেহ্রুর বিখ্যাত বক্তব্য শেয়ার করছে কংগ্রেস