এগ রোল থেকে মুগ ডালের হালুয়া, গগনযান অভিযাত্রীদের জন্য তৈরি হচ্ছে বিশেষ ভারতীয় খাবার
এগ রোল থেকে মুগ ডালের হালুয়া, গগনযান অভিযাত্রীদের জন্য তৈরি হচ্ছে বিশেষ ভারতীয় খাবার
২০২১ সালের ডিসেম্বরে ’গঙ্গাযান’ মিশনে অভিযাত্রীদের পাঠাবে ইসরো। মহাকাশে গিয়ে গগনযানের সেইসব অভিযাত্রীদের খাওয়ার কোনও যাতে অসুবিধা না হয় সে জন্য তাঁদের কথা মাথায় রেখে বিশেষ পদ্ধতিতে তৈরি হচ্ছে সুস্বাদু দেশীয় খাবার। মাইসুরুর ডিফেন্স ফুড রিসার্চ ল্যাবরটরি অভিযাত্রীদের জন্য তৈরি করছে বিশেষ খাবার ও পানীয়ের প্যাকেজ।
এগ রোল, ভেজ রোল, ইডলি, মুগ ডালের হালুয়া এবং ভেজ পোলাও সহ ৩০ ধরনের পদ রয়েছে অভিযাত্রীদের খাবার মেনুতে। এছাড়াও থাকছে ফ্রুট জুস ও এনার্জি বারের মতো একাধির রেডি–টু–ইট খাবার। ডিআরডির তত্ত্বাবধানে মাইসুরুর ডিফেন্স ফুড রিসার্চ ল্যাবরটরিতে এই সব খাবার তৈরি করা চলছে। ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে যে ভারতীয় সেনা বাহিনীর জন্য ডিএফআরএল বহু দশক ধরে রেডি–টু–ইট খাবার–দাবার তৈরি করছে। তাই বিষয়টির জন্য রাশিয়ার ওপর নির্ভর করছে না ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। খাবার গরম করার জন্য দেওয়া হবে হিটারও। মহাকাশে থেকেও যাতে বাড়ির খাবারের স্বাদ পান অভিযাত্রীরা, সেই দিকটি খেয়াল রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ইসরো।
ইসরোর পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ভারত মহাকাশে মানুষ পাঠানোর লক্ষ্য পূরণ করবে। গঙ্গাযানে তিনজন মহাকাশচারী যেতে পারবেন এবং সাতদিনের মধ্যেই তাঁরা মহাকাশে পৌঁছে যাবেন। ২০১৮ সালের স্বাধীনতা দিবসের দিন এই ঘোষণা প্রথম করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গগনযান মিশন খুব ভাল অগ্রগতি করেছে। গগনযান করে পারি দেওয়ার জন্য ক্রিউ প্রশিক্ষণ এবং প্রপালশন মডিউলটির জন্য সম্প্রতি মানব রেটিং সহ বেশ কয়েকটি পরীক্ষা করা দরকার। এই পরীক্ষাগুলির মধ্যে বেশ কিছু এই বছরই শেষ হবে বলে জানিয়েছেন ইসরো চেয়ারম্যান কে শিবন। এই মিশনের জন্য খরচ হচ্ছে ১০ হাজার কোটি। শিবন আরও জানান যে তারা চারজন মহাকাশচারীকে বাছাই করেছেন এবং রাশিয়াতে তাঁদের প্রশিক্ষণ ২০২০ সালের জানুয়ারিতেই শেষ হওয়ার কথা।