মধ্যপ্রদেশে এক মেরুতে 'হিন্দুত্ববাদী' বিজেপি ও 'সেকুলার' কংগ্রেস, জানেন কেন
মধ্যপ্রদেশ নির্বাচনেও বিজেপির হিন্দুত্ববাদী অবস্থান বজায় থাকল। একই কাজ করল কংগ্রেস।
মধ্যপ্রদেশ নির্বাচনেও বিজেপির হিন্দুত্ববাদী অবস্থান বজায় থাকল। হিন্দুত্বকে সামনে রেখেই যে বিজেপি ভোটের ময়দানে লড়তে চাইছে তা ফের একবার প্রার্থী বাছাইয়ের মাধ্যমে স্পষ্ট করে দিল গেরুয়া শিবির। এদিকে ধর্মনিরপেক্ষতার বড়াই করা কংগ্রেসের অবস্থাও তথৈবচ। এক্ষেত্রে বিজেপির তাও একটি অবস্থান রয়েছে। কংগ্রেস যে কেন সংখ্যালঘু প্রার্থী বাছাইয়ে পিছিয়ে রইল তার উত্তর সম্ভবত কমলনাথ, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ারাই দিতে পারবেন।
কেন এমন পদক্ষেপ
হিন্দুত্ব নিয়ে বিজেপি কংগ্রেসের তরজা চলছে। বিজেপির দাবি কংগ্রেস হিন্দু বিরোধী। হিন্দুদের স্বার্থে কাজ করে না। মুসলিম তোষণ করে। সেই অভিযোগ খণ্ডন করতে গিয়েই কি কংগ্রেস মধ্যপ্রদেশ নির্বাচনে কম সংখ্যালঘু প্রার্থীদের বেছে নিল? নাকি বেশি হিন্দু বাছতে গিয়ে সংখ্যালঘু মুসলমানরা বাদ পড়ে গিয়েছেন?
এক মেরুতে বিজেপি-কংগ্রেস
কারণ যাই হোক, মধ্যপ্রদেশ নির্বাচনে সংখ্যালঘু প্রার্থী বাছাইয়ে এক মেরুতে 'হিন্দুত্ববাদী' বিজেপি ও 'সেকুলার' কংগ্রেস। এক্ষেত্রে দুই দলের অবস্থানে কোনও ফারাক নেই। রাজ্যের ৬ শতাংশ জনসংখ্যা মুসলমান হলেও দুই দল তাদের থেকে প্রার্থী বাছাই করার প্রয়োজন অনুভব করেনি।
বিজেপির হয়ে লড়বেন ১ জন
বিজেপি ২৩০টি আসনের মধ্যে মাত্র ১জন মুসলমান প্রার্থী দিয়েছে। তিনি ফতিমা রসুল সিদ্দিকি। ভোপাল উত্তর আসন থেকে তিনি এবার লড়াই করবেন। এই এলাকা সংখ্যালঘু অধ্যুষিত।
কংগ্রেসের হয়ে লড়বেন ৩ জন
কংগ্রেস এই রাজ্যে মাত্র তিনজন সংখ্যালঘু প্রার্থীকে বেছে নিয়েছে। আরিফ আকিল, আরিফ মাসুদ ও মাশারত শাহিদ। এদের মধ্যে আকিল জিতলেও বাকী দুইজন আগের ভোটে হেরে গিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: সবরিমালায় ঋতুমতী মহিলাদের প্রবেশ নিয়ে এবার প্রকাশ্য শুনানিতে রাজি সুপ্রিম কোর্ট]
২০১৩ সালেও ছিল একই চিত্র
২০১৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও বিজেপি মাত্র ১জন সংখ্যালঘু প্রার্থী দাঁড় করিয়েছিল। এদিকে কংগ্রেসের টিকিটে লড়েছিলেন পাঁচজন প্রার্থী। এবার সেই সংখ্যাও কংগ্রেস কমিয়ে এনেছে।