সিন্ধিয়ার সঙ্গে আছি, বেঙ্গালুরু থেকে ফিরছেন না কংগ্রেসের ২১ বিধায়ক! আস্থা ভোটের সমীকরণে এগিয়ে কে?
মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস যতই বলুক যে ইস্তফা দেওয়া বিধায়করা তাদের সঙ্গেই আছেন, সেই দাবি যে সত্যি নয় তা প্রমাণ করে দিল একটি ভিডিও বার্তা। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার সঙ্গে কংগ্রস ত্যাগী ২১ বিধায়কের সেই ভিডিও বার্তায় আরও ঘোলাটে হয়ে গেল মধ্যপ্রদেশের রাজনৈতিক সমীকরণ। আর এর জেরে ক্ষমতা যে কার দখলে আসবে তা এখনও পরিস্কার নয়।

কমলনাথের শক্তি পরীক্ষা
সোমবার মধ্যপ্রদেশের বিধানসভায় কমলনাথের শক্তি পরীক্ষা। গত কয়েকদিন ধরেই এই নিয়ে জোর তৎপরতা দেখা গিয়েছে কংগ্রেস ও বিজেপি শিবিরে। আজকের এই আস্থা ভোট টিভিতে সরাসরি সম্পরচারিত হবে। মধ্যপ্রদেশের রাজ্যপাল লালাজি ট্যান্ডনের নির্দেশেই আজ এই আস্থা ভোট হওয়ার কথা বিধানসভায়।

জয়পুর থেকে ভোপালে এসেছেন কংগ্রেস বিধায়করা
এদিকে আস্থা ভোটের জন্য তৈরি হচ্ছে কংগ্রেস। জয়পুর থেকে তাদের বিধায়কদের ভোপাল ফিরিয়ে আনা হয়েছে। ভোপালেও তাদের এক পাঁচ তারা হোটেলে রাখা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এরই মধ্যে ইস্তফা দেওয়া ৬ বিধায়কের আবেদন গ্রহণ করেছেন অধ্যক্ষ। যার জেরে মধ্যপ্রদেশের বিধআনসভার সমীকরণ কিন্দু পাল্টে গিয়েছএ পুরোপুরি। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস না বিজেপি, কে জয়ী হয়, সেই দিকে নজর সবার।

নজর টিকে বেঙ্গালুরুতে থাকা ২১ বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের উপর
তবে কংগ্রেস ও বিজেপি বিধায়কদের গতি প্রকৃতির থেকেও রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের নজর এখন টিকে বেঙ্গালুরুতে থাকা ২১ বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের দিকে। আর এরই মধ্যে এক ভিডিও বার্তায় তাঁরা জানিয়ে দিয়েছেন যে এখনও তাঁরা বেঙ্গালুরুতেই রয়েছেন। তাঁদের পূর্ণাঙ্গ সুরক্ষা সুনিশ্চিত করা হলে তবেই তাঁরা ভওপাল ফিরে যাবেন।

মধ্যপ্রদেশের সমীকরণে কে এগিয়ে?
এদিকে এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের পক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করা খুব কঠিন হয়ে পড়বে। ২২৮ সদস্যের বিধানসভায় ৬ জন বিধায়কের ইস্তফা ইতিমধ্যেই গ্রহণ করেছেন অধ্যক্ষ। এর জেরে সদস্য সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ২২২-এ। যার অর্থাৎ ম্যাজিক ফিগার ১১২। তবে ২১ জন বিধায়ক ছাড়া সেই সংখ্যার ধআরের কাছেও পৌঁছাবে না কমলনাথের সরকার।

কংগ্রেসের দাবি কি তবে মিথ্যা?
এর আগে কংগ্রেসের দাবি ছিল, পদত্যাগী ২২ জন বিধায়কের মধ্যে ১২ জন বিজেপিতে যেতে চান না। তাঁদের স্পষ্ট দাবি, আমরা মহারাজের সঙ্গে এসেছি, কিন্তু আমরা বিজেপিতে যেতে চাই না। এর ফলে মধ্যপ্রদেশ অঙ্ক বদলাচ্ছে। কংগ্রেস জানায়, এই ১২ বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের বাড়িতে বৈঠকে বসেন। আর এই বৈঠকের পরই পাল্টা চাপে পড়ে বিজেপি। এদিকে বেঙ্গালুরুতে থাকা বিধায়কদের দাবি তাঁরা এখনও সেখানেই আছেন। যা নিয়ে পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হচ্ছে। এখন দেখার কোন দল কোন সমীকরণের সাহায্যে মসনদ দখল করে।