'বড়মা'র আশীর্বাদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ', মতুয়া বিদ্রোহ সামলাতে মোদী'ই ভরসা বঙ্গ বিজেপির
এই অবস্থায় ধীরে ধীরে বিজেপির থেকে সরতে শুরু করেছেন মতুয়ারা। এমনকি মতুয়াদের বিশ্বাস নিয়ে রাজনীতি হয়েছে! বিজেপিতে থেকেই কার্যত বোমা ফাটিয়েছেন সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর।
নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করার কথা বলা হলেও এখনও তা কার্যকর করা হয়নি! এই অবস্থায় ধীরে ধীরে বিজেপির থেকে সরতে শুরু করেছেন মতুয়ারা। এমনকি মতুয়াদের বিশ্বাস নিয়ে রাজনীতি হয়েছে! বিজেপিতে থেকেই কার্যত বোমা ফাটিয়েছেন সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর।
এমনকি বঙ্গ বিজেপিতে মতুয়াদের কোনও প্রতিনিধি না থাকা নিয়েও চাপ বাড়িয়েছেন তিনি। এই অবস্থায় মোদীকে সামনে রেখেই ফের একবার মতুয়া মন পাওয়ার চেষ্টা বিজেপির।
আমার ২০১৯-এর ফেব্রুয়ারীতে ঠাকুরনগর যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল। এই সফর আমি কখনোই ভুলতে পারিনা। বড়মা বীণাপাণি ঠাকুরের আশীর্বাদ পাওয়া আমার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। pic.twitter.com/qSkFwcpiWS
— Narendra Modi (@narendramodi) March 28, 2022
ধর্মমেলায় অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী
ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়িতে মতুয়া ধর্মের মহামেলা হবে। আর সেই মেলায় যোগ দেবেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। আর তা নিজেই টুইট করে জানিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী তাঁর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে লিখেছেন, ''আগামীকাল ২৯শে মার্চ বিকেল ৪-৩০এ মতুয়া ধর্ম মহামেলায় ভাষণ দেবার সুযোগ পেয়ে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি। মহান শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরজি সামাজিক ন্যায় ও জনকল্যাণে তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। আমরা তাঁর জন্মজয়ন্তীও উদযাপন করবো''।
বীণাপাণি দেবীর ছবি পোস্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী
২০১৯ সাল। লোকসভা নির্বাচন। বাংলায় মতুয়া মন পাওয়ার চেষ্টা বিজেপির। আর সেদিকে তাকিয়ে ঠাকুরনগরে আসেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে বীণাপাণি দেবীর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। একেবারে মাটিতে বসে কথা বলেন। আর সেই বিষয়টিকে তুলে ধরে ফের একবার মতুয়া মন পাওয়ার চেষ্টা মোদীর। বড়মা'র ছবি পোস্ট করে প্রধানমন্ত্রী লিখছেন, ''আমার ২০১৯-এর ফেব্রুয়ারীতে ঠাকুরনগর যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল। এই সফর আমি কখনোই ভুলতে পারিনা। বড়মা বীণাপাণি ঠাকুরের আশীর্বাদ পাওয়া আমার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।''
বিধানসভা নির্বাচনের আগেও কৌসুলি সিদ্ধান্ত নেন মোদী
শুধু লোকসভা নয়, বিধানসভা নির্বাচনের আগে মতুয়া মন পেতে কার্যত সুক্ষ চাল দেন নরেন্দ্র মোদী। শান্তনু ঠাকুরকে নিয়ে বাংলাদেশে মতুয়াদের সঙ্গে দেন করেন তিনি। শুধু তাই নয়, সেখানে তাঁদের পাশে থাকার বার্তাও দেন প্রধানমন্ত্রী। যা নিয়ে অবশ্য বিধি ভঙ্গের অভিযোগ আনে তৃণমূল। ব্যাপক বিতর্ক হয়। কিন্তু লোকসভার মতো বিধানসভাতেও বিজেপির পাশেই ছিলেন বাংলার মতুয়ারা। কিন্তু তাঁদের মধ্যেও বাড়ছে ক্ষোভ।
ক্ষোভ সামাল দিতে ময়দানে নামলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী
আর সেই ক্ষোভের আঁচ গিয়েছে নর্থব্লকেও। আর সেই ক্ষোভ সামাল দিতে ময়দানে নামলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। সিএএ কিংবা এনআরসি এখনও কার্যকর করতে পারেনি মোদী সরকার। যা নিয়ে বিজেপি সাংসদ-বিধায়কদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে। ইতিমধ্যে কার্যত ফের একবার নিজেদের হারানো জায়গা ফিরে পাচ্ছে তৃণমূল। আর তাই লোকসভার আগে ফের একবার নিজেদের শক্ত জায়গা ধরে রাখতে মরিয়া বিজেপি শিবির। আর তাই বাংলায় লিখে মতুয়াদের মন পাওয়ার চেষ্টা করলেন নমো।
আগামীকাল ২৯শে মার্চ বিকেল ৪-৩০এ মতুয়া ধর্ম মহামেলায় ভাষণ দেবার সুযোগ পেয়ে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি। মহান শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরজি সামাজিক ন্যায় ও জনকল্যাণে তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। আমরা তাঁর জন্মজয়ন্তীও উদযাপন করবো।https://t.co/1DJaRpqdUB
— Narendra Modi (@narendramodi) March 28, 2022