৫ বছরের ছেলের শিরা কেটে শ্বাসরোধ করার পর বারান্দা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা মায়ের
পুণে, ১২ অক্টোবর : জীবনে যা চেয়েছিলেন তা পাননি। আর সেই হতাশা থেকেই নিজের ৫ বছরের ছেলের হাতের শিরা কাটার পর শ্বাসরোধ করে খুন করলেন ইঞ্জিনিয়ার মা। শনিবার রাতে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে পুণের এক অভিজাত এলাকায়। ছেলেকে খুনের পর রবিবার সকালে স্বামীর কাছে বিষয়টি জানিয়ে নিজে চারতলা বাড়ির বারান্দা থেকে ঝাঁপ দেন ওই মহিলা।[ সৎ বাবার হাতে ধর্ষিতা ১১ বছরের মেয়ে জন্ম দিল শিশুকন্যার]
পুলিশ সূত্রের খবর, মহিলার নাম দীপ্তি মোরে। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। পুণের এক অভিজাত এলাকায় স্বামী তেজস ও ছেলে অর্ণবের সঙ্গে থাকতেন দীপ্তি। শনিবার রাতে অর্ণবের ঘরেই ছেলের সঙ্গে শুতে যান দীপ্তি। তেজস নিজেদের ঘরেই শুয়েছিলেন। অভিযোগ রাত ২ টো নাগাদ দীপ্তি আচমকা নিজের মাত্র পাঁচ বছরের ছেলের হাতের শিরা কেটে দেয়। এখানেই শেষ নয়, শিশুটির মৃত্যু নিশ্চিত করতে শ্বাসরোধও করেন অর্ণবের। [ ছেলেকে পিটিয়ে মারল মা, কিন্তু কেন? সামনে এল হাড় হিম করা তথ্য]
পরের দিন সকালে উঠে তেজসের কাছে কাঁদতে কাঁদতে গিয়ে পুরো বিষয়টি বলে দেন দীপ্তি। স্বামীকে বলেন ছেলেকে কীভাবে তিনি খুন করেচেন। তেজস অর্ণবের ঘরে ছুটে যেতেই নিজেকে ঘরের মধ্যে আটকে নেন দীপ্তি। এবং বারান্দা থেকে ঝাঁপ দেন। তেজস প্রতিবেশীদের ডেকে এনে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন। [মা ঘ্যানঘ্যানে! তাই কুড়ুল দিয়ে মুণ্ডচ্ছেদ করল ছেলে]
এরপর দীপ্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। সিনহাগড় পুলিশ দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু বলে একটি মামলা দায়ের করেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান অবসাদের জেরেই এই ঘটনা ঘটিয়েছেন দীপ্তি। [মালদহে চার বছরের মেয়ের মাথা খুটে মাংস খেতে গিয়ে ধরা পড়ল মা]
সুইসাইড নোট
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, মারাঠিতে লেখা দু পাতার একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে দীপ্তিদের বাড়ি থেকে। আপাতভাবে মনে করা হচ্ছে চিঠিটি তাঁরই লেখা। চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, জীবন থেকে অনেক প্রত্যাশা ছিল তাঁর। কিন্তু তিনি যেমন চাইছিলেন জীবন তেমনভাবে চলছিল না। তাই ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে নিজের জীবন শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। [কাফেতে সন্তান প্রসব করার পরও গেমস খেলতে ব্যস্ত যুবতী 'মা'!]
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, "এই ঘটনার তদন্ত চলছে। এখনও পর্যন্ত আমরা কোনও সিদ্ধান্তে আসতে পারিনি। খুব শীঘ্রই দীপ্তির স্বামী তেজসকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। প্রতিবেশিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, দীপ্তি একটু শান্ত ও চুপচাপ স্বভাবের ছিলেন। প্রতিবেশীদের কারোর সঙ্গেও কখনও খুব একটা বেশি কথা বলতেন না। [শয়তানের অর্চনায় অষ্টাদশীকে জোর করে ১৮০০ পুরুষের সঙ্গে যৌন মিলনে বাধ্য করল মা!]