আইসিইউ বেডের জন্য অপেক্ষা করতে গিয়ে মৃত্যু মায়ের, হাসপাতালের শৌচালয়ে মিলল দিদিমার দেহ
মাত্র ন’দিনের মধ্যে শেষ হয়ে গেল একটি পরিবার। করোনা ভাইরাসের চেয়েও মারাত্মক সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা নেহেতা পরিবারকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিল। মা ও দিদিমার প্রাণ চলে গেল এই স্বাস্থ্য পরিষেবার জন্যই। ঘটনাটি ঘটেছে মুম্বইয়ের জলগাঁওতে।

মায়ের মৃত্যুর কিছুদিন পরই দিদিমার মৃত্যু হয়
হর্ষল নেহেতার মা ও দিদিমা দু'জনেই করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হন। রিপোর্টে জানা গিয়েছে যে নেহেতা তাঁর ৬০ বছরের মা টিনা দেবীকে হারিয়ে ফেলেন, যার জন্য দায়ি সরকারি পরিষেবা। জলগাঁও সরকারি হাসপাতালে নেহেতার মাকে আইসিইউ বেডের জন্য ছ'ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। বুধবার এই ঘটনার কিছুদিন পর হাসপাতালের শৌচালয় থেকে উদ্ধার হয় ৮২ বছরের দিদিমার দেহ৷ সরকারি হাসপাতালের শৌচালয়ের মধ্যে থেকে উদ্ধার করা হয় মালতিদেবীর পচাগলা কোকড়ানো দেহ।

নিখোঁজ ছিলেন মালতি দেবী
রিপোর্টে বলা হয়েছে গত ২ জুন থেকে ৮২ বছরের মালতি দেবী নিখোঁজ ছিলেন। কোভিড-১০ উপসর্গ নিয়ে জলগাঁও হাসপাতালে তিনি ভর্তি হন। হাসপাতালের কর্মীরা জানিয়েছেন যে তিনি হাসপাতাল থেকে চলে গিয়েছেন৷ ৮ দিন কেউ তাঁর কোনও খোঁজ নেয়নি এমনকী যে শৌচালয়ে তিনি আটকে ছিলেন সেটিও খোলা হয়নি৷ অন্য রোগীদের কাছ থেকে ওই শৌচালয় থেকে দুর্গন্ধের অভিযোগ পাওয়ার পরই বুধবার হাসপাতালের কর্মীরা সেটি ভাঙেন এবং ভেতরে মালতি দেবীর পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়।

বরখাস্ত হাসপাতালের ডিন
হাসপাতালের ডিন ডাঃ বি এস খৈর সহ পাঁচজন আধিকারিককে বরখাস্ত করা হয়। মেডিক্যাল শিক্ষা সচিব সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে তিনি পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এর আগে একই হাসপাতালে আরও ৩ করোনা আক্রান্ত শৌচালয়ে যাওয়ার পথে মারা গিয়েছেন৷

নেহেতার বাবাও করোনা আক্রান্ত
মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ নেহেতা পুনের বাসিন্দা। তাঁর স্ত্রী গর্ভবতী এবং কিছুদিনের মধ্যেই তার সন্তান প্রসবের সম্ভাবনা৷ অন্যদিকে নাসিকের এক বেসরকারি হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন তার বাবা৷ অন্যদিকে মা ও দিদিমার মৃত্যুতে শেষকৃত্যের জন্য আসতে পারছেন না কেউই৷

করোনা আতঙ্কের মধ্যে এবার ডেঙ্গির হানা! ২ জন ভর্তি হাসপাতালে