বেশি মাত্রায় ড্রাগ নেওয়ার জের, পাকিস্তানের লাহোরে মৃত্যু ভারতের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ গ্যাংস্টারের
পাকিস্তানে ড্রাগ ওভারডোজের কারণে মোস্ট ওয়ান্টেড গ্যাংস্টার হরিবন্দর রিন্দার মৃত্যু হয়েছে,
ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসবাদী হরবিন্দর সিং রিন্দার লাহোরের একটি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে। মাত্রাতিরিক্ত ড্রাগ নেওয়ার কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। শনিবার পাকিস্তানের পুলিশের তরফে হরবিন্দর সিংয়ের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। ভারতে একাধিক হামলায় নেপথ্যে হরবিন্দর সিং রিন্দার যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে তিনি আইএসআইয়ের সুরক্ষা কবজে ছিলেন।
পঞ্জাব পুলিশের ঊর্ধ্বতন আধিকারিক জানিয়েছেন, হরবিন্দর সিং রিন্দার কিডনির সমস্যায় জন্য ভুগছিলেন। ড্রাগ বেশি পরিমাণে নেওয়ার জন্য মৃত্যু হয়েছে। অন্য একটি সূত্রের তরফে জানানো হয়েছে, রিন্দার মৃত্যুর দায় স্বীকার করেছে গ্যাংস্টার গোষ্ঠী দাভিন্দর ভামবিহা। জানা গিয়েছে, রিন্দা বর্তমানে পাকিস্তানের ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) সুরক্ষায় ছিলেন। তিনি মে মাসে পাঞ্জাব পুলিশের গোয়েন্দা সদর দফতরে রকেট চালিত গ্রেনেড (আরপিজি) হামলার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন। ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা তাঁর খবর দেওয়ার জন্য ১০ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল। তাঁর বিরুদ্ধে রেড নোটিশও জারি করে ইন্টারপোল।
জানা
গিয়েছে,
২০২১
সালের
নভম্বের
পঞ্জাব
পুলিশের
গোয়েন্দার
সদর
দফরে
রিন্দার
গ্রেনেড
হামলা
করেছিল।
ওই
মাসে
হরিয়ানায়
একটি
গাড়ি
থেকে
আগ্নেয়াস্ত্র
উদ্ধারের
ঘটনায়
পুলিশের
চার্জশিটে
রিন্দার
নাম
ছিল।
তিনি
ভারতে
নিষিদ্ধ
খালিস্তানী
সংগঠন
বাব্বর
খালসা
ইন্টারন্যাশনালের
সদস্য
ছিলেন।
তিনি
পাকিস্তান
থেকে
ভারত
বিরোধী
কার্যকলাপ
চালাতে।
ভারতের
বিরুদ্ধে
একাধিক
হামলায়
তিনি
স্থানীয়
যুবক
ও
গুণ্ডাদের
সাহায্য
নিতেন।
ভারতীয়
গোয়েন্দা
সংস্থা
গ্যাংস্টারদের
সঙ্গে
পাক
ভিত্তিক
জঙ্গিদের
সংযোগকারী
হিসেবে
মনে
করে।
ভারতের
নিরাপত্তা
বিভাগ
দেশের
জন্য
রিন্দাকে
বিপজ্জনক
বলে
ঘোষণা
করে।
রিন্দা
মাদক
ও
অস্ত্রের
আন্তঃসীমান্ত
চোরাচালানের
সঙ্গে
যুক্ত
ছিল।
পঞ্জাব
পুলিশের
তরফে
দাবি
করা
হয়,
পাকিস্তানে
বসে
ভারতের
বিরুদ্ধে
ষড়যন্ত্র
করতেন
রিন্দার।
রিন্দার মোস্ট-ওয়ান্টেড 'এ' প্লাস ক্যাটাগরির গ্যাংস্টার ছিলেন। পঞ্জাবের পাশাপাশি মহারাষ্ট্র, চণ্ডীগড়, হরিয়ানা, বাংলার মোস্ট ওয়ান্টেড গ্যাংস্টারের তালিকায় রিন্দা ছিলেন। পঞ্জাব পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, রিন্দা পাঞ্জাবের তারন তারান জেলার সরহালি গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। সেখান থেকে তিনি মহারাষ্ট্রের নান্দেদে চলে যান। ২০০৮ সালে তিনি অপরাধ জগতে প্রবেশ করেন।
সংবাদসংস্থা সূত্রের খবর, পঞ্জাবা তারন তারানে ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে একব্যক্তিকে খুন করেছিলেন। চন্ডীগড়ের হোশিয়ারপুরের সরপঞ্চ সতনাম সিংকে হত্যার নেপথ্যে রিন্দা ছিল বলে পুলিশের অভিযোগ। রিন্দা তার দল খুন, ডাকাতি, তোলা আদায়ের মতো ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ছিল। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতে ৩০টি ফৌজদারি মামলা রয়েছে।