বিহার ও উত্তরপ্রদেশ থেকে অধিকাংশ করোনা কেস রিপোর্ট হয়নি, কেরল বজায় রেখেছে স্বচ্ছতা
বিহার ও উত্তরপ্রদেশ থেকে অধিকাংশ করোনা কেস রিপোর্ট হয়নি, কেরল বজায় রেখেছে স্বচ্ছতা
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক শুক্রবার ফের কেরলে আরও একটি কেন্দ্রীয় দলকে পাঠিয়েছে। এই দল রাজ্যে কার্যকর কোভিড পরিচালনা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখবে। প্রসঙ্গত, কেরলে দৈনিক করোনা কেস বেড়েই চলেছে। জুলাই মাসে দ্বিতীয় কেন্দ্রীয় দল কেরল পরিদর্শনে এসেছে বলে জানা গিয়েছে।
কেরলে দৈনিক সংক্রমণ বাড়ছে
একসময় এই কেরলই বিশ্বের দরবারে কোরনা নিয়ন্ত্রণে 'মডেল' হয়ে উঠেছিল। কিন্তু এখন বিপরীত চিত্র পরিলক্ষিত হচ্ছে। টানা ২ দিন কেরলে রেকর্ড ২২ হাজারের বেশি নতুন করোনা কেস এবং ভারতের মোট সংক্রমণের ৫০ শতাংশ বহন করছে। যদিও কেন্দ্রীয় দলের বিশ্লেষণে উঠে এসেছে কেরল কমপক্ষে সব কোভিড কেসেরই রিপোর্ট করেছে।
বহু করোনা কেসের রিপোর্ট নেই
সম্প্রতি আইসিএমআরের সেরো সার্ভেতে দেখা গিয়েছে যে করোনা কেস রিপোর্ট না করার ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে বিহার ও উত্তরপ্রদেশ। বিহারে ১৩৪ ও উত্তরপ্রদেশে ১০০টি করোনা কেসের রিপোর্ট করা হয়নি বলে সরকারি তথ্যে উঠে এসেছে। সেখানে কেরলের মাত্র ৬টি করোনা কেস রিপোর্ট হয়নি বলে জানা গিয়েছে। এর অর্থ হল কেরলে প্রত্যেক করোনা কেস সনাক্ত হয়, শুধুমাত্র সিস্টেমে ৬টি কেসের রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।
বিহার–উত্তরপ্রদেশ এগিয়ে
তবে বিহারে একটি করে কেস সনাক্ত হয়েছে, হাতছাড়া হয়েছে ১৩৪টি কেস তেমনি একইভাবে উত্তরপ্রদেশেও একশোটি কেসের হিসেব মিলেছে সরকারি সেরো সার্ভেতে। এর অর্থ হল ৩১ মে পর্যন্ত বিহারে যে সাত লক্ষ করোনা কেস সনাক্ত হয়েছিল তা প্রকৃতপক্ষে ৯৪৭ লক্ষ এবং উত্তরপ্রদেশে ১৭ লক্ষের বদলে তা আসলে ১,৬৮৯ লক্ষ। করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্য হিসাবে নাম রয়েছে মহারাষ্টের। তবে এখানেও মাত্র ১২টি কেসের রিপোর্ট করা হয়নি। এর অর্থ হল সরকারিভাবে মাত্র ৫৭ লক্ষের পরিসংখ্যান দেখানো হলেও তা আসলে ৭১৪ লক্ষ করোনা কেস।
ভারতের ৩৩টি কেস রিপোর্ট হয়নি
সার্ভেতে
উঠে
এসেছে
যে
গোটা
ভারত
জুড়ে
রিপোর্ট
হয়নি
এমন
করোনা
কেসের
সংখ্যা
৩৩টি।
এর
অর্থ
৩১
মে-এর
মধ্যে
৯,২৬৫
লক্ষ
ভারতীয়
করোনায়
আক্রান্ত
হলেও
শুধুমাত্র
সনাক্ত
হয়েছে
২৮২
লক্ষ
করোনা
কেস।
চতুর্থ
আইসিএমআরের
সেরো
সার্ভে,
যা
জুন-জুলাইতে
করা
হয়
৩১
মে
পর্যন্ত
করোনা
কেসের
পরিসংখ্যান
নিয়ে।
সম্পূর্ণ টিকাকরণের পরিসংখ্যান
এই সার্ভের সঙ্গে যুক্ত এক কর্মকর্তা সতর্ক করে বলেন, 'টিকাকরণ করা হয়েছে এমন ব্যক্তিদের নমুনাও যুক্ত রয়েছে। সার্ভে চলাকালীনও অধিকাংশ দেশের জনসংখ্যার মধ্যে সম্পূর্ণ টিকাকরণ হয়েছে মাত্র ৫ শতাংশের, তবে করোনা কেস রিপোর্ট না হওয়ার কারণে এটি অতিরিক্ত গণনা হতে পারে।'
শীঘ্রই কি ধেয়ে আসছে তৃতীয় ঢেউ? বুধবারের তুলনায় আক্রান্ত বাড়ল ৩৪ শতাংশ