দেশের অধিকাংশ সংস্থায় চলবে না এসি, অফিস কর্মীরা কাজ করবেন জানলা খুলে, চলবে পাখা
দেশের অধিকাংশ সংস্থায় চলবে না এসি, অফিস কর্মীরা কাজ করবেন জানলা খুলে, চলবে পাখা
দেশের অফিস কর্মীরা, এবার যাঁরা লকডাউন ওঠার পর ধীরে ধীরে অফিস যেতে শুরু করবেন তাঁদের কপালে এয়ার–কন্ডিশনের ঠান্ডা হাওয়া নাও জুটতে পারে অথবা একগুচ্ছ শর্ত মেনে চলতে পারে এসি এবং তার জন্য অতিরিক্ত টাকাও গুনতে হতে পারে তাঁদের।
এসির বদলে খোলা হবে জানলা, চলবে পাখা
কেন্দ্রীয় শীততাপনিয়ন্ত্রিত অফিসে বায়ুপ্রবাহের মধ্য দিয়ে কোভিড-১৯ ঢুকতে পারে এই আশঙ্কায় কাজের জায়গার বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করা হবে এবং তাতে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে হোয়াইট-কলার কর্মীরা। জানা গিয়েছে, ভারতের প্রচণ্ড গরম আবহাওয়ার মধ্যেই অধিকাংশ সংস্থাই কেন্দ্রীয় এসি না চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংস্থাগুলি যেটা করতে পারে তা হল, বড় বড় জানলাগুলি খুলে দেওয়া হবে এবং স্ট্যান্ড পাখা চলবে এসির পরিবর্তে। যাতে তাপপ্রবাহ কম করা যায়।
নতুন সুরক্ষা বিধি মেনে এসি চালাতে হবে
যেসব দপ্তরগুলিতে শীতাতপনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু রয়েছে বা চালু থাকবে, সেখানে বড় ধরনের পরিবর্তনের জন্য নতুন সুরক্ষা বৈশিষ্ট্যগুলি ১৫-২০ শতাংশ অতিরিক্ত ব্যয় যুক্ত করা হচ্ছে। বড় বড় রিয়্যালিটি সংস্থাগুলি কোভিড আতঙ্কে এয়ার কন্ডিশনারের বদলে প্রযুক্তিতে অর্থ বিনিয়োগ করছে।
এসি ছাড়াই কাজ শুরু করেছে বেশ কিছু সংস্থা
মিন্ট্রা, ওয়ালপুল, এনটিপিসি, প্যানাসোনিক লাইফ সলুউশন, আলস্টম, ওয়েকফিট ডট কো, ইনস্টামোজো, হোমলেন এবং কুইকরাইড সহ বেশ কিছু সংস্থা জানিয়েছে যে তারা এসি ছাড়াই ফের কাজ শুরু করবে। ফ্রেশমেনু ও ক্যাশফ্রিয়ের কর্মীরা কিছু সময়ের জন্য এসি চালিয়ে কাজ করেন। অন্যদিকে নেসলে, মোতিলাল ওসওয়াল আর্থিক পরিষেবা এবং আরপিজি গ্রুপ নতুন সুরক্ষা ফিচার গ্রহণ করেছে। জানা গিয়েছে, মিন্ট্রা কর্মীদের স্বাচ্ছন্দ্যের কথা ভেবে স্ট্যান্ড ফ্যানের ব্যবস্থা করেছে। বেঙ্গালুরুর বহু স্টার্টআপ সংস্থাই এই ব্যবস্থা করেছে। এসি নেই, তবে প্রচুর ফ্যান ও জানলা খোলা রেখে দেওয়া হয়েছে। প্যানাসোনিক লাইফ সলুউশন এসির বদলে ভেন্টিলেশন ফ্যান, সিলিং ও স্ট্যান্ড ফ্যান চালিয়ে দিয়েছে। এনটিপিসি জানিয়েছে, দপ্তরের জানলা ও দরজা খোলা রেখে দেওয়া হয়েছে এবং মাঝখানের তলায় যেখানে গরমের তাপ বেশি সেখানে নতুন স্যানিটাইজেশন সতর্কতা অবলম্বন করে এসি চালানো হয়েছে।
সিপিডব্লুডি–এর নির্দেশ মেনে এসি চালনা
অনেক অফিস শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ব্যবহারের বিষয়ে কেন্দ্রীয় গণপূর্ত বিভাগের (সিপিডব্লুডি) নির্দেশিকা অনুসরণ করছে। এই নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে নির্দিষ্ট তাপমাত্রা, আদ্রতা, ও নলের মাধ্যমে তাজা বাতাস কিভাবে আসবে, ক্রস-ভেন্টিলেশন এবং অফিসের ক্ষেত্রে অন্যান্য নিয়ম। মিটিং রুম ও শপিং মলের ক্ষেত্রে ২৪-৩০ ডিগ্রি তাপমাত্রার উল্লেখ রয়েছে এই নির্দেশিকায়। সংস্থাগুলি কর্মীদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে বিভিন্ন ধরনের পরিচ্ছন্নতাও অফিসের মধ্যে বজায় রাখছে।
আক্রান্ত হওয়ার ১১ দিন পরে সংক্রমিত নন কোনও করোনা আক্রান্ত, তথ্য উঠে এল গবেষণায়