যারা বেকসুরদের খুন করে তাদের রক্ষা করার চেষ্টা করেছেন সুহাগ, ভি কে সিংয়ের মন্তব্যে বিতর্ক চরমে
আর কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রীর এই মন্তব্যই উস্কে দিয়েছে বিতর্ক। লোকসভা নির্বাচনের চূড়ান্তে ফল ঘোষণার মাত্র ৩ দিন আগেই বিদায় বেলায় ইউপিএ সরকার লেফটেন্যান্ট জেনারেল দলবীর সিং সুহাগকে পরবর্তী সেনাপ্রধান নিয়োগের আর্জিতে সম্মতি জানিয়ে দিয়ে যায়। বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান জেনারেল বিক্রম সিংয়ের এই দায়িত্বপালনের মেয়াদ শেষ হবে ৩১ জুলাই। তারপরই অগাস্টের শেষের দিকে দায়িত্ব নেওয়ার কথা সুহাগের। (আরও পড়ুন)
গত মাসেই দায়িত্ব গ্রহণ করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী অরুণ জেটলি জানিয়ে দিয়েছিলেন ইউপিএ সরকারের প্রস্তাবিত নামে কোনও আপত্তি নেই বিজেপির। কিন্তু সুহাগকে নিয়ে আর এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই মন্তব্য কিছুটা হলেও বিড়াম্বনায় ফেলেছে বিজেপি সরকারকে।
এই প্রসঙ্গে জেনারেল ভিকে সিংয়ের ইস্তফাও দাবি করেছে কংগ্রেস। তবে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এদিন জানিয়ে দিয়েছেন, সরকারের দিক থেকে বলতে গেলে, লেফটেন্যান্ট জেনারেল দলবীর সিং সুহাগের সেনা প্রধান হিসাবে নিয়োগের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। এবং সরকার এই সিদ্ধান্তের পক্ষেই রয়েছে। তিনি আরও বলেন, এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে উঠুক সরকার তা চায় না।
প্রবীন কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জেনারেল ভি কে সিংয়ের এই সব টুইটগুলির কড়া সমালোচনা করেন, এবং বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এধরণের মন্তব্য কখনওই কাম্য নয়।
সুহাগের নিয়োগের বিরোধিতা করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন জেনারেল রবি দাস্তানে৷ একটি সেনা অভিযান মুখ থুবড়ে পড়ায় তৎকালীন সেনা প্রধান ভিকে সিং সুহাগের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে উল্লেখ করা হয়৷ এর জেরে কেন্দ্রকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট৷ হলফনামায় এনডিএ সরকার জানায়, সুহাগের বিরুদ্ধে তদন্তের সিদ্ধান্ত ছিল পক্ষপাতদুষ্ট। কেন্দ্রীয় সরকারের এই হলফনামার ভিত্তিতেই সরব হয়েছেন বিরোধীরা। এবং ভিকে সিংয়ের ইস্তফার দাবি তুলেছেন।